বেগমগঞ্জে খাদ্যের বিনিময়ে কাজ কর্মসূচীর বিরুদ্ধে অভিযােগ
এবারে নােয়াখালী জেলার মধ্যে একমাত্র বেগমগঞ্জ থানাই বেশীর ভাগ প্রকল্পের কাজ “খাদ্যের বিনিময়ে কাজ কর্মসূচীর” অধীন সম্পন্ন করা হচ্ছে।
এই সব প্রকল্পসমূহের কোনাে কোনাে প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে এবং যথাসময়ে সম্পাদন হচ্ছে। না বলে অভিযােগ পাওয়া গেছে।
অভিযােগে প্রকাশ, খাদ্যের বিনিময়ে কাজ কর্মসূচীর অধীনস্থ বিভিন্ন প্রকল্পের চার ভাগের একভাগ কাজও এ পর্যন্ত শেষ করা হয়নি। অথচ মাস্টার রােলগুলাে ঠিক মতােই নাকি সম্পন্ন করা হয়েছে।
অভিযােগ পাওয়া গেছে, নাজিরপুর কৃষি খামার প্রকল্পের” নামে নাকি দু’বার ৩ মণ গম ও ১৮ মণ ১০ সের ধান বরাদ্দ করে ত সম্পূর্ণরূপে কালােবাজারে বিক্রি করা হয়েছে এবং উক্ত প্রকল্প কোনস্থানে অবস্থিত ও তার কর্মকর্তারা কে বা কারা তাও নাকি জনগণ জানে না।
আরাে জানা যায়, ছয়ানী ইউনিয়নের “ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর খননের জন্য ২২৫ মণ, “ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের জন্য ৭৫ মণ, মােট ৩০০ মণ গম ও “ছয়ানী বালিকা বিদ্যালয়ের দিঘি খনন ও পুন: খননের জন্য ২০০ মণ, মােট ২৩০ মণ গম ও “ছয়ানী ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার নতুন পুকুর খনন ও মাঠ ভরাটের জন্য ৫০ মণ গম, সর্বমােট ৫৮০ মণ গম উক্ত প্রকল্পসমূহের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল কিন্তু বরাদ্দকৃত গমের সামান্য কিছু কাজ করে বাকীগুলাের কোন হিসাব নেই।
এ ছাড়া “নােয়াখালী মহাবিদ্যালয়ের রাস্তা মেরামতের জন্য যে ৬০ মণ গম বরাদ্দ করা হয়েছিল তারও সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা হয়নি। অপরদিকে বজরা ও সােনাপুর ইউনিয়নের “কোটবাড়িয়া ড্রেন” ও “ধন্যপুর-নােয়াগাঁও খালের পুনঃখননের জন্য ৬ হাজার ও ৯ হাজার মােট ১৫ হাজার টাকা উক্ত কর্মসূচীর অধীনে বরাদ্দ করা হয়েছে। তাতেও বেশ কারচুপি রয়েছে বলে অভিযােগ পাওয়া গেছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, উক্ত প্রকল্পদ্বয়ের নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত খাল খনন করে সাথে সাথে রাস্তা মেরামত করার কথা কিন্তু নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত খাল খনন এবং রাস্তা ও মেরামত করা হয়নি। তবে প্রকল্পদ্বয়ের আংশিক কাজে সম্পূর্ণ টাকা নাকি ব্যয় দেখানাে হয়েছে।
এই সব অভিযােগগুলাের পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে যথাযথ তদন্ত হওয়ার জন্য জনগণ জোর দাবী জানিয়েছে।
সূত্র: বাংলার বাণী, ২৭ মে ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত