বাংলাদেশ-যুগােশ্লাভ আলােচনায় অগ্রগতি
সহযােগিতার ক্ষেত্র তৈরীর জন্যে ৪টি সাব কমিটি
বাংলাদেশ-যুগােশ্লাভিয়া যৌথ কমিশনের গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের বৈঠকে দু’দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের আরাে ক্ষেত্র উদ্ভাবনের বিষয়ে আলােচনার যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও যুগােশ্লাভিয়ার প্রতিনিধি পর্যায়ের আলােচনা সকাল বিকাল দুই অধিবেশনে প্রায় পাঁচ ঘণ্টাকাল স্থায়ী ছিল। আলােচনা শেষে সরকারীভাবে জানানাে হয়েছে—বাংলাদেশ-যুগােশ্লাভ অর্থনৈতিক যৌথ কমিশন দু’দেশের মধ্যে সাহায্য সহযােগিতার ক্ষেত্র তৈরীর জন্য মােট ৪টি সাব কমিটি গঠিত হয়েছে। এই চারটি সাব কমিটি হলাে: ১। বিদ্যুৎ বিভাগ ২। বাণিজ্য ও শিল্প বিভাগ ৩। কারিগরি সাহায্য বিভাগ ও ৪। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি পর্যালােচনা বিভাগ। চারটি সাব কমিটি গঠিত হওয়ার পরপরই গতকাল বিকেলে প্রতিটি কমিটি তাঁদের পৃথক পৃথক বিষয় নিয়ে আলােচনায় বসেন। এই বৈঠক সচিবালয়ের কেবিনেট কক্ষে বিকেলে বসেছিল।
এদিকে সকালের বৈঠকের আলােচনার ফলাফল হলাে যুগােশ্লাভ সরকার আমাদের শিল্প ও বিদ্যুৎ প্রকল্প খাতে সাহায্য করতে আগ্রহী। বৈঠক শুরু হয় সকাল ১০টায়। উদ্বোধন করেন যৌথ কমিশনের চেয়ারম্যান উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। বৈঠক এক নাগাড়ে আড়াই ঘণ্টা চলে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য ও বহি: বাণিজ্যমন্ত্রী খােন্দকার মােশতাক আহমদ ও যুগােশ্লাভিয়ার দলের নেতৃত্ব দেন মি: স্টোজান আনডভ। এ ছাড়াও বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন যুগােশ্লাভিয়াস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব রশীদ আহমদ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বাের্ড ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পদস্থ অফিসারবৃন্দ। যুগােশ্লাভিয়ার পক্ষে তাদের সফররত অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদলের সদস্য ছাড়াও বাংলাদেশস্থ। সদস্য ছাড়াও বাংলাদেশস্থ যুগােশ্লাভিয়ার রাষ্ট্রদূত মি: ভি চেন কোসটিক উপস্থিত ছিলেন।
সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ কমিশনের বৈঠকের আলােচনার বিষয় ছিল অর্থনৈতিক সহযােগিতা, বাণিজ্যিক সহযােগিতা এবং সেই সঙ্গে দুটি বন্ধুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযােগিতার নতুন ক্ষেত্র উদ্ভাবন করা।
মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আগামী ২৬শে মে শুরু হবে। তবে সরকারী কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠক আবার আজ সকালে বসবে।
সূত্র: বাংলার বাণী, ২৩ মে ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত