বঙ্গবন্ধু অনুসৃত নীতিতে চীনের সন্তোষ
চীনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক অনুসৃত জোট নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি চীন সফরকারী বাংলাদেশ বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের নেতা সংসদ সদস্য জনাব মােহাম্মদ ইদ্রিস উপরােক্ত তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ ভিয়েতনাম অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার ও সিহানুক সরকারকে স্বীকৃতি দান এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে শান্তি এলাকা ঘােষণার জন্যে বঙ্গবন্ধু যে দাবী জানিয়েছেন তাতে চীনের কর্মকর্তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। চীনের কর্মকর্তারা বলেছেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সুদৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে।
জনাব ইদ্রিস বলেছেন, বাংলাদেশ বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের চীন সফরের ফলে দু’দেশের কুটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিরাট সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, বেঙ্গুন থেকে ক্যান্টনে অবস্থানকালে তাঁদের প্রতি যে প্রাণঢালা সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে, তাতে দু’দেশের মধ্যে ভবিষ্যতে যে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপিত হবে, তারই আভাস পাওয়া গেছে।
জনাব ইদ্রিস বলেন, ক্যান্টন মেলায় বাংলাদেশকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, যে পাঁচটি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাতে বাংলাদেশ শুধু চীন থেকে পণ্য আমদানীই করবে না—চীনে রপ্তানীও করবে। চীনের একজন কর্মকর্তা তাকে বলেছেন পারস্পরিক সুবিধা এবং প্রয়ােজনীয় পণ্য বিনিময় হবে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উদ্দেশ্যে।
চীন বাংলাদেশে দারচিনি, সিমেন্ট, কয়লা এবং অন্যান্য ভােগ্যপণ্য সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে—অপর পক্ষে চীনে বাংলাদেশের পাট রপ্তানীর সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র: বাংলার বাণী, ২২ মে ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত