দোকান আছে প্রচুর ওষুধ নেই মােটেও
মাদারীপুরে ড্রাগ লাইসেন্সের ছড়াছড়ি অথচ জনগণ ন্যায্যমূল্যে ওষুধ পায় না।
জানা গেছে যে, স্বাধীনতা প্রাপ্তির পূর্বে মাদারীপুর মহকুমায় বিশেষ করে মাদারীপুর শহরে যে সংখ্যক ফার্মেসী ছিল, বর্তমানে তা ৪/৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রকাশ, এ সমস্ত ড্রাগ লাইসেন্স দিয়ে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীগুলাে থেকে নিয়মিত ন্যায্যমূল্যে ওষুধ তুলছেন। অথচ জনগণ তা ন্যায্য মূল্যে পাচ্ছে না।
অভিযােগ পাওয়া গেছে, অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা কালােবাজারে অধিক দামে ওষুধ বিক্রি করে দেয়। | শহরের অধিকাংশ ফার্মেসীতে অনেক সময় জীবন রক্ষাকারী ওষুধও পাওয়া যায় না। ফলে ওষুধের অভাবে জনগণকে পড়তে হচ্ছে দারুণ বিপাকে। আর এ সুযােগে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা ওষুধের কালােবাজারীতে মেতে উঠেছে।
এ সমস্ত ড্রাগ লাইসেন্সের মাল যায় কোথায়, কিভাবে বিক্রি হচ্ছে, তার তদন্তানুষ্ঠান চালিয়ে অবিলম্বে অসৎ ব্যবসায়ীদের শাস্তি দান এবং জনগণ যাতে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ সহজে পেতে পারে তার ব্যবস্থা করতে জনগণ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছে।
সূত্র: বাংলার বাণী, ২২ মে ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত