চীন-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য সম্পর্ক
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সরাসরি আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে ৭টি বাণিজ্য চুক্তি। ৪ সদস্যের বাংলাদেশ বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সাম্প্রতিক চীন সফরকালে ক্যান্টনে (কোয়াং চৌ) এসব চুক্তি সম্পাদন করা হয়। খবর এনার।
…সরকারী সূত্র গতকাল জানিয়েছেন, উভয় দেশ পারস্পরিক প্রয়ােজনে বিভিন্ন পণ আমদানী ও রপ্তানী করবে নিজেদের মধ্যে।
বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ১৪ দিনের সফরকালে চীনের ৬টি সরকারী কর্পোরেশন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে হৃদতাপূর্ণ পরিবেশে আলােচনা করেন। কদিন আগে প্রতিনিধিদলটি দেশে এসেছে। সফরকালে তারা ক্যান্টন (কোয়াং চৌ) অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মেলা ও চীনের বিভিন্ন স্থানে কতিপয় মিল কারখানা পরিদর্শন করেন। সর্বত্র তাদেরকে আন্তরিক অভ্যর্থনা জানানাে হয়। উভয় পক্ষ নিজ নিজ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। | চট্টগ্রাম শিল্প ও বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য জনাব মােহাম্মদ ইদ্রিসের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের অপর যে ৩ জন সদস্য চীন সফর করেন তারা হলেন, প্রখ্যাত ব্যবসায়ী জনাব এক এম মুসা (সাবেক সিভিল সার্ভেন্ট) জনাব লুৎফর রহমান ও রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরাের মহা পরিচালক জনাব এনাম আহমেদ চৌধুরী।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল বিমানযােগে হংকং যান। হংকং থেকে তারা ট্রেনযােগে চীনা শহর ক্যান্টনে পৌঁছেন। চীনে ক্যান্টন শহর “কোয়াং চৌ” নামে পরিচিত।
সরকারী সূত্র থেকে বলা হয়, চীনের সাথে আমদানী ও রপ্তানী বাণিজ্য করতে আগ্রহী সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানসমূহ ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ও রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরাের সঙ্গে যােগাযােগ করতে পারেন।
সূত্র: বাংলার বাণী, ২০ মে ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত