নদী ও খালগুলাে খনন প্রয়ােজন
মাগুরায় পানি সেচ ও নিষ্কাশনের অভাবে কৃষি কাজ ব্যাহত হচ্ছে
মাগুরা মহকুমার বিভিন্ন স্থানে পানি সেচ ও নিষ্কাশনের অভাবে হাজার হাজার একর জমির উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে উৎপাদন কমে যাওয়াতে কৃষক সমাজ চরমভাবে আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে। প্রকাশ, কৃষি বিভাগীয় বিশেষজ্ঞদের মতে মাগুরার বিভিন্ন স্থানে শতকরা ৮০ ভাগ জমি উঁচু থাকায় ঐ সমস্ত জমি প্রয়ােজনীয় পানি পায় না। ফলে প্রতি বছর ফসলের দারুণ ক্ষতি হয়। কৃষকদের মতে ঐ সমস্ত এলাকায় পাওয়ার পাম্প অথবা গভীর নলকূপের ব্যবস্থা থাকলে এই সব সমস্যার সম্মুখীন হতে হতাে না। জমিতে ফসল বুনে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কখনাে বা সময় মতাে বৃষ্টি না হলে পানি নিষ্কাশনের কোনাে ব্যবস্থা না থাকায় প্রচুর ফসল বিনষ্ট হয়। ভুক্তভােগী কৃষকদের মতে পানি নিষ্কাশনের চেয়ে পানি সেচের অভাবেই তাদেরকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। কারণ অধিকাংশ জমিই উঁচু।
মাগুরার বিভিন্ন এলাকার বড় বড় খাল যথাঃ- নারানখালী, কালিদাস, ধােপাঘাটা ও দেবী নগরের খালে সুইজগেট নির্মাণ করা হলে এ অঞ্চলের চাষীরা পানির অভাব থেকে আংশিক নিকৃতি পেতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল ধারণা করছে। এছাড়া হাওর পরানখালী, কাটাখালী, হানু-নদী ও অন্যান্য ছােট খাট খালগুলাে পলি পড়ে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। হানুনদীতে কচুরিপানা ও শেওলা জমে থাকায় পানি ধারণ ক্ষমতাও কমে গেছে।
গ্রীষ্মকালে ঐ সকল নদী ও খালগুলােতে পানি থাকে না। কোনাে কোনাে নদীতে সামান্য পানি থাকলেও তা কৃষকদের কোনাে কাজে আসে না। অবিলম্বে এতদঞ্চলের খাল ও নদীগুলাে খনন করা হলে চাষীরা এই দুর্ভোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারে। এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষক সমাজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শুভ দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
সূত্র: বাংলার বাণী, ১৯ মে ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত