খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের উৎপাদন বৃদ্ধি করুন-কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী জনাব আবদুস সামাদ আজাদ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বান জানাইয়াছেন।
তিনি বলেন যে, বর্তমানের বার্ষিক ২ ভাগ উৎপাদন আশানুরূপ নয়। ইহা কমপক্ষে ৭ ভাগ বৃদ্ধি পাইলে আগামী ৮০ সাল নাগাদ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করা যাইবে বলিয়া তিনি উল্লেখ করেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ইউনিয়নের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণদানকালে একথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী তাহার সংক্ষিপ্ত ভাষণে কৃষি বিষয়ক শিক্ষা এবং কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করিবার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে কৃষির সাজ-সরঞ্জাম কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করার প্রয়ােজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন শিক্ষামন্ত্রী ড: মােজাফফর আহমদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড: আবদুল মতিন চৌধুরী, পাবলিক সার্ভিস (প্রথম) কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব বি, করিম, জনাব আবদুর কুদুস মাখন এমপি এবং প্রাক্তন ছাত্রনেতা জনাব শেখ শহিদুল ইসলাম।
ড: মােজাফফর আহমদ চৌধুরী এই মর্মে আভাষ দেন যে, দেশে কৃষি শিক্ষা সম্প্রসারণের জন্য পরবর্তী সেশন হইতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি অনুষদ ভােলা হইবে। তিনি বলেন দেশে কৃষি শিক্ষা প্রাথমিক স্তর হইতে শুরু করা উচিত। কারণ কৃষির উপর সর্বতােভাবে দেশের অর্থনীতি নির্ভর করে।
তিনি বলেন যে, সম্ভাব্য স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশে খাদ্য স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করিতে হইবে।
এ ব্যাপারে সত্যিকার অর্থে তিনি কৃষি শিক্ষার প্রয়ােজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরােপ করেন।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার নিম্নমানের কারণ দর্শাইতে গিয়া তিনি বলেন লাইব্রেরী ও লেবরেটরীর অপ্রতুলতা এবং ছাত্র এবং শিক্ষকদের মধ্যে ইহার বর্তমান অনুপাতই বিশেষভাবে দায়ী।
তিনি আমাদের নিজেদের সমস্যা হইতে অর্জিত অভিজ্ঞতার উপর পুস্তক রচনার জন্য পণ্ডিত ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানান।
শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরােপ করিয়া তিনি বলেন যে, শিক্ষা পদ্ধতির উপর দেশের ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় জীবনের তীর্থ স্থান বলিয়া উল্লেখ করেন।
সূত্র: দৈনিক আজাদ, ১৯ এপ্রিল ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত