ইরি ও বােরাের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারিত
শুষ্ক ধান সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সরকার প্রত্যেক বিক্রেতাকে মণপ্রতি চার টাকা হারে শুষ্ককরণ বােনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত লইয়াছেন।
যেহেতু বােরােধান উঠার সময় বৃষ্টিবাদল থাকে এবং ধান শুকানাে কিছুটা কষ্ট ও ব্যয়সাপেক্ষ সরকার সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বােরাে ধানের বেলায় এই শুষ্ককরণ বােনাস দেওয়ার ব্যবস্থা করিয়াছেন। সরকারী গুদামে কৃষক এবং এ, জি, ডি’ র নিকট হইতে কেবলমাত্র শুকনাে ধানই গ্রহণ করা হইবে। | সংগ্রহযােগ্য ধানচালের পরিমাণ নির্ধারণ করার সময় কৃষকের জমি এবং উৎপন্ন পরিমাণ এই দুইটি দিকই বিবেচনা করা হইবে।
উৎপাদনকারী কৃষক এবং বিক্রেতাকে জাতীয়করণকৃত ব্যাংকের নিকটবর্তী শাখার মাধ্যমে তাহাদের পণ্যের মূল্য পরিশােধ করা হইবে। বােরাে ইরি ধান চাল সংগ্রহ অভিযানের সময় কোন কর্ডন আরােপ করা হইবে না। যাহারা ধানের ভাগ লইয়া বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটেন, নিজ নিজ এলাকায় তাহাদের সেই পরিশ্রমলব্ধ ধান লইয়া যাইবার ব্যাপারে কোন বিধিনিষেধ থাকিবে না। তবে ভাগ্যলুরা বােরাে ইরি দান চাল ক্রয় করিয়া লইতে পারিবেন না।
সংগ্রহ অভিযান সফল করার উদ্দেশ্যে মহকুমা এবং থানা পর্যায়ে সংগ্রহ কমিটি গঠনের ব্যবস্থা করা হইয়াছে। গত আমন ফসল সংগ্রহের জন্য সেরূপ কমিটি ছিল সেই কমিটির অনুরূপ হইবে সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে এই খবর পরিবেশন করা হয়।
সূত্র: দৈনিক আজাদ, ১০ এপ্রিল ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত