৪ জন ম্যানেজারসহ ১৬ জন ব্যাংক কর্মচারী সাসপেন্ড
ব্যাঙ্কের একশত টাকার নােটের হিসাব রদবদল করার অভিযােগে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা এবং এর আশেপাশে ৪টি ব্যাঙ্কের ম্যানেজারসহ মােট ১৬ জন ব্যাঙ্ক কর্মচারীকে সাসপেন্ড করা হইয়াছে।
বরখাস্তকৃত ১৬ জন ব্যাঙ্ক কর্মচারীর মধ্যে ১৩ জন অগ্রণী ব্যাঙ্কের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ব্রাঞ্চ, নিউমার্কেট ব্রাঞ্চ এবং মহাখালী ব্রাঞ্চের কর্মচারী এবং ৩ জন জনতা ব্যাঙ্কের টঙ্গী ব্রাঞ্চের কর্মচারী। অগ্রণী ব্যাঙ্কের যে ১৩ জন কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হইয়াছে। তাহারা হইতেছে আবদুর রহমান ম্যানেজার, সাহাদাত হােসেন সেকেন্ড অফিসার। সেকান্দার আলী খান থা অফিসার, তােফাজ্জলে হােসেন ক্যাশিয়ার কাম ক্লার্ক, আবু বকর সিদ্দিকী ক্যাশিয়ার কাম ক্লার্ক, আবুল খায়ের নিরাপত্তা প্রহরী। ইহারা সবাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অগ্রণী ব্যাঙ্কের কর্মচারী। একই অভিযােগে অগ্রণী ব্যাঙ্ক নিউমার্কেট শাখার ম্যানেজার এফ, আর খােন্দকার, আনােয়ার হােসেন সেকেন্ড অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার জানানাে হয় যে, অগ্রণী ব্যাঙ্কের মহাখালী শাখার ম্রানেজার তাজু মুসলিম মিয়া সহ অপর ৩ জন কর্মচারীকে ব্যাঙ্কের একশত টাকার নােটের হিসাবে রদবদল করার অভিযােগে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হইয়াছে। এই ব্যাঙ্কের অন্য ৩ জন কর্মচারী হইতেছে ওয়াহিদুল্লাহ সেকেন্ড অপিসার, হজরত আলী ক্যাশিয়ার কাম ক্লার্ক এবং তােফায়েল আহমদ দারওয়ান কাম পিয়ন। বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের অপর একটি প্রেস। বিজ্ঞপ্তিতে জানানাে হয় যে, ব্যাঙ্কের ৫ তারিখের হিসাবের খাতায় রদবদল করার অভিযােগে জনতা ব্যাঙ্ক টঙ্গী শাখার ম্যানেজার মহিদুল ইসলাম, দ্বিতীয় অফিসার নুরুদ্দিন আহমদ এবং ক্যাশিয়ার আজহারুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হইয়াছে।
জনতা ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয় হইতে পরিদর্শন কাজে বিশেষভাবে নিয়ােজিত জনৈক অফিসার গত ৭ই এপ্রিল সােমবার এই রদবদল লক্ষ্য করেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নে করেন যে ১০০ টাকার অচল নােট বেআইনীভাবে বদলাইয়া দেওয়ার জন্য এই জাতীয় বদবদলের আশ্রয় নেওয়া হইতেছে। প্রত্যেকটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিকটবর্তী থানায় মামলা দায়ের করিয়াছেন।
সূত্র: দৈনিক আজাদ, ৯ এপ্রিল ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত