ধান-আটা-তেল কল
যন্ত্রাংশের জন্যে ৬৪০টি আমদানী লাইসেন্স প্রদান
বিভিন্ন বাণিজ্য সমিতি ও মিল মালিকদের নিকট হইতে সরকার কর্তৃক অনস্বীকৃত ধান, আটা ও তেল কলের খুচরা যন্ত্রাংশের আমদানী লাইসেন্স দিবার জন্য অনুরােধ আসে। অনস্বীকৃত বিধায় এই ধরনের মিল মালিকদের কোন আমদানী লাইসেন্স প্রাপ্য নহে। তবুও বিশেষ সহানুভূতির সহিত বিবেচনা করিয়া বৈদেশিক মুদ্রার অপ্রতুলতা সত্ত্বেও ৩০০০ টাকা করিয়া কিছু লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী গত ডিসেম্বর মাসের দিকে আগে আসিলে আগে পাইবেন এই ভিত্তিতে একটি গণ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সুপারিশ সমেত আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়।
যে সমস্ত আবেদনপত্র পাওয়া যায় তাহার সংখ্যা দাঁড়ায় ৩,৩৫৪। অথচ সীমিত অর্থ বরাদ্দের মধ্যে দেয় লাইসেন্সের সংখ্যা ছিল ৬৪০। এমতাবস্থায় লাইসেন্সের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য স্থির করা হয় যে প্রতিটি জেলায় অনস্বীকৃত ধান, আটা ও তেলকলের সংখ্যার অনুপাতে লাইসেন্সগুলি আগে আসিলে আগে পাইবেন ভিত্তিতে জেলাওয়ারী হিসাব প্রদান করা হইবে। অতঃপর প্রতিটি জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর হইতে এই জাতীয় মিলের সংখ্যা সংগ্রহ করা হয়। উল্লেখযােগ্য যে এই পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, দেশে এই ধরনের প্রায় দশ হাজার মিল আছে। উপরােক্ত নীতি অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় প্রাপ্য লাইসেন্সের সংখ্যা হইল ঢাকা ১০৬, ময়মনসিংহ ১৭ টাঙ্গাইল ১০, বরিশাল ১০, পটুয়াখালী ৭, ফরিদপুর ৫০, চট্টগ্রাম ৬২, পার্বত্য চট্টগ্রাম অন্তর্ভুক্ত জেলাগুলি ৭, কুমিল্লা ৭৯, নােয়াখালী ৫৫, খুলনা ৬৬, যশােহর ৩২, কুষ্টিয়া ৭, রাজশাহী ৭, দিনাজপুর ১০, রংপুর ১৩, ও সিলেট ৬২। সীমিত অর্থের জন্য সকল আবেদনকারীকে লাইসেন্স দেওয়া বর্তমানে সম্ভব নয়। আবেদনকারীদের ক্রমিক সংখ্যা অনুযায়ী জেলাওয়ারী ভিত্তিতে এখন লাইসেন্স দেওয়া হইতেছে।
লাইসেন্সের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করিবার জন্য আমদানীকারকদের নাম ও ঠিকানা জেলা কর্তৃপক্ষকে জানানাে হইতেছে। তথ্য দফতরের এক বিবরণীতে ইহা জানা গিয়াছে।
সূত্র: দৈনিক আজাদ, ৬ এপ্রিল ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত