চলতি সালে মুক্তাগাছায় ১০ হাজার একর জমিতে বােরাে চাষ হইতেছে
মুক্তাগাছা থানায় এই বৎসর সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় দশ হাজার একর জমিতে দেশী বােরাে ও ইরি ধান চাষ হইতেছে। এই দশ হাজার একর জমিতে প্রয়ােজনীয় সার ও অন্যান্য সুযােগ সুবিধা অব্যাহত থাকিলে প্রায় ৪ লক্ষ মণ অতিরিক্ত বােরাে ও ইরি ধান ফলনের সম্ভাবনা রহিয়াছে বলিয়া প্রকাশ।
থানা কৃষি কর্মকর্তার সহিত এক সাক্ষাৎকারে জানা গিয়াছে যে, ৬৪টি পাওয়ার পাম্পের সাহায্যে কয়েক সহস্র কৃষক এই সকল কৃষি প্রকল্পের অধীন চাষাবাদ করিতেছে। তিনি আরও জানান যে, এই কৃষি সকল প্রকল্প বাস্তবায়নে টেষ্ট রিলিফের মাধ্যমে ১,১৮০০০/০০ টাকা ব্যয় হইয়াছে। কৃষকের মধ্যে ২৭৫০ মণ সার বন্টন করা হইয়াছে। সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান যে, এই সকল কৃষি প্রকল্প বাস্তবায়নে কৃষকের মনে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়াছে।
গভীর নলকূপ ও পাওয়ার পাম্পের অধীনে যে সকল জমিতে চাষ হইতেছে তাহাতে মাত্র এক ফসল আবাদ হইত। কিন্তু বর্তমান ব্যবস্থায় কৃষকেরা অতিরিক্ত আরও একটি ফসল পাইবে। এই প্রকল্পের মধ্যে নন্দিবাড়ির রাঙ্গুলিয়া, গরবাজাইল ও বরিলবিল গভীর নলকূল প্রকল্প উল্লেখ যােগ্য গড়বাজাইল গভীর নলকূপ প্রকল্পে প্রায় ১শত একর জমিতে বােরাে ও ইরি চাষ হইতেছে। নন্দিবাড়ি লাঙ্গুলিয়া প্রকল্পের ম্যানেজার জনাব আববাছ আলী মাষ্টারের সহিত সাক্ষাৎকারে জানা গিয়াছে যে, প্রকল্পের ৮০ একর জমির মধ্যে ৫৪ একর জমিতে মাত্র এক ফসল ফলিত কিন্তু এখন হইতে উক্ত প্রকল্পের ৭৮ জন কৃষক দুই ফসল পাইবে।
বিভিন্ন সুযােগ সুবিধা অব্যাহত থাকিলে আশা করা যায় যে এই বৎসর থানায় যে ফসল হইবে তাহার বিপুল পরিমাণ অংশ অন্য থানার খাদ্য ঘাটতি পূরণের সহায়তা করিবে।
সূত্র: দৈনিক আজাদ, ৩ এপ্রিল ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত