জনগণ শােষণমুক্ত সমাজ গঠনের শপথ নিয়েছে: মনসুর
বঙ্গবন্ধুর গতিশীল নেতৃত্বে শােষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের জনগণ ইতিমধ্যেই শপথ গ্রহণ করেছেন। এখন বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর পরিচালিত দ্বিতীয় বিপ্লবকে সফলকরতে তার কাছ থেকে প্রয়ােজনীয় নির্দেশ লাভের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী জনাব এম মনসুর আলী গতকাল বুধবার বিকেলে সােহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়ােজিত বিরাট জনসভায় ভাষণদানকালে একথা বলেন। জাতিরজনক রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণদান উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী জনাব এম মনসুর আলী জাতির জনকর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর মত মহান নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন হতাে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘােষণা করেছেন। বাঙালি জাতি নেতার নিদের্শে মাত্র ৯ মাস যুদ্ধ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন আজও বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব বঙ্গালী জাতি এবং পৃথিবীর স্বাধীনতাকামী নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা দিবে। তিনি বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বের মহান নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু জনতার মুক্তির জন্য নতুন সমাজ ব্যবস্থা কায়েমে নতুন পথের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ২৬শে মার্চকে বাঙালি জাতির জন্য ঐতিহাসিক দিন বলে মন্তব্য করে বলেন, আজ হতে চার বছর আগ এই দিনে জাতির জনক কাছে সাত কোটি বাঙালির জন্য স্বাধীনতা ঘােষণা করেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী শােখক গােষ্ঠীর নির্দেশে বাংলাদেশের জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবীকে নস্যাৎ করার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। তারা হত্যা করে বাঙালি জাতিকে পৃথিবী হতে নিশ্চিন্ন করতে চেয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তা জানতেন। তাই তিনি জনগণকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনে মূল্য দিয়েও সারাজীবন জনগণের মুক্তির জন্য আপােষহীন সংগ্রাম করেছেন।
সূত্র: সংবাদ, ২৭ মার্চ ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত