বগুড়া জেলা মৎস্য চাষ প্রকল্পে সমস্যার অন্ত নাই
বগুড়া, ২৫শে ফেব্রুয়ারী বিভিন্নমুখী সমস্যা, সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং সময়মত প্রয়ােজনীয় অর্থ বরাদ্দের অভাবে বগুড়া জেলায় মৎস্য চাষ ব্যাহত হইতেছে বলিয়া নির্ভরযােগ্য সূত্রে জানা গিয়াছে।
বগুড়া জেলায় মৎস্য উন্নয়ন সংস্থার অধীনে শেরপুর, শান্তাহার পাঁচবিবি, ক্ষেতলাল ও বগুড়া সদর এই পাঁচটি মৎস্য উৎপাদন কেন্দ্র রহিয়াছে। তন্মধ্যে শান্তাহার ও পাঁচবিবি এই দুইটি প্রকল্পে পােনা মাছের চাষ করা হইতেছে। বাকী তিনটি এখনও অসম্পূর্ণ।
উল্লেখযােগ্য যে, অসম্পূর্ণ প্রকল্পগুলির কাজ ১৯৬৯-৭০ সনে শুরু করা হইয়াছিল, কিন্তু সময়মত প্রয়ােজনীয় অর্থ না পাওয়ায় অদ্যাবধি এইগুলির নির্মাণ কাজ শেষ হয় নাই। ১৯৬৯-৭০ সনে শেরপুরে পােনা মাছ উৎপাদন প্রকল্পে ৩টি “নার্সারী” ও ২টি “রেয়ারিং” পুকুর মােট ৫টি পুকুর তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল। তন্মধ্যে ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২টি “নার্সারী পুকুর তৈরি করা হইয়াছে। বাকী ৩টি এখনও তৈরি হয় নাই।
এই দিকে সংস্কারের অভাবে জলাশয় মজিয়া যাওয়া এবং জলাশয় হইতে শস্যক্ষেতে পানি সেচের দরুন এই জেলার জলাশয়গুলি ক্রমশ: শুকাইয়া যাইতেছে। ফলে দিনে দিনে মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে ক্রমশ: অন্তরায় সৃষ্টি হইতেছে। | মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে মৎস্য চাষে সাধারণ কৃষককে উৎসাহ এবং সাহায্য প্রদানের জন্য কৃষি ঋণের ন্যায় মৎস্য ঋণ ব্যবস্থা চালু করা প্রয়ােজন। কারণ, কৃষকদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আর্থিক সংকটের দরুন মৎস্য চাষ করা সম্ভব হইতেছে না।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত