কৃষি উন্নয়ন ত্বরান্বিত করুন
অধিবেশন উদ্বোধন করেন প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যুরাের চেয়ারম্যান জনাব এ, কে, এম, আহসান। অংশ গ্রহণ করেন পরিকল্পনা কমিশনের পানি সম্পদ বিভাগের সহকারী প্রধান ড: রইস উদ্দিন আহমদ ঢাকাস্থ ফের্ড ফাউণ্ডেশনের প্রােগ্রাম অফিসার ড: এস ডি বিগস, মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার ড: জে এফ স্টেপাক, বাংলাদেশ পল্লীউন্নয়ন একাডেমীর ডেপুটি ডিরেক্টর জনাব এ আজিজ খান এবং বাংলাদেশ ইরি প্রকল্পের কৃষি প্রকৌশলী মি: ফ্রেড এফ নিকলস।
কৃষিমন্ত্রী বলেন যে, সাধরণ কৃষি সরঞ্জাম চাষাবাদের কর্মমুখর মওসুমের প্রয়ােজন মিটাইতে এবং এমনিতে কর্মহীন লােকদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে উচ্চতর উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করিতে পারে। তিনি বলেন যে, বিপুল সম্ভাবনা এখনও কাজে লাগাইবার ব্যবস্থা হয় নাই। চাষাবাদে তিনি সেচের জন্য ক্ষুদ্র ও জটিলতাহীন সেচ যন্ত্র ও পদ্ধতি ব্যবহার করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ফসল তুলিবার মৌসুমে সংরক্ষণের সুবিধা থাকিলে অমূল্য ফসলের অপচয় হ্রাস পায়। এইজন্য তিনি কৃষকদিগকে দীর্ঘ স্থায়িত্বের স্বল্পবায়ে গৃহ-নির্মাণের সুযােগ গ্রহণ করিবার উপদেশ দেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন যে, সমাজতন্ত্রের নির্দেশ হইল: প্রতিটি দেশের উন্নয়নের জন্য যথাযথ পথ খুজিয়া লইতে হইবে। তিনি বলেন, দেশীয় মেধার বিকাশসহ গতিমরতা ত্বরান্বিত করার মধ্যেই অদ্বিষ্ট সমাধান নিহিত।
জনাব সামাদ আরও বলেন যে, যথাযথ প্রযুক্তি কলাকৌশল সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা এবং প্রবর্তন করার জন্য গবেষক, সমাজকর্মী, কৃষি অর্থনীতিবিদ, প্রকৌশলী, প্রশাসক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ঐক্যত্বিক প্রচেষ্টা থাকিতে হয়। তিনি বলেন, যে কোন ভাবাদর্শের সাফল্যের জন্য উহার প্রতি পূর্ণ অঙ্গীকার এবং একাত্মতা থাকিতে হয়।
দেশের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় হইতে প্রায় দেড়শত প্রতিনিধি ছাড়াও কৃষি সম্পর্কিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্রের কয়েকজন প্রতিনিধি এই ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করিতেছেন।
* শহরের কোন কোন এলাকায় বসন্ত দেখা দিয়েছে। অবিলম্বে বসন্তের টিকা নিন।
* নতুন এলাকায় বসন্ত সংক্রামিত হলে অবিলম্বে বসন্ত নির্মূল অভিযান দফতরে (মহাখালী কলেরা দফতরে (মহাখালী কলেরা হাসপাতালের নিকট টেলিফোন নং ৩১১৮২৫ সংবাদ দিন।
* নতুন এলাকায় বসন্তে আক্রান্ত রুগীর প্রথম সংবাদ দাতাকে ৫০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত