পাক দালাল গ্রেপ্তার
জকিগঞ্জ ও আটগ্রাম মুক্তিবাহিনীর দখলে আসার পর সেখানে পাক দালালদের খুঁজে বের করার জন্যে জোর তল্লাসী চালান হয়। ঐ সময় সুলতানপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলের সভাপতি আবদুল ওহাদ, বড় ঠাকুরী ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মৈনুদ্দিন এবং সুলতানপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলের সেক্রেটারী নূরুদ্দিন এই তিন ব্যক্তি গােপনে ভারতীয় এলাকায় পালিয়ে আসেন।
করিমগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রীবিশ্বজিৎ গুপ্তের নেতৃত্বে স্থানীয় পুলিশের হাতে এরা ভারতীয় এলাকায় প্রবেশ করা মাত্র গ্রেপ্তার হন। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হাজতে রাখা হয়েছে।
নিলামবাজারের তৈয়ব আলী নামক করিমগঞ্জ কলেজের একটি ছাত্রকেও সম্প্রতি পাক গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে তার অপরাধ স্বীকার করেছে বলে প্রকাশ।
সূত্র: যুগশক্তি, ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১