পাক সৈন্যদের পরিচালনায় শ্রীহট্টে নাশকতামূলক কাজের ট্রেনিং
গত ১৩ই আগষ্ট করিগঞ্জে সীমান্ত ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টার জন্য যারা ধৃত হয় তাদের মধ্যে তিন জন এই নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে তাদের যােগাযােগ স্বীকার করেছে। এদের কাছ থেকে জানা গেছে যে, করিমগঞ্জ মহকুমায় ব্যাপকভাবে নাশকতামূলক কাজ চালানাের জন্যে সম্প্রতি তাদের একটি দল শ্রীহট্টে গিয়ে ট্রেনিং শেষ করে ফিরে এসেছে। এদের প্রত্যেককে সাধারণ ব্যয় বাবদ ১৫০ টাকা করে দেয়া হয়েছে। এরা আরাে বলে যে পাক সেনারা মুসলমান কৃষকের বেশে কুশিয়ারা নদী পার হয়ে বােমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ট্রেন ধ্বংস করার পদ্ধতি তাদের হাতেনাতে শিখিয়ে দিয়েছে। প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য অন্ততঃ ১০ জন লােক শ্রীহট্টে গিয়েছিল। এদের আসাম ও মেঘালয়ের নানা স্থানে পাঠান হয়েছে। এরা এখন সেতু কালভার্ট ইত্যাদি ধ্বংষ [স] করার জন্য সক্রিয় রয়েছে। এরা সকলেই করিমগঞ্জ মহকুমার অধিবাসী। এদের একজনও এখন পর্যন্ত ধরা পড়েনি।
সূত্র: যুগশক্তি, ১লা অক্টোবর ১৯৭১