করিমগঞ্জে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক উৰ্দ্ধগতি
করিমগঞ্জে নিত্য প্রয়ােজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য অত্যন্ত দ্রুতহারে বাড়িতেছে। চিনি, ডাল, তৈল, লবণ, দেশলাই ইত্যাদির দাম ইতিমধ্যেই বাড়িয়াছে, অন্যান্য বস্তুর দামও বাড়িবে বলিয়া আশংকা করা হইতেছে।
উল্লেখ করা প্রয়ােজন যে, কুশিয়ারা নদীর অপর তীরবর্তী জকিগঞ্জের সমগ্র এলাকার নিত্য প্রয়ােজনীয় দ্রব্যাদিও এখন করিমগঞ্জ বাজার হইতে সরবরাহ হইতেছে। তদুপরি উদ্বাস্তু আগমনের ফলেও জিনিসপত্রের চাহিদা বাড়িয়াছে। ব্যবসায়ীরা বলিতেছেন যে, দীর্ঘকাল এই অতিরিক্ত চাহিদার যােগান দেওয়ার মত মাল করিমগঞ্জ বাজারে মজুত নাই, তদুপরি বারৌণীতে রেল কর্মীদের স্ট্রাইক থাকায় নূতন বুকিংও রেল কর্তৃপক্ষ বন্ধ করিয়া দিয়াছেন। গৌহাটী বাজারেও সরবরাহ করিবার মত মজুত নাই। ফলে স্থানীয় বাজারে যাহারা নিত্য প্রয়ােজনীয় দ্রব্যাদির ষ্টক রাখিয়াছিলেন, তাহারা মূল্য বাড়াইয়া দিয়াছেন।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বিষয়টির প্রতি মহকুমাশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছেন এবং তিনি কার্যকরী ব্যবস্থা অবলম্বনের আশ্বাস দিয়াছেন। বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রীনলিনীকান্ত দাস রেলওয়ে বুকিং অবিলম্বে চালু করার জন্যও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট চাপ দিয়াছেন।
সূত্র: যুগশক্তি, ৯ এপ্রিল ১৯৭১