সম্পাদকীয়: দৃষ্টিহীনের দৃষ্টিপাত
এপার বাংলার সহিত ওপার বাংলার চলা ফিরা সুশুিরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই আশা করিয়াছিলেন যে, ওপারের জিনিষপত্র এপারে যাহা আসে তাহা ন্যায্য মূল্যে জনসাধারণ কিনিতে পারিবে কিন্তু করিমগঞ্জবাসীর বেলায় তাহা অর্থহীন প্রমাণিত হইয়াছে। অনেকেই বহু দিন পর সস্তা মাছ খাওয়ার আনন্দে মশগুল ছিলেন কিন্তু গােটী কয়েক ফড়িয়া ও চালানকারীর অপূৰ্ব্ব চালবাজীতে সে গুড়ে বালি পড়িয়াছে। যদিও থাকার হারে আসার দিন এখনও আসে নাই তবুও যাহা আসে তাহা শুধু চোখেই দেখা যায়, খাইতে পাওয়ার উপায় নাই। ওপারের লােক মাছ নিয়া আসিলেই একদল ফড়িয়া তাহা নদীর ঘাট হইতেই এক প্রকার জোর করিয়া কিনিয়া নেয় এবং ভাল মাছগুলি প্যাক করিয়া অন্যত্র সকলের চক্ষুর সামনেই চালানের ব্যবস্থা করি। ব্যবসার জন্য মাল অন্যত্র চালান দেওয়ার আমরা বিপক্ষে নই কিন্তু হাজার হাজার ক্রেতাকে বঞ্চিত করিয়া একমাত্র জনকয়েক লােক উহা হইতে লাভের পয়সা গুনিবে তাহা অসহ্য। বাজার শেষ হইয়া গেলে উদ্বৃত্ত মাছগুলিই মাত্র চালানের ব্যবস্থা করা যাইতে পারে। জনসাধারণের দীর্ঘ দিনের আশার উপর খাড়া বসাইয়া এইভাবে যাহারা কাজ করে তাহাদের সংযত করার মত কোন অস্ত্রই কি জনসাধারণের নাই। যুব কংগ্রেসের এম, পি, শ্রীপ্রিয়দাস মুন্সি পশ্চিম বাংলায় অঘটন ঘটাইয়াছেন। চোরা চালান, মজুতদারী তথায় বন্ধ। আমরা স্থানীয় যুব কংগ্রেস ও ছাত্র পরিষদের নিকট এ ব্যাপারে আমাদের আবেদন রাখিতেছি।।
সূত্র: দৃষ্টিপাত, ২২ ডিসেম্বর ১৯৭১