বিয়ানীবাজারে পাক হানাদারদের অতর্কিত হানা
গত ৭ই জুন বিয়ানীবাজারে এক প্ল্যাটুন পাক হানাদার অতর্কিতভাবে হানা দেয়। তাহারা থানা আওয়ামী লীগের ভূতপূর্ব সভাপতি জনাব আবদুল আজিজের বাড়ীতে হানা দিয়া তাহার ছােট ভাই আবদুল মান্নানের স্ত্রীকে বাধিয়া লইয়া আসে। পরে প্রায় ২ মাইল পশ্চিমে মাথিউরা গ্রামে হানা দিয়া থানা আওয়ামী লীগের অফিস সম্পাদক আজির উদ্দিন আহমদের বড় ভাই ময়না মিয়ার স্ত্রীকেও বাঁধিয়া লইয়া আসে। পরে ময়না মিয়া ও আবদুল মান্নান থানায় হাজির হইলে পাক সৈন্যরা উভয়কে বন্দী করিয়া তাহাদের স্ত্রীদের ছাড়িয়া দেয়। পরদিন ময়না মিয়া, আবদুল মান্নান এবং আরাে তিনজনকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।
সেনাবাহিনী থানা আওয়ামী লীগের সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক জনাব আবদুল মতিন ও তাঁহার ছােট ভাই ও বিশিষ্ট ন্যাপ নেতা আবদুল লতিফের বসত বাটীর পাঁচখানা ঘর জ্বালাইয়া দেয়। এ ছাড়াও প্রমথনাথ দাস, ডা. প্রভাতচন্দ্র দেব, ক্ষীরােদ পাল, বকুল চন্দ, জলঢুপ হাইস্কুলের হেডমাস্টার আজির উদ্দিন, আয়াজ আলী, ফয়জুর রহমান এবং পূর্বোল্লিখিত আজির উদ্দিন আহমদ প্রমুখের বাড়ীতে অগ্নিসংযােগ করে।
সেনাবাহিনী মাে. আফজল নামক জনৈক পুলিশ কর্মচারীকে বিয়ানীবাজার থানার ও.সি. নিযুক্ত করিয়া ডি. আই. বি ইন্সপেক্টার আবদুল হাই ও জন তিনেক কনষ্টেবলের সাহায্যে স্থানীয়ভাবে প্রশাসনিক কাজকর্ম চালু করার চেষ্টা করিতেছে। তাহারা বর্তমানে সেখানকার হরগােবিন্দ হাইস্কুল ও ডাক বাংলায় স্থায়ী শিবির প্রতিষ্ঠা করিয়াছে।
সূত্র: যুগশক্তি, ১১ জুন ১৯৭১