You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.09.08 | গৌহাটীতে বাংলাদেশ অভিবর্তন- বিশ্বশান্তি পরিষদের ৩ জন প্রতিনিধির যােগদান | আজাদ - সংগ্রামের নোটবুক

গৌহাটীতে বাংলাদেশ অভিবর্তন
বিশ্বশান্তি পরিষদের ৩ জন প্রতিনিধির যােগদান

গত ২৩শে ও ২৪শে আগস্ট তারিখে গৌহাটী সহরে নিখিল আসাম বাংলাদেশ অভিবৰ্ত্তন অনুষ্ঠিত হইয়া গিয়াছে।
অভ্যর্থনা সমিতির পক্ষ হইতে শ্রীশরৎ চন্দ্র সিংহ তাঁহার অভিভাষণ সমাগত সকলকে স্বাগত জানাইলে। পর গৌহাটী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শ্রীসুরেশ চন্দ্র রাজখােয়া উদ্বোধনী ভাষণ দান করেন।
বিশ্বশান্তি পরিষদের সচিব প্রধান শীরমেশ চন্দ্র খ্যাতনামা আমেরিকান আইনজীবী ডা. হার্বার্ট, ইটালীর সমাজবাদী প্রখ্যাত নেতা কার্লো ইভালদো তাহাদের ভাষণে মার্কিননীতির কঠোর সমালােচনা করেন। বাংলাদেশ ব্যাপারে বিশ্ববিবেক জাগ্রত হইতে বিলম্ব হওয়ায় তাহারা দুঃখ করিয়া বলেন মুখে যাহারা গণতন্ত্র ও …..।।
তাহারা বলেন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের জয় অনিবার্য। পাকিস্তান ন্যাশনাল এসেম্বলির সদস্য আওয়ামী লীগনেতা জনাব মােয়াজ্জেম হােসেন চৌধুরী, বিখ্যাত আওয়ামী লীগনেতা ব্যারিষ্টার আব্দুল মােস্তাকিন চৌধুরী, অবিভক্ত আসামের প্রাক্তনমন্ত্রী শ্রী অক্ষয় কুমার দাস তাঁহাদের উদাত্ত ভাষনোণ] বাংলাদেশকে মুক্তি আন্দোলন ও এহিয়াশাহী বর্বরতার বিশেষ বর্ণনা দিয়া ভারতবাসীদেরেও ভারত সরকারকে তাহাদের উদারতার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। | সমাবর্তনে বাগ্মীবর শ্রীনীলমনি ফুকন, শ্রীধনসেনা এম এল-এ, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ শ্রীরথীন্দ্র নাথ সময়ােপযােগী ভাষণ দেন।
সম্মেলনে যে কয়েকটি প্রস্তাব গৃহীত হয় তাহাতে এই দেশে ঐক্য সংহতি বজায় রাখার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। অন্য একটি বিশেষ প্রস্তাবে বলা হয়-বাংলাদেশাগত প্রায় ৮০ লক্ষ শরণার্থীদেরে শুধু আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের উপর চাপাইয়া না দিয়া ভারতের অন্যান্য রাজ্যে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা উচিত।
শরণার্থী ও মুক্তিযােদ্ধাদেরে মানববাচিত যথাযথ সাহায্য দানের জন্য এক প্রস্তাবে দেশবাসীদেরে অনুরােধ জানান হয়। বাংলাদেশের স্বীকৃতির উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

সূত্র: আজাদ, ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১