উধারবন্দে বিপুল সম্বর্ধনা
বেলা প্রায় সাড়ে বারােটার সময় শ্রীহক চৌধুরী, আসামের বন্যানিয়ন্ত্রণ প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ আহমদ আলী, ধুবড়ী জিলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি শ্রীঋতেন্দ্র মােহন দত্ত এবং কাছাড়ের সর্বস্তরের প্রতিনিধিগণ সমভিবাহারে উধারবন্দ হাইস্কুল প্রাঙ্গনেণে] আয়ােজিত বিপুল সম্বর্ধনা সভামণ্ডপে আসিয়া পৌঁছেন। সঙ্গে সঙ্গে মাইনুলহক চৌধুরী জিন্দাবাদ ধ্বনি দ্বারা ও জনসাধারণের ফুলমালা দ্বারা তাহাকে ভূষিত করা হয়।
এহিয়া শাহীর বর্বরতা।
হক চৌধুরী বেদনা ভারাক্রান্ত হইয়া বলেন পাকিস্থানের মিলিটারী শাসকেরা নির্বিচারে বালক বালিকা, যুবা-যুবতী বাংলাদেশে হত্যা করিতেছে; ইসলামের নামে কলঙ্ক সৃষ্টি করিতেছে; মানুষদেরে কুকুর বিড়ালের মত মারিতেছে। দুনিয়ার ইতিহাসে এমন কলংকজনক ঘটনা আর ঘটে নাই। আপনারা ঐ সব ভাই বােনদের দুঃখ দুর্গতির কথা ভাবুন; সাহায্য করুন এবং জালিমদেরে ধিক্কার দিন। ভারত সরকার মজলুমদেরে, শরণার্থীদেরে সর্বপ্রকার সাহায্য করিতেছেন ও করিবেন।
আপনারা এহিয়াখানের গুপ্তচর ও গুণ্ডাদের বিষয়ে সজাগ থাকুন। বুড়িগঙ্গা, তিস্তা, সুরমা, পদ্মা, কুশিয়ারার জল আজ বাঙালী হিন্দু মুসলমানের রক্তে লাল হইয়া গিয়াছে। আপনারা আল্লাহর কাছে কাদিয়া বলুন, জালিম এহিয়াকে যেন ঠাণ্ডা করিয়া মানবতাকে বাঁচিতে দেন।
তাহার বক্তৃতা শেষে শ্রীকামিনী কুমার পুরকায়স্থ ও শ্রীহৃদয়েন্দ্র কুমার দেব শ্রীহক চৌধুরী ও অন্যান্যদেরে ধন্যবাদ দান করেন। সভায় প্রায় ১০ হাজার লােক উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: আজাদ, ৫ এপ্রিল ১৯৭১