অনিশ্চিতের অবসান চাই
সীমান্ত শহর করিমগঞ্জকে আজ একটা অনিশ্চিত অবস্থার মধ্য দিয়ে কাটাতে হচ্ছে। সীমান্ত বরাবর বাংলাদেশের ভেতর এখানে সেখানে রােজই মুক্তিসেনা ও পাকফৌজের মধ্যে লড়াই চলছে। সেই লড়াই এর গুলির আওয়াজ শহর তথা সীমান্তবাসীদের গা সওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু লড়াই যত জোরদার হচ্ছে। শরণার্থী আগমন ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অন্তর্ঘাতী কার্যের উদ্দেশ্যে পাকিস্তানী সামরিক এজেন্ট ও আসামে অনুপ্রবেশ করিতে পারে। ইহা যদি হয় তবে আসামে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক পরিস্থিতি অতি গুরুতর ও ভয়াবহ হইয়া উঠিবে। আমাদের উদারতার সুযােগে ইতিমধ্যে আমাদের দেশকে বিপদাপন্ন ও দুর্বল করিতে নানা প্রকার শক্তি সক্রিয়ভাবে প্রচেষ্টা চালানাের ইঙ্গিত পাওয়া যাইতেছে। আমাদের এই রাজ্যের ঐক্য সংহতি দুৰ্বল করিতে পারে এমন কোন অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির যাহাতে উদ্ভব হইতে না পারে এবং বিশেষভাবে সাম্প্রদায়িক অশান্তি হয় তৎপ্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখিতে তিনি আহ্বান জানান।
উল্লিখিত কোন রকমের চেষ্টা বা ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাইলে তৎক্ষণাৎ সংশ্লিষ্ট থানা, মহকুমাধিপতি, জিলাকৰ্ত্তাকে এবং রাজ্যিক পঞ্চায়েত পরিষদের কার্যালয়ে ও জানানাের জন্য পঞ্চায়েত সকলকে অনুরােধ জানান যাইতেছে।
সূত্র: আজাদ, ২৩ জুন ১৯৭১