কুখ্যাত পাক দালাল ধৃত
জকিগঞ্জ ও আটগ্রাম অঞ্চল মুক্তিবাহিনী কর্তৃক দখল হওয়ার পর তথায় পাক দালালদের খুঁজিয়া বাহির করিবার জন্য ব্যাপকভাবে তল্লাসী চালান হয়। উহা হইতে রক্ষা পাইবার জন্য (১) সুলতানপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলের সভাপতি আবদুল ওহাব (পিং ফাতির আলী) (২) মৈনুদ্দিন (পিং আবদুল মালিক পিল্লাকান্দি, জকিগঞ্জ) চেয়ারমেন, বড়ঠাকুরী ইউনিয়ন কাউন্সিল, (৩) নূরুদ্দিন (পিতা মৃত আবদুল রহমান) সেক্রেটারী, সুলতানপুর ইউনিয়ন কাউন্সিল, গণিপুর, এই তিন প্রসিদ্ধ ব্যক্তি গােপনে ভারতীয় এলাকায় পালাইয়া আসেন। কিন্তু বিধি বাম, এডিঃ পুলিশ শ্ৰী বি, গুপ্তের নেতৃত্বে উহারা ভারতীয় এলাকায় প্রবেশ করা মাত্র করিমগঞ্জ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হাজতে রাখা হইয়াছে। প্রথমােক্ত দুই ব্যক্তি পাক সরকারের পক্ষে রাজাকার ও আনসার রিক্রট করিত এবং তাহাদের নেতৃত্বে করিমগঞ্জ তথা সমগ্র কাছাড় জেলা ব্যাপী সেবটেজ ক্রিয়া কলাপ চালানাে হইত। এই সব কাজের জন্য এপার ভারত হইতেও কিছু সংখ্যক মুসলমান যুবককে তাহারাই রিক্রুট করে বলিয়া প্রকাশ। যে সব মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা করিমগঞ্জ এলাকায় সংগঠিত হইয়াছে উহার জন্য এই মহৎ (?) ব্যক্তিরাই দায়ী বলিয়া জানা যায়।
অপর একটি তল্লাসীতে নিলামবাজারের তৈয়ব আলী নামক করিমগঞ্জ কলেজের একটি ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হইয়াছে। সে পাকিস্তানের জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করিত এবং সে তাহার অপরাধ স্বীকার করিয়াছে বলিয়া প্রকাশ।
সূত্র: দৃষ্টিপাত, ১ ডিসেম্বর ১৯৭১