ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর
ভারতের প্রধানমন্ত্রী পাশ্চাত্যের কয়েকটি দেশ সফর করিতেছেন। সৰ্ব্বত্র তাহাকে বিপুল অভ্যর্থনা জানান হইতেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের নীতি সম্পর্কে এবং বাংলাদেশে জঙ্গীশাহী অত্যাচার বিষয়ে তিনি বিভিন্ন দেশে প্রকৃত অবস্থা বিশ্লেষণ করায় বিশ্বজনমত বাংলাদেশ সমস্যার অনুকূলে দানা বাঁধিতেছে। যুগােশ্লভিয়া, বেলজিয়াম, পশ্চিম জার্মানি, বৃটেন প্রভৃতি দেশ পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করিতে আরম্ভ করিয়াছে।।
ওয়াকেবহাল মহলের ধারণা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের ফলে ভারতের বাংলাদেশ নীতি জোর সমর্থন লাভ করিতে চলিয়াছে।
সন্দেহ বশতঃ কাহাকেও হয়রাণী করা হইতে পারেনা
আসামের মুখ্যমন্ত্রীর উক্তি-
শিলং ২৫শে অক্টোবর; অদ্য আসাম আইন সভায় এক আলােচনার উত্তর দান প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমহেন্দ্র মােহন চৌধুরী বলেন সন্দেহমূলে কোন লােককে অযথা হয়রাণী করা হইতে পারেনা। ( প্রসঙ্গতঃ তিনি বলেন নাশকতা মূলক কাজের জনৈক এম. এল-এর সহায়তা আছে ঈদৃশ উক্তি করায় বর্নিণতি এম-এল-এ কে গ্রেপ্তার করা হয় নাই।
কেননা পুলিশ রিপাের্টে জানা যায় রাষ্ট্রবিরােধী কোন কাজের সহিত উক্ত এম.এল.এ জড়িত নহেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গতঃ আরও বলেন, যে লােকটিকে নাশকতামূলক কাজে জড়িত বিধায় গ্রেপ্তার করা হয় সে লােকটি কিছুকাল পূৰ্বের উক্ত এম.এল.এর নিকট হইতে কোন বিশেষ সুবিধা পাইতে চাহিয়াছিল কিন্তু সে তাহা হইতে বঞ্চিত হয়।
ইহাতে বােধগম্য হয় যে উক্ত লােকটি কোন স্বার্থসংশ্লিষ্ট লােকদের উস্কানিতেই পূৰ্ব্ব আক্রোশ বশতঃ উক্ত এম.এল-এর নাম অযথা জড়াইয়াছিল।
সূত্র: আজাদ, ৩ নভেম্বর ১৯৭১