পাক গােলায় বহু ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু
গত ১লা ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত পাক গােলার আঘাতে ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রাম সমূহে আটজন ভারতীয় নাগরীক নিহত হয় এবং আটজন আহত হয়।
গত ১লা ডিসেম্বর পাকগােলার অতর্কিত আঘাতে লক্ষ্মীবাজার গ্রামের আবদুল জলিল (২৫), পানিঘাটের বিলাল উদ্দীন (১০), দেওতলীর খুরশীদ আলী (৬০), উত্তর লাফাসাইলের আবদুল কাদির, সেরুলভাগের সমির আলী নিহত হয়।
৫ই ডিসেম্বর পুনরায় পাক সৈন্যদের অতর্কিত গােলাবর্ষণের ফলে সুতারকান্দির আবদুল রহমান (১৮), চালিন্দির মহেন্দ্র দাস (৪৫), এবং বসন্ত দাসের (৩০) মৃত্যু ঘটে। তা ছাড়াও চালদা গ্রামের উক্ত বসন্ত দাসের স্ত্রী নিবাসী দাস (১৬) এবং একই পরিবারের বীণা দাস (১২), সুমতি দাস (৪৪), সাথী দাস (১৩) গুরুতররূপে জখম হয়। নিহত ও আহতের সংবাদ পাওয়া মাত্র করিমগঞ্জের মহকুমাধিপতি শ্রী ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত ও এ, এস, পি, শ্রী বিশ্বজিৎ গুপ্ত রাত্রেই ঘটনাস্থলে গমন করিয়া নিহত ও আহতদের এম্বুলেন্স যােগে শহরে নিয়া আসেন। প্রচণ্ড গােলাবর্ষণ উপেক্ষা করিয়া তাহারা যে মানসিক কর্তব্য পালন করেন তাহার জন্য অবশ্যই তাহারা ধন্যবাদের পাত্র।
৬ই ডিসেম্বর ব্রাহ্মণগুল গ্রামের প্রমােদিনী বালা নাত পাক গােলাবর্ষণে আহত হয়।
৭ই ডিসেম্বর পাকিস্তানী দূরপাল্লার গােলার আঘাতে আহত পাকড়িয়া গ্রামের আমিলা বিবি (৯) ছাওয়ারীন্নেসা (৩৫) ও জসির আলীকে (৭০) করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে আনা হয়।
সূত্র: দৃষ্টিপাত, ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১