আজিকার শ্রীহট্ট সহর
বাংলাদেশ হইতে ২৭ শে অক্টোবর তারিখে আগত জনৈক প্রত্যক্ষদর্শীর প্রদত্ত্ব বিবরণে জানা যায়, সমগ্র শ্রীহট্ট সহর প্রায় জনশূন্য এক নগরীতে পরিণত হইয়াছে। সদা আতঙ্কগ্রস্থ নাগরীকগণ রাস্তাঘাটে কেহ কাহারও সঙ্গে বাক্যালাপ পর্যন্ত করেন না। অফিস আদালত, স্কুল কলেজ আছে কিন্তু এক দশমাংশ ও উপস্থিতি নাই। জনৈক উকিলকে পুলিশ সুপারের পদ দেওয়া হইয়াছে, কিন্তু ডেপুটি কমিশনারের আসনে পাঞ্জাবী খান। শ্রীহট্ট জেলার বাঘার মৌলানা” কে শালুটিকর বিমানবন্দরে এক মিলাদ শরীফে আমন্ত্রণ জানান হইয়াছিল। মৌলানা সাহেব সেখানে গিয়া অগনিত তরুনীদের কাঁটাতারের মধ্যে “জঘন্য” বন্দী জীবন যাপন করিতে দেখিয়া ঐ ধর্মানুষ্ঠান বর্জন করিয়া চলিয়া আসেন। উক্ত মৌলানা সাহেব হইলেন গােলাপ গঞ্জের বাঘা নিবাসী বিখ্যাত নেতা বশির উদ্দিন সাহেব। দীর্ঘকাল যাবত ইনি সিলেট কাছাড়ে সুপরিচিত। মৌলানা সাহেব খানদের পাশবিক ব্যাপার দেখিয়া কয়েকদিন অনশন করিয়াছিলেন।
সূত্র: আজাদ, ১০ নভেম্বর ১৯৭১