You dont have javascript enabled! Please enable it! ইতিহাসের একান্ত প্রয়ােজনে-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতীয় স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ - সংগ্রামের নোটবুক

ইতিহাসের একান্ত প্রয়ােজনে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতীয় স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি এবং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান অনুপ্রেরণার উৎস। সে কারণে ১৭ মার্চে তাঁর জন্মদিন, ১৫ অগাস্টে তার হত্যাদিবস এবং ১০ জানুয়ারি, অর্থাৎ ১৯৭২ সালে যেদিন তিনি পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশ ফিরে এলেন-এ দিনগুলােকে আমি কোনাে দলীয় রাজনীতির উপলক্ষ বলে মনে করি না। অবশ্য প্রশ্ন উঠতে পারে; এতাে বছর পর ঐতিহাসিক এই দিনগুলােকে বিশেষভাবে পালনের কি কোনাে যথার্থতা আছে। প্রশ্নটি সামনে আসছে, যখন ক’দিন আগেই ১০ জানুয়ারি, অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে সরকারি পর্যায়ে এবং বিশেষভাবে দেশ জুড়ে পালন করা। হয়েছে। ১৯৭৫ সালের পর বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই দিনগুলাে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কাছে উপেক্ষিত থেকেছে, অথচ যে রাষ্ট্র তাকে উপেক্ষা করেছে সেই রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা দ্রষ্টা স্বয়ং তিনি। এই বাংলাদেশের অনেকগুলাে সরকার দীর্ঘকাল এই দিনগুলাে নিয়ে সম্পূর্ণ নীরবতা পালন করেছে। কিন্তু আজ রাষ্ট্রশক্তির চাকা ঘুরছে। কাজেই আজ ১০ জানুয়ারি, ১৭ মার্চ আর ১৫ অগাস্ট রাষ্ট্রের কাছে বিশেষ দিন। জাতির স্বাধীনতার সংগ্রাম আর রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গাঁথা দিন। এই দিন দেশের রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশে এর তাৎপর্য তুলে ধরে বাণী দেন, যে বাণী ১৯৭৫ সালের পর এই মাত্র সেদিন পর্যন্ত একটিবারের জন্যেও কোনাে রাষ্ট্রপতি দেন নি। কেন দেন নি, সে প্রশ্নটিও সত্য সন্ধানের স্বার্থে আমাদের নতুন প্রজন্মকে ভাবতে হবে বৈকি! আমি কখনােই কোনাে রাজনৈতিক দলঘনিষ্ঠ নই, নিজের পছন্দ-অপছন্দের সীমিত গণ্ডির ভেতর বাস করে স্বাধীন বােধের একজন নাগরিক মাত্র আমি। তবে কখনাে না কখনাে কোনাে না কোনাে দলকে পছন্দ করি আমি, কখনাে না কখনাে কাউকে সমালােচনা করি, আবার সাধ্য মতাে ভালােবাসি কিংবা আঘাতও করি । এরপরও বলব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সম্পর্কে আমার বিশ্বাস মােটেও দলীয় রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা-প্রসূত নয়। স্বাধীনতা-উত্তর প্রশাসনের কর্ণধার হিসেবে শেখ মুজিবের প্রতিটি পদক্ষেপের অন্ধ সমর্থক হয়ে যাবার মধ্যে যেমন যুক্তি নেই, তেমনি যুক্তি নেই সেই সময়টিকে অন্ধভাবে সমালােচনা করে বা আলােচনায় এনে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে অস্বীকার করার।

কিংবা স্বাধীনতার শত্রুদের পিরকল্পনাকে শক্তিশালী করার। আমার বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, তার কিছু সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমাদের স্বাধীনতার অবিসংবাদী নেতা, মুক্তিযুদ্ধের প্রাণপুরুষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেমন আব্রাহাম লিংকন, প্রাক্তন সােভিয়েট ইউনিয়নে যেমন লেনিন,  দক্ষিণ আফ্রিকায় যেমন নেলসন ম্যান্ডেলা, ইন্দোনেশিয়ায় যেমন সােয়েকর্ন, চীনে যেমন মাও সে তুং এবং ভিয়েতনামে যেমন হাে চি মিন, ঠিক তেমনি আমাদের বাংলাদেশও শেখ মুজিব। পাকিস্তানিদের চব্বিশ বছরে সীমাহীন বাঙালি নির্যাতন যারা দেখেন নি বা সেই নির্মমতাকে প্রতিরােধের ইতিহাস যারা খোঁজ রাখেন না বা রাখবার প্রয়ােজনবােধ করেন না, তাদের কাছে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের গল্প নিছকই গল্প হতে পারে বৈকি! বিশেষত দীর্ঘকাল ধরে ইতিহাস বিকৃতির সচেতন পালা চলবার পর শেখ মুজিব আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতায় উঠে এলে অনেকের কাছে তা অসহনীয় মনে হতে পারে নিশ্চয়ই। কিন্তু শেখ মুজিবকে গ্রহণ না করলে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে গ্রহণ করা হয় বলে আমি অন্তত মনে করতে পারি না। ১৯৯৭১ সালের মার্চের ২৫ তারিখকে আমরা আমাদের জাতির ইতিহাসের কালাে অধ্যায় বলি। কারণ ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর রাতের অন্ধকারে ঝাপিয়ে পড়েছিল, শুরু করেছিল তাদের নির্বিচার গণহত্যা এই ঢাকা শহর থেকে। কারণ ওরা ভেবেছিল, এভাবেই বাঙালির ভাষা-ইতিহাস-সংস্কৃতি আর তার স্বাধীনতার শৃহাকে স্তব্ধ করা যাবে। যে বাঙালিকে কিছুতেই বাগ মানানাে যাচ্ছিল না তাকে পর্যন্ত করা যাবে। একদিকে যখন সৈন্যদের কামান বন্দুক দিয়ে নির্বিচার বাঙালি হত্যা চলছিল ঠিক সে মুহূর্তেই পাকিস্তান। সেনাবাহিনী বন্দি করে নিয়ে গিয়েছিল জাতির স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তড়িঘড়ি করে তাকে ঢাকা থেকে সেদিনের পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করা হয়েছিল। কারণ, ওরা ভেবেছিল, এতে জেগে ওঠা বাঙালির স্বাধীনতার স্পৃহাকে দমানাে যাবে। অন্তত কিছুদিনের জন্যে হলেও পাকিস্তানের ধর্মীয় শােষণের যাতাকল রক্ষা করা যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয় নি। হলে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটির জন হত না, এ ভূখণ্ডে বাঙালিদের জন্যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের পত্তন ঘটতাে ইতিহাস তার গােটা দরজা খুলে সাক্ষী, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে, কিন্তু তারই নামে এবং তাঁরই নামের মুখ্য অনুপ্রেরণায়। পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি-গােষ্ঠীর স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নায়কেরা সশরীরে জাতির মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, কিন্তু এক্ষেত্রে অনেকটাই বৈপরীত্ব আছে আমাদের বেলায়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্থপতি এবং তার মূল নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধের মাঠে উপস্থিত থাকেন নি, থাকা সম্ভব হয় নি, যদিও তাঁরই নামে পরিচালিত হয়েছে সব কিছু।

এর আগে তিনি দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন; কিন্তু তাঁরই নেতৃত্বে দীর্ঘ এবং প্রবল গণসংগ্রাম হয়েছে, তারই নেতৃত্বে স্বাধীনতার যুদ্ধে লড়তে উদ্বুদ্ধ হয়েছে মানুষ, তারই অনুপস্থিত নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত পরিচালিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস তিন বন্দি ছিলেন পাকিস্তানি কারাগারে, রণাঙ্গন থেকে হাজার মাইল দূরে, যা ব্যক্তিগতভাবে তার জন্য ছিল এক ট্র্যাজেডি। সেই ট্র্যাজেডিকে গ্রহণ করা ছাড়া উপায়ও ছিল না এ জাতির কিংবা শেখ মুজিবের নিজের। যে মানুষটির মন্ত্রমুগ্ধ নাম এবং সুদীর্ঘকালের আত্মত্যাগী রাজনৈতিক নেতৃত্ব জাতিকে স্বাধীনতার রণাঙ্গনে ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করল, সেই মানুষটিই শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে অনুপস্থিত থাকলেন। তিনি স্বাধীনতার শত্রু পাকিস্তানিদের কারাগারে হাজার মাইল দূরে, যেখান থেকে দেশের চলমান যুদ্ধের বিন্দুমাত্র খবরটি পর্যন্ত তিনি জানতে পাচ্ছেন, কিম্বা কিছুই তাকে জানতে দেওয়া হচ্ছে না। এ এক ট্র্যাজেডি বৈকি। সে কারণেই বলি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন এক চিরস্মরণীয় এবং চিরঞ্জীব বাঙালি নায়ক একই সাথে তিনি এক ট্র্যাজেডির নামও যার অস্বিত্ব স্বাধীনতাকামী একজন বাঙালিও কোনােদিন অস্বীকার করতে পারে না। যে মানুষটি পাকিস্তানে দুই যুগ ধরে দুর্বার-দুঃসাহসে সংগ্রাম করেছেন, জাতিকে স্বাধীনতার লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়েছেন, জীবনের বেশির ভাগ সময় জেলের ভেতর কাটিয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, সেই মানুষটিই শেষ পর্যন্ত রণাঙ্গনে থেকে জাতির স্বাধীনতার যুদ্ধকে সরাসরি নেতৃত্ব দিতে পারলেন না। এবং আমার বিশ্বাস, তিনি যদি না পারতেন, তাহলে মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী ইতিহাস আমাদের অন্যরকম হতে পারত। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জড়িয়ে শেখ মুজিবকে পাকিস্তানিরা হত্যা করতে চেয়েছিল। একাধিকবার তারা এই হত্যাকাণ্ডের প্রস্তুতিও নিয়েছিল। কিন্তু জেনারেল ইয়াহিয়া খান আর জুলফিকার আলী ভুট্টোর পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত কার্যকর করা সম্ভব হয় নি। তাদের চিন্তা আর কাজের কৌশল হয়তাে মিলে নি, এও এবং তাদের দুর্ভাগ্য, অবশেষে বন্দি মুজিবের নেতৃত্বেই বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ সফল পরিণতি পেয়েছে। সেদিনের পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়েছে, তাঁর নামেই মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকার গঠিত হয়েছে, এবং মুজিবের নামেই ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নতুন রাষ্ট্র এই বাংলাদেশ পরিচালিত হয়েছে।

এগুলাে সবই আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস, কোনাে রাজনৈতিক দলের বা ব্যক্তির প্রশস্তি নয়। যারা একে সেভাবে চিহ্নিত করতে চাইবেন, তারা কেবলমাত্র সত্যের অপলাপই করবেন নয়, আমাদের স্বাধীনতার অধুনা-সক্রিয় শত্রুদের সাথেও তাদের কৌশলগত গােপন সম্বন্ধ আছে বলে আমাকে অনস্বীকার্যভাবে ভাবতে হবে। এতােসব ট্র্যাজেডির পরও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঙালির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম ভাগ্যবান নেতা বলেও মনে হয় আমার। খেটে মানুষের মুক্তির জন্যে মওলানা ভাসানীর ত্যাগ আমাদের জাতির আরেক ইতিহাস। জমিদারের নিপীড়ন থেকে কৃষককে মুক্তি দিতে অস্বীকার করা যাবে না এ কে ফজলুল হকসহ আরও কিছু নেতার অবদানকে। কিন্তু এদের সবাইকে ছাড়িয়ে জাতিকে সফল পরিণতির প্রার্থিত লক্ষ্যে, অথাৎ স্বাধীনতার দুয়ারে পৌছে দিয়েছেন শেখ মুজিব। এসব ডাবলে তাকে আর এ্যাজেডির নায়ক মনে হয় না, মনে হয় তিনি কেবলই একটি ব্যতিক্রম। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। খুব সম্ভবত ৭ জানুয়ারি তাকে জুলফিকার আলী ভুট্টোর সরকার মুক্ত করল পাকিস্তানের বন্দিত্ব থেকে। তারা বাধ্য হলাে তাদেরই এক বিমানে করে শেখ মুজিবকে পাকিস্তান থেকে লন্ডন পর্যন্ত পৌঁছে দিতে। পৃথিবীর সংবাদপত্রের প্ৰথম খবর তখন বিজয়ী শেখ মুজিব এবং তার সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ। বােঝা গেল, একমাত্র লন্ডনে পৌছেই মুজিব দেশের ধ্বংসযজ্ঞের অবস্থা জানলেন সবিস্তারে। এরপর অভাবিত এক আত্মবিশ্বাসে ভর করে তাঁর স্বাধীন স্বদেশে এসে নামলেন তিনি ১০ জানুয়ারি, স্বাধীনতার ২৫ দিন পর।

আজও আমার মনে পড়ে, সারাদেশ ডেঙে পড়েছে সেদিন তেজগাঁয়ের বিমান বন্দরে। বিজয়ী, মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব দেশে ফিরছেন। পাকিস্তানিরা তাকে হত্যা করে বাঙালির স্বাধীনতার স্পৃহাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল; কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ শেখ মুজিব শেষ পর্যন্ত তার স্বাধীন ঘরে ফিরে এলেন। এ যেন এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। ১০ জানুয়ারি সে কারণে কেবলমাত্র আওয়ামী লীগের একার নয়। হওয়া উচিত নয়। প্রতিটি স্বাধীনতাকামী বাঙালির রক্তে মাখা ইতিহাসের দিন এটি। জাতির স্বাধীনতার গর্বিত ইতিহাসের দিন। ঠিক একইভাবে স্মরিত হওয়া উচিত ১৭ মার্চ-যা শেখ মুজিবের জন্মদিন কিংবা ১৫ অগাস্ট- যেদিন তাকে হত্যা করা হয়েছিল। আমরা চিরস্মরণীয় চিরঞ্জীব বাঙালিদের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে থাকি। পালন করে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের, কাজী নজরুল ইসলামের, শের-এ-বাংলা এ কে ফজলুল হকের, জীবনানন্দের, সুকান্তের, এমনকি অধুনা সত্যজিৎ রায়সহ অনেকের। এ আমাদের সঙ্গত এবং প্রয়ােজনীয় জাতবােধের চর্চা। এ চর্চার পেছনে আমাদের এক ইতিহাস আর এক জাতীয় ঐতিহ্য কাজ করে। আমার বিশ্বাস, একই ধারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন প্রতিটি বাঙালির জন্যে একটি অত্যাবশ্যকীয় কাজ। কারণ বাঙালির ইতিহাসে এইতাে প্রথম একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র যার স্থপতির নাম শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিটি স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে তাই এই দিনগুলােকে লালন করতে হবে। রাজনৈতিক দলমত এখানে মুখ্য হতে পারে না। দলীয় রাজনীতির প্রয়ােজনে নয়, জাতির স্বাধীনতার সত্য ইতিহাস সংরক্ষণের স্বার্থে এই দিনগুলােকে মর্যাদা দিতে হবে। বিশেষ করে, এই দিনগুলােকে পালনের প্রয়ােজন ততােদিন বেশি করে অনুভূত হবে, যতদিন বাঙালির স্বাধীনতার, প্রগতির এবং মুক্তচিন্তার শত্রুরা সক্রিয় থাকবে।

মার্চ ১৭, ১৯৯৭

 

 সূত্র : মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত প্রবন্ধ হারুন হাবীব