৬ মার্চ ১৯৭১ঃ বাংলার স্বাধিকার আন্দোলনে বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজের একাত্মতা
বাংলা একাডেমীর উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজ এক সভায় স্বাধিকার আন্দোলনে যে কোন ত্যাগ স্বীকারের শপথ করেন। লায়লা আরজুমান্দ বানুর সভাপতিত্তে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন পটুয়া কামরুল আহসান। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন বাংলার স্বাধিকার আন্দোলনে শিল্পীরাও বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখতে পারে। অভিনেতা মোস্তফা তার বক্তৃতায় বলেন স্বাধিকার আন্দোলনে ইয়াহিয়ার সর্বশেষ বক্তব্য বাঙ্গালীদের জন্য অপমানজনক। খান আতাউর রহমান বলেন এখন লঘু বা চটুল সঙ্গীত শোনাবার সময় নয় এখন শিল্পী সাহিত্যিকদের জনগনের কাছে এসে বন্ধন মুক্তির গান শোনাতে হবে। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মোস্তফা জামান আব্বাসি, আনোয়ার হোসেন, হাসান ইমাম, রাজ্জাক, ওয়াহিদুল হক, আতিকুল ইসলাম, শামসুল হুদা চৌধুরী, সংবাদ পাঠক সিরাজুল মজিদ মামুন, তাকুল ইসলাম। সভা শেষে বেতার ও টেলিভিশন অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন রাজ্জাক, হাসমত, আলতাফ মাহমুদ, ফেরদৌসি রহমান প্রমুখ। চলচ্চিত্র শিল্পের ৩৩ জন শিল্পী এক বিবৃতিতে বলেন পূর্ব বাংলার ন্যায্য অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত রাখার সংকল্প ব্যক্ত করা হয়। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন আব্দুল জব্বার খান, খান আতাউর রহমান, সালাহউদ্দিন, ইফতেখারুল আলম, মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, মুস্তাফিজ, আনোয়ার হোসেন, শবনম, রাজ্জাক, রোজী সামাদ, কবরী, আজিম, সুজাতা, আবুল খায়ের, সুলতানা জামান, কিউ এম জামান, ই আর খান, মোস্তফা, আব্দুস সামাদ, নারায়ন ঘোষ, সত্য সাহা, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, চিত্ত চৌধুরী, মিলন, আলমগীর কুমকুম, হায়দার আলী, সুবল দাস, রাজ, আখতার হোসেন, নুরুল হক বাচ্ছু, আলতাফ মামুন, সুচন্দা, জহির রায়হান।
নোটঃ খুব নগণ্য সংখ্যকই পরে একাত্ম হয়েছিলেন।