You dont have javascript enabled! Please enable it! জামায়াতে ইসলামীর পরিচয় - সংগ্রামের নোটবুক

জামায়াতে ইসলামীর পরিচয়

জামায়াতে ইসলামী কেবল বাংলাদেশেই নয়, সমগ্র উপমহাদেশ জুড়ে একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী দল হিসেবে পরিচিত। এই দলের জন্ম ১৯৪১ সালে বৃটিশ ভারতে। ভারতে এই দলের পরিচয় বৃটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির তল্পিবাহক হিসেবে। পাকিস্তানের জন্মলগ্নে এর পরিচয় ছিল পাকিস্তান বিরােধী এবং এখন এর পরিচয় প্রতিক্রিয়াশীল * সামরিক জান্তার সহযােগী হিসেবে। বাংলাদেশে এই দলটির পরিচয় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরােধী এবং ‘৭১-এ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সহযােগী, খুনি আলবদর, রাজাকার, আলশামস-এর সংগঠক যুদ্ধাপরাধীদের দল হিসেবে। জামায়াত নিজেকে ইসলামের নিশান বরদার হিসেবে দাবি করে। এই দল পবিত্র কোরআন ও হাদিসের মওদুদীবাদী এমন সব ব্যাখ্যাবিশ্লেষণ উপস্থাপন করে, যা কেবল বিভ্রান্তিকরই নয়, প্রকৃত ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য তা চরম ক্ষতিকরও বটে। অতএব, জামায়াতের আসল পরিচয়, ধর্মের মুখােশধারী দলটির প্রকৃত স্বরূপ কি, তার উন্মােচন খুবই জরুরি। মওলানা মওদুদীর বাতিল ধ্যান-ধারণার বাস্তব রূপই হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। অন্যভাবে বলা যায়, পবিত্র ইসলামকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করে মওদুদী তার বাতিল ধ্যান-ধারণা প্রচারের মাধ্যমে কায়েমী স্বার্থবাদীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই ১৯৪১ সালের ২৬ শে আগস্ট জামায়াতে ইসলামী গঠন করেন। মওদুদীকে মওলানা লিখা হলেও তার শিক্ষাগত যােগ্যতা কি, তিনি কখনাে প্রকাশ করেননি।

কোনাে প্রমাণও পাওয়া যায় না। তবে এতটুকু জানা যায়, প্রথম জীবনে তিনি। সংবাদপত্রের সাথে জড়িত ছিলেন। এক পর্যায়ে হায়দরাবাদে চলে যান। সেখানে নিজামের পৃষ্ঠপােষকতায় তরজমানুল কোরআন শীর্ষক একটি সাময়িকী বের করেন। এক পর্যায়ে তিনি বৃটিশভক্ত মুসলিম আমলাদের মাধ্যমে তৎকালীন ঔপনিবেশিক শাসকদের নজরে পড়েন। একজন অবসরপ্রাপ্ত এসডিওর তত্ত্বাবধানে তাকে পাঞ্জাবের পাঠানকোটে বসিয়ে দেয়া হয়। এখান থেকে তিনি তার জামায়াতে ইসলামী ও তরজমানুল কোরআন সাময়িকীটির মাধ্যমে বৃটিশের দালালী আরম্ভ করেন। তিনি তার বক্তৃতা, বিবৃতি ও লেখায় একদিকে কংগ্রেসকে, অপরদিকে মুসলিম লীগকে জঘন্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন। এমনকি উপমহাদেশের আলেম সমাজও তার গালিগালাজ থেকে অব্যাহতি পায়নি। তিনি অবিভক্ত ভারতে বৃটিশদের দালালী করতে গিয়ে বলেছেন, “যদি ইংরেজদের সাথে আপনার শত্রুতা এজন্য যে, সে ইংরেজ, ছ’হাজার মাইল দূর থেকে এসেছে, আপনার দেশের বাসিন্দা। নয়, তবে আপনার শত্রুতা ইসলামী শত্রুতা নয়-অজ্ঞতাপ্রসূত শক্রতা। (সিয়াসী কাশমকাশ-মওদুদী) এভাবে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগ পর্যন্ত মওলানা মওদুদী ও তার দল। জামায়াতে ইসলামী বৃটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির দালালী করতে থাকে। পাকিস্তান হওয়ার পর তিনি লাহােরে চলে আসেন। পাকিস্তান বিরােধী ভূমিকার জন্য মওদুদী ও তার জামায়াতে ইসলামী কঠোর সমালােচনার সম্মুখীন। মওদুদী তার অতীত ভূমিকা বেমালুম ভুলে যান। তিনি বলেন, জামায়াত মুসলমানদের জন্য পৃথক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র চায়নি। তা নয়। পাকিস্তান দাবি সমর্থন না করার কারণ ছিল, যদি মুসলিম লীগ ব্যর্থ হয়, জামায়াত মুসলমানদের স্বার্থরক্ষায় এগিয়ে আসবে। এজন্য জামায়াতকে সংরক্ষিত শক্তি (Reserve Force) হিসেবে রাখা। হয়েছিল। কী অদ্ভুত যুক্তি! বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীও তাদের গুরু মওলানা মওদুদীর সে নীতিই অনুসরণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতীদের ভূমিকা কারাে অজানা নয়। কিন্তু তারা এখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। যে দল মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দান করেছে, যেসব বীর মুক্তিযােদ্ধা এদেশকে স্বাধীন করেছেন উল্টো তাদেরকেই জামায়াতীরা আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানাের চেষ্টা করছে। পাকিস্তানে এসে মওলানা মওদুদী ও তার দল জামায়াতে ইসলামী। পাকিস্তানী কায়েমী স্বার্থবাদীদের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে।

এজন্যই জামায়াতীরা মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আলবদর গঠন করে পাকিস্ত নী হানাদার বাহিনীর প্রতি সশস্ত্র সমর্থন জানায়। এক্ষেত্রেও তারা পবিত্র ইসলামকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করে। তারা মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলােতে অপপ্রচার করতে থাকে, পাকিস্তান না টিকলে এদেশে ইসলাম থাকবে না। ভারত এদেশ নিয়ে যাবে। তাদের বিরােধিতা সত্ত্বেও আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এদেশে ইসলাম আছে, থাকবে। ভারতও এদেশ নিয়ে যায়নি। ইসলামের প্রাথমিক যুগে যুদ্ধবন্দীদের তাদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী হত্যা কিংবা দাস-দাসীতে পরিণত করা হতাে। কাউকে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হতাে। কিন্তু যুদ্ধে পরাজিতদেরকে কখনাে রাজনৈতিক অধিকার দেয়া হয়নি। আর যারা বিনাযুদ্ধে মুসলমানদের সাথে সন্ধি স্থাপন করতাে, তাদের জিম্মি হিসেবে গণ্য করা হতাে। তাদেরকে জিযিয়া কর দিতে হতাে। বাংলাদেশে বর্তমানে জামায়াতসহ যারা পবিত্র ইসলামকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, তাদের প্রায় সবাই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বিরােধিতা করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তারা পাক হানাদার বাহিনীকে সর্বোতভাবে সহযােগিতা করেছে। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলেও জামায়াত, মুসলিম লীগ প্রভৃতি স্বাধীনতাবিরােধী দলগুলাের বাংলাদেশে রাজনৈতিক অধিকার লাভের কথা নয়। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে পবিত্র ধর্মকে রাজনীতি ও শােষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারকারী সাধারণ দালালরা বাংলাদেশে বাঁচার অধিকার লাভ করেছিল। রাজনৈতিক পুনর্বাসনের সুযােগ পায়নি। সাংবিধানিকভাবে তাদের রাজনীতি করা, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়। বস্তুত এই সিদ্ধান্তে ইসলামের নীতি ও আদর্শই বাস্তবায়িত হয়েছিল। সত্যিকথা বলতে কি, যারা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিরােধিতা করেছে, তারা সুযােগ পেলেই বাংলাদেশের ক্ষতি ছাড়া কল্যাণ করবে না, করতে পারে না। তারা চাইবে একাত্তরে পরাজয়ের প্রতিশােধ নিতে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তাদের এদেশীয় এজেন্টদের ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধ। সপরিবারে নৃশংসভাবে নিহত হওয়ার পর এদেশে আবার পাকিস্তানী স্টাইলের রাজনীতি প্রবর্তন করা হয়।

১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে। সামরিক সরকার একটি অধ্যাদেশ ঘােষণা করে। সামরিক সরকারের এই অধ্যাদেশ জারির পর লুণ্ঠন, অগ্নিসংযােগ, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে পবিত্র ইসলামকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করে। তারা মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলােতে অপপ্রচার করতে থাকে, পাকিস্তান না টিকলে এদেশে ইসলাম থাকবে না। ভারত এদেশ নিয়ে যাবে। তাদের বিরােধিতা সত্ত্বেও আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এদেশে ইসলাম আছে, থাকবে। ভারতও এদেশ নিয়ে যায়নি। ইসলামের প্রাথমিক যুগে যুদ্ধবন্দীদের তাদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী হত্যা কিংবা দাস-দাসীতে পরিণত করা হতাে। কাউকে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হতাে। কিন্তু যুদ্ধে পরাজিতদেরকে কখনাে রাজনৈতিক অধিকার দেয়া হয়নি। আর যারা বিনাযুদ্ধে মুসলমানদের সাথে সন্ধি স্থাপন করতাে, তাদের জিম্মি হিসেবে গণ্য করা হতাে। তাদেরকে জিযিয়া কর দিতে হতাে। বাংলাদেশে বর্তমানে জামায়াতসহ যারা পবিত্র ইসলামকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, তাদের প্রায় সবাই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বিরােধিতা করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তারা পাক হানাদার বাহিনীকে সর্বোতভাবে সহযােগিতা করেছে। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলেও জামায়াত, মুসলিম লীগ প্রভৃতি স্বাধীনতাবিরােধী দলগুলাের বাংলাদেশে রাজনৈতিক অধিকার লাভের কথা নয়। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে পবিত্র ধর্মকে রাজনীতি ও শােষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারকারী সাধারণ দালালরা বাংলাদেশে বাঁচার অধিকার লাভ করেছিল। রাজনৈতিক পুনর্বাসনের সুযােগ পায়নি। সাংবিধানিকভাবে তাদের রাজনীতি করা, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়।

বস্তুত এই সিদ্ধান্তে ইসলামের নীতি ও আদর্শই বাস্তবায়িত হয়েছিল। সত্যিকথা বলতে কি, যারা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিরােধিতা করেছে, তারা সুযােগ পেলেই বাংলাদেশের ক্ষতি ছাড়া কল্যাণ করবে না, করতে পারে না। তারা চাইবে একাত্তরে পরাজয়ের প্রতিশােধ নিতে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তাদের এদেশীয় এজেন্টদের ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধ। সপরিবারে নৃশংসভাবে নিহত হওয়ার পর এদেশে আবার পাকিস্তানী স্টাইলের রাজনীতি প্রবর্তন করা হয়। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে। সামরিক সরকার একটি অধ্যাদেশ ঘােষণা করে। সামরিক সরকারের এই অধ্যাদেশ জারির পর লুণ্ঠন, অগ্নিসংযােগ, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত রাজাকার আল-বদর ও অন্যান্য দালালরা বেরিয়ে আসে কারাগার থেকে। হাজার হাজার রাজাকার আল-বদর সগর্বে বিচরণ করতে থাকে স্বাধীন বাংলার শহর-বন্দর ও গ্রামে-গঞ্জে । এ সময় শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযােদ্ধাদের পিতামাতা, বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের নিভৃতে অশ্রুপাত ছাড়া কিছুই করার ছিলাে না। কিন্তু এসব ঘটনার মূল নায়ক সে সময়ের সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তি মুক্তিযােদ্ধা জিয়াউর রহমান তাঁর সহযােদ্ধাদের রক্তদানের কথা একটি বারও স্মরণ করেননি। দালাল হত্যাকারীদের ছেড়ে দিলে শহীদ পরিবারগুলাের মনের কি প্রতিক্রিয়া হবে, তিনি তা উপলব্ধি করার চেষ্টা করেননি। আসলে তখন তাঁর এসব ভাবার সময়ও ছিলাে না। তিনি তখন দালালদের নিয়ে দল করে দেশের সর্বোচ্চ চেয়ারটি দখল করার ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত ছিলেন। যার জন্য শাহ আজিজ, আবদুল আলিমের মতাে লােকদের স্বাধীন বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় নিতেও তাঁর এতটুকু বাধেনি। সে যাই হােক, ১৯৭৬ সালের আগস্ট মাসে রাজনৈতিক দল অধ্যাদেশ ঘােষিত হয়। এই সুযােগে স্বাধীনতা বিরােধী দলগুলােও সামরিক সরকারের স্বীকৃতি নিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযােগ লাভ করে। ১৯৭৮ সালের ১১ জুলাই গােলাম আযম পাকিস্তানী নাগরিক হিসেবে। পাকিস্তানী পাসপাের্ট নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তিনি অসুস্থ মাকে দেখার জন্য তিন মাসের ভিসা নিয়ে ঢাকায় আসেন। মুক্তিযােদ্ধা জিয়ার সরকারই গােলাম আযমকে বাংলাদেশে আসার অনুমতি প্রদান করে। ১৯৭৯ সালের ২৫, ২৬ ও ২৭ মে ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশে প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে। গােলাম আযমকে গােপনে আমীর নির্বাচিত করা হয় নাগরিকত্ব লাভ সাপেক্ষে। প্রকাশ্যে আব্বাস আলী খানকে অস্থায়ী আমীর এবং মওলানা ইউসুফকে সেক্রেটারী জেনারেল নির্বাচিত করা হয়।

১৯৯২ সালে বিএনপি সরকারের আমলে গােলাম আযম জামায়াতের আমীর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। পাকিস্তানী নাগরিক জামায়াতের আমীর হওয়ায় সারাদেশে আন্দোলনের ঝড় ওঠে। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে আমরা যারা আন্দোলনের পুরােভাগে ছিলাম, বিএনপি সরকার আমাদের ২৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করে। গােলাম আযমকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়। দু’হাজার সালের নভেম্বর মাসে তিনি জামায়াতের আমীরের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। মতিউর রহমান নিযামীকে বর্তমানে আমীর করা হয়েছে। জামায়াতের বিগত ৬৩ বছরের রাজনীতির প্রতি তাকালে দেখা যায় পবিত্র ধর্মের নামে কায়েমী স্বার্থ রক্ষায় এই দলটি শঠতা, সুবিধাবাদ এবং অন্তর্ঘাতমূলক নাশকতার নীতি কোনাে সময়ই হাতছাড়া করেনি। অবশ্য ধ্বংসাত্মক উদ্দেশ্যে তারা কোনাে কোনাে সময় জনগণের অধিকারের দাবি কেন্দ্র করে আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিনয়ও করেছে। কিন্তু অপ্রিয় হলেও একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলাে জামায়াতের এই ধূর্ততা উপলব্ধি করেনি। তবে হালে তারা অনেকটা উপলব্ধি করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে পানি অনেক দূর গড়িয়ে গেছে। জামায়াত এখন পুরােপুরি প্রতিষ্ঠিত। বিগত নির্বাচনের পর বিএনপি তাে পাকিস্তান আলবদর বাহিনীর প্রধান মওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও তার সহযােগী আলী আহসান মােঃ মুজাহিদকেও মন্ত্রী পরিষদে গ্রহণ করেছে। ইতিহাসের কি নির্মম পরিণতি! 

সূত্র : মুখোশের অন্তরালে জামাত