নিউজ উইক, ২২ নভেম্বর, ১৯৭১
ভারত- পাকিস্তান, যুদ্ধ না শান্তি ?
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সীমান্ত যুদ্ধ যুদ্ধে রূপান্তরিত হবে কিনা তা নিয়ে ওয়াশিংটন আধা-আধা দ্বিধাবিভক্ত।
এমনকি ক্যালেন্ডার অপমানজনক দেখায়। বর্ষাকাল শেষ হয়েছে এবং তুষার আসছে (যা পাকিস্তানকে দেবে চীনের সাহায্যের হাত) ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে। সময়সূচি অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিম পাকিস্তানে যুদ্ধের এটাই সঠিক সময় যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অধিকাংশই বেইজে থাকে।
সামরিক দৃষ্টিভঙ্গি ভারতকে সমর্থন করে, এমনকি দিল্লির সমস্ত দাবি প্রমাণিত হয় না। উদাহরণস্বরূপ, গত সপ্তাহে ৭০০০০ রিজার্ভকে নাটকীয় কল আপ করার ব্যাপারটি সম্ভবত শুধুমাত্র ৫০ (এইচ) যুদ্ধ-প্রস্তুত জোয়ান উত্পন্ন করবে। তা সত্ত্বেও ভারত সেনাবাহিনীর সংখ্যা পাকিস্তানের তিন গুন। এবং তার বিমানবাহিনী- যা ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে ব্যার্থ হয়েছিল – সেটাও অনেক বড় ও উন্নততর সরঞ্জামে সজ্জিত। ভারতীয়রা সোভিয়েত এটাক বোম্বার চালায় এবং এম আই জি – ২১ চালায়; পাকিস্তান অপ্রচলিত ইউএসএফ -৮৬ জেট বিমান এবং চীনা-নির্মিত এমআইজি -১৯ চালায়। তাছাড়া পাকিস্তানের শুধু এক মাসের যুদ্ধের জন্য পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।
শেষ মিনিটের কূটনৈতিক পদক্ষেপের উপর একমাত্র আশা আছে।রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া ইউএসকে বলেন, তিনি তার বাহিনীকে একতরফাভাবে ফিরিয়ে আনবেন- এবং বেআইনী বাঙালি সরকার এবং তার রাজনৈতিক বাহিনী , আওয়ামী লীগের সাথে সাক্ষাত করবেন। ভারত মনে করে পাকিস্তানের গৃহযুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ও শরণার্থী বন্যা বন্ধ নাও হওয়া পর্যন্ত তা প্রত্যাহার করবে না। জেলে বন্দী বাঙালির নেতা মুজিব মুক্তি দিতে হবে ও পূর্ব পাকিস্তানকে কিছুটা স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে।