1971.09.18 | ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ | আজকের এদিনে (with references)
১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ আজকের এদিনে
বাংলাদেশ সরকার
অস্র সাহায্যের জন্য বাংলাদেশ সরকার ইসরাইলে দুত পাঠিয়েছে মর্মে ভারতের কিছু পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে আজ বাংলাদেশ সরকারের মুখপাত্র তা অস্বীকার করেছে। মুখপাত্র বলেন কোন লোক বেসরকারি ভাবে এরুপ প্রচেষ্টা চালালে তার দায় দায়িত্ব তার নিজের। এর সাথে বাংলাদেশ সরকারের কোন সম্পর্ক নেই বাংলাদেশ সরকার এরুপ কোন প্রতিনিধি সেখানে পাঠায়নি। [যুগান্তর ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১]
আদম মালিক
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী আদম মালিক জাতিসংঘে বলেছেন বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী সপ্তাহে তার সাধারন পরিষদ সভাপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা। [ইত্তেফাক/কালান্তর ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১]
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান করাচীতে বলেছেন দেশের ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্র যে কোন গঠনমূলক সংশোধনের জন্য জাতীয় পরিষদে পেশ করা হবে। তিনি বলেন কমিটি দ্বারা লিখিত শাসনতন্ত্র সংশোধনের জন্য জাতীয় পরিষদকে ৯০ দিন সময় দেয়া হয়েছে। জাতীয় পরিষদ আলোচনা ও বিতর্ক শেষে চূড়ান্ত শাসনতন্ত্র প্রস্তুত করলে অস্থায়ী শাসনতন্ত্র বাতিল হয়ে যাবে। প্রেসিডেন্ট এর বক্তব্য এর উপর পিপিপি প্রধান জুলফিকার আলী ভূট্টো কোন প্রকার মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি নুরুল আমিন এ দিন করাচিতে আলাদাভাবে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে দেখা করেন। প্রেসিডেন্ট নুরুল আমীনকে বলেছেন প্রদেশ গুলোতে শাসনতন্ত্রে সর্বাধিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা হয়েছে। [সংগ্রাম ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১]
ওমেগা সদস্যদের কারাদণ্ড
যশোরে সামরিক আদালতে আটক বিদেশী ত্রান দল অপারেশন ওমেগা সদস্যদের ভুয়া ত্রান কর্মী আখ্যায়িত করে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সাজা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী ফ্লাইটে পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগ করা সময়কাল পর্যন্ত তারা সাজা ভোগ করবেন। দলটিতে ৪ জন সদস্য রয়েছেন। [সংগ্রাম ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১]
আটক বন্দীদের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন
পাকিস্তান সরকার ঘোষিত সাধারন ক্ষমার আওতায় প্রথম ধাপে ঢাকা নাটোর রংপুর কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে কিছু বন্দী মুক্তি দিয়াছে। এ সকল বন্দী গত ১ মার্চ থেকে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আটক হয়েছিল। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সরকারী কর্মচারী, সামরিক, আধা সামরিক বাহিনীর কিছু সদস্য আছে। এদের চাকুরীতে ফিরিয়ে নেয়া হবে এবং পূর্বের সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে। যে সকল বন্দী বেসরকারী চাকুরীতে কর্মরত ছিলেন তাদের চাকরীতে পুনর্বহাল করার চেষ্টা করবে সরকার। [ইত্তেফাক/পাকিস্তান/ সংগ্রাম ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১]
মন্ত্রী
মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে এবং তারা আগামীকাল থেকে অফিস করবেন।অর্থ আবুল কাশেম কাউন্সিল মুসলিম লীগ, শিক্ষা আব্বাস আলী খান জামাত, শিল্প বাণিজ্য ও আইন ব্যারিস্টার আখতার উদ্দিন কনভেনশন মুসলিম লীগ, কৃষি নওয়াজেশ আহমেদ স্বাস্থ্য অবায়দুল্লাহ মজুমদার ক্লিন আওয়ামী লীগ, রাজস্ব বিদ্যুৎ পূর্ত সেচ একেএম ইউসুফ জামাত, মৌলিক গণতন্ত্র মোঃ ইসহাক নেজামে ইসলাম, শ্রম এ এস এম সোলায়মান, সমবায় বন মৎস্য অংশু প্রু চৌধুরী উপজাতীয়, ত্রান শামসুল হক ক্লিন আওয়ামী লীগ। আগামীকাল থেকে তারা দপ্তরে অফিস করা শুরু করবেন।
[ইত্তেফাক/পাকিস্তান/ সংগ্রাম ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১]
যুদ্ধ সংবাদ
ফেনী সীমান্তে শ্রীনগর এলাকায় ১৯ রাজপুতানা রাইফেলস এর কর্নেল শর্মার মেজর রফিকের প্রথম মিটিং হয়। বর্ডারের কাছে ভারতীয় সৈন্যদের সহায়তায় পাকসেনাদের ছোট কয়েকটি অবস্থান হামলা করে মুক্ত করা্র সিদ্ধান্ত হয়। পাকসেনারা বর্ডার ক্রস করে যাতে পুনরায় আক্রমণ না চালাতে পারে সে ব্যাপারে ভারতীয় বাহিনীর সমর্থন পাওয়া কাজে লাগছে। রাজপুতানা রাইফেলস একটি গোলন্দাজ ব্যাটেলিয়ন। [মেজর রফিক ১১ টি সেক্টরের বিজয় কাহিনী]
১৭ টি মালবাহী নৌযান গায়েব
ঢাকা থেকে সিলেট গামী ১৭টি নৌযান দীর্ঘ ২ মাসেও বুকিং করা মাল নিয়ে সিলেট পৌঁছে নাই। ধারনা করা হচ্ছে দুষ্কৃতিকারীরা তা ভৈরবের অদুরে তা ধ্বংস করে দিয়েছে। [সংগ্রাম ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১]
আগা শাহী
জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আগা শাহী ভারতে আশ্রিত সকল শরণার্থীদের গননা করার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব উথান্ত এর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। [সংগ্রাম ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১]
জাতিসংঘে জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনের সভা
জাতিসংঘে জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনের সদস্যবর্গ এক সভায় মিলিত হয়েছেন। সভায় সারাদিন ব্যাপী আলাপ আলোচনা শেষে বাংলাদেশ নিয়ে একটি খস্রা প্রস্তাব ব্যাপক সমর্থন লাভ করে তবে মরক্কোর আপত্তির কারনে তা অনুমোদন হয়নি। গায়ানা প্রস্তাবটি উত্থাপন করে সমর্থন করে শ্রীলঙ্কা নেপাল মরিশাস চিলি সাইপ্রাস এবং যুগোস্লোভিয়া কিন্তু মরক্কো প্রস্তাবে উল্লিখিত রাজনৈতিক সমাধানের ঘোর বিরোধিতা করে। ভারতের পক্ষে সভায় অংশ নেন টিএন কাউল। [যুগান্তর ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১]
দালাল তৎপরতা
মুক্তি পেয়ে আতাউর রহমান খান
পাকিস্তান সরকারের সাধারন ক্ষমায় মুক্তিপ্রাপ্ত জাতীয় লীগ প্রধান পশ্চিম পাকিস্তানের করাচীর “আখবারে জাহান” পত্রিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন আওয়ামী লীগ ভারতের সহযোগিতায় পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিল। তিনি বলেন আমাদের উপর যত বালা মুসিবত এসেছে তার একমাত্র কারন জনগন আল্লাহ রাসুলের বিধি বিধান অমান্য করে চলেছি। এর অনিবার্য কারনেই আমাদের প্রতি আল্লাহর গজব নাজিল হয়েছে। তিনি বলেন গত বছরের সাইক্লোন ছিল আল্লাহ এর গজব। তিনি বলেন আওয়ামী লীগের কার্যকলাপ ক্ষমার যোগ্য নহে। তাদের কার্যকলাপের উপর অনুতপ্ত ও লজ্জিত হওয়া উচিত। আমরা (ভাসানি সহ) লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে যে স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তানের কথা বলেছি তা আলাদা পূর্ব পাকিস্তান নয় আমরা ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানের ভিতর থেকে স্বয়ং সম্পূর্ণ পূর্ব পাকিস্তানের স্লোগান দিয়েছি। মতানৈক্য ও বিদ্রোহের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। কিন্তু আওয়ামী লীগ ভারতের সহযোগিতায় পূর্ব পাকিস্তান কে পাকিস্তান থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিল। [ সংগ্রাম ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১]
প্রাদেশিক জামাত
জামাত নেতা আব্বাস আলী খান তার মন্ত্রী হওয়ার পর যে সকল শুভাকাংখি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদের প্রতি তিনি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের আমীর গোলাম আযম নতুন প্রাদেশিক মন্ত্রীসভাকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এই সংকটকালে মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করে মন্ত্রীসভার সদস্যরা শুধু যে বিপদের ঝুঁকি নিয়েছেন তাই নয়, তারা পাকিস্তানের শত্রুদের নির্মুল করার কাজে নিয়োজিত পাকিস্তানের বীর সেনাবাহিনীর প্রতি হতাশ ও আকাঙ্খিত মানুষের মধ্যে আস্থার ভাব ফিরিয়ে আনারও গুরুদায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তারা প্রদেশের ভগ্ন অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রানপন চেষ্টা করে যাবেন তা তিনি আশা করেন। তিনি আশা করেন মন্ত্রীসভা জনগন থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পাবে। [ সংগ্রাম ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১]
হামিদুল হক চৌধুরী
সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক এনডিএফ নেতা দৈনিক অবজারভারের মালিক হামিদুল হক চৌধুরী প্রদেশে বেসামরিক মন্ত্রীসভা গঠনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাকি ৪ প্রদেশেও তিনি অনুরূপ ব্যাবস্থা গ্রহনের আহবান জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন বেসামরিক সরকার জনগনের মধ্যের দূরত্ব কমিয়ে আনবে এবং ধ্বংস প্রাপ্ত অর্থনীতি সচল করার প্রচেষ্টা নিবে। [ সংগ্রাম ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১]
অন্যান্য
মন্ত্রী হিসেবে অং শু প্রু চৌধুরীর শপথ গ্রহন।
নেজাম নেতা ও স্বায়ত্তশাসন মন্ত্রী মওলানা ইসহাক জাতীয় ৩ নেতার মাজার জিয়ারত করেছেন। [ সংগ্রাম ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১]
জগজীবন রাম
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জগজীবন রাম দিল্লীতে ভারতের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি নিয়ে এক সেমিনারে বলেছেন পূর্ণ স্বাধীনতা ছাড়া বাংলাদেশের মানুষকে কোন কিছুই সন্তস্টো করতে পারবে না। তিনি বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা কেবলমাত্র রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমেই হতে পারে। তিনি বলেন মুক্তি বাহিনীর চাপ এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তজার্তিক জনমত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে এ দাবী মানতে বাধ্য করবে। তিনি বলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি বলেন তার তিন বাহিনী পাকিস্তান কে মোকাবেলার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে।
দিল্লী আন্তর্জাতিক সম্মেলন
দিল্লীর সেপ্পরা হাউজে বাংলাদেশ বিষয়ে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জয়প্রকাশ নারায়ণ। বিশ্বের ২৪টি দেশ থেকে ১৫০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ। সম্মেলনে জয়প্রকাশ বলেন, পাকিস্তান ভেঙে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের নেতারা দায়ী নন, দায়ী পাকিস্তানের জঙ্গি শাসকেরা। সম্মেলনে বাংলাদেশ সমস্যার সন্তোষজনক সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কিছু প্রস্তাব গৃহীত হয়। আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রথম দিনের আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সকল দেশ বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম সমর্থন করেন। বাংলাদেশ সরকারের কর্মকান্ড ও ভারতে শরণার্থীদের আশ্রয়দানকে তারা অভিনন্দন জানান। তারা পাকিস্তানের সামরিক ট্রাইব্যুনালে শেখ মুজিবুর রহমানের গোপন বিচারকে নিন্দা জানায় এবং শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের নির্বাচিত অন্য প্রতিনিধিদের দ্রুত ও নিঃশর্ত মুক্তির জন্য অনুরোধ জানায়। সম্মেলনে নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বি পি কৈরালা এবং সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ এ মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে পাকিস্তানের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ব্রিগেড গড়ে তোলার প্রস্তাব করেন। ফরাসী সাহিত্যিক আন্দ্রে মালরো এ প্রস্তাব সমর্থন করেন। [যুগান্তর/ কালান্তর ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১]
বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি
কলকাতায় বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে এক সভায় সভাপতিত্ব করেন সন্তোষ গুপ্ত। কমিটির সদস্য সংখ্যা ১১ জন। সমিতির আহ্বায়ক হয়েছেন কামাল লোহানী। সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ১০০ জন। [ইউএনআই/কালান্তর ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ]
শরণার্থী
মধ্য প্রদেশের মানা শরণার্থী শিবিরে শরণার্থীদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ গুলি চালালে দুই শরণার্থী নিহত হয়েছে। সকালে ত্রান বাবদ গম দেয়ার সময় কিছু শরণার্থী শিবিরের কর্মকর্তাদের মারধর করে। শিবিরের প্রধান কর্মকর্তা পরিস্থিতি সামাল দিতে আসলে তিনিও আক্রান্ত হন। এ সময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্র ভঙ্গের চেষ্টা চালায় এতেও তাদের দমন না করতে পেরে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। পরে শরণার্থীরা রায়পুর জেলা প্রশাসকের কাছে মিছিল সহকারে গিয়ে ঘটনার বিচার দাবী করে। জেলা শাসক সে গম তাদের আর দেয়া হবে না বলে আশ্বাস দেন। [পিটিআই/কালান্তর ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১]
শরণার্থী সাহায্যে সিকিমের রাজা বাংলাদেশ সহায়ক সমিতিকে তিনটি এ্যাম্বুলেন্স দান করেছেন। এস সি রায় সমিতির পক্ষে এ্যাম্বুলেন্স গুলি গ্রহন করেন। এ সময় গভর্নর এস ডায়াস উপস্থিত ছিলেন। সিকিমের রাজা এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বলেন বাংলাদেশের ঘটনায় সিকিম বাসীরা অত্যন্ত ব্যাথিত।
আন্তজার্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওমেগা বলেছে এ সপ্তাহেই আরও দুটি ত্রান দল পূর্ব পাকিস্তানে প্রবেশ করবে। তারা বলেছে এ দুটি দলে একজন করে চিকিৎসকও থাকবে। তারা পাকিস্তান সরকারের হাতে গ্রেফতারকৃত সদস্যদের মুক্তি দাবী করেন। [যুগান্তর ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১]
Prepared by Salah Uddin