রাজনীতির সাম্প্রদায়িক বিভাজন
হিন্দু-মুসলমানের ধর্মীয় বিচ্ছিন্নতাবােধ ও বিরােধ সামনে নিয়ে ভারতীয় রাজনীতির পার্শ্বপরিবর্তন এবং দুই ভিন্ন পথ ধরে চলার দায় কি এককভাবে। জিন্নার? এ প্রশ্নটা যুক্তিসঙ্গত ভাবেই মনে আসতে পারে। এসেছে বিশেষ ভাবে কিছু ভিন্ন মতের গ্রন্থ পাঠে । বইগুলাে ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাস বিষয়ক । লেখকদের অনেকে এ প্রশ্ন তুলেছেন এবং কারাে কারাে রায় জিন্নার পক্ষে। হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল বিজেপির শীর্ষনেতা যশবন্ত সিংয়ের ঢাউস বইতেও এ ধারণা প্রচ্ছন্নভাবে রয়েছে। অবশ্য এখানে দুলীয় রাজনৈতিক চিন্তা অর্থাৎ কংগ্রেস বিরােধিতা কাজ করেছে বলে মনে হতে পারে। কিন্তু যখন ঘটনা ঘটছে তখন স্বাধীনতা দেশের তরুণ মাত্রেরই প্রবল আবেগজড়িত আকাক্ষার বিষয়। সম্প্রদায়-চেতনার চেয়ে মানবিক চেতনা শ্রেয় হিসেবে বিবেচ্য। তারুণ্যের আদর্শবাদিতা সঙ্গীতাঁকে প্রশ্রয় দিতে চায় না, অবশ্য ব্যতিক্রম বাদে। চল্লিশের দশক এমন এক সময় যার সূচনা ও বিস্তার দেশের রাজনীতিতে দুই বেগবান স্রোতের ধারায়। বাঙালি তরুণের রােমান্টিক চেতনায় বিদ্রোহী কবি নজরুল অনেক কাছের মানুষ, অনুসরণীয় আদর্শের কবি। তেমনি অনুসরণীয় হয়ে ওঠে বিদ্রোহী শহীদ মঙ্গল পাণ্ডে কিংবা বিপ্লবী শহীদ ভগত সিং এবং তাদের উত্তরসূরি যত বিপ্লবী নায়ক। এক দশক আগেকার (১৯৩০) বাঙালি বিপ্লবী সূর্য সেন, প্রীতিলতা গর্ব ও অহঙ্কারের কেন্দ্রবিন্দু।
কিন্তু মানবিক চেতনার চেয়ে ধর্মের জোর বেশি, সেখানে রাজনৈতিক আদর্শ। যত শুদ্ধ হােক প্রায়ই মার খায় । আর প্রচারের জোর থাকলে তাে কথাই নেই। কাজেই আদর্শবাদিতার চেয়ে ধর্মীয় স্বাতন্ত্রবাদী চেতনা শক্তিমান হয়ে ওঠে চল্লিশের দশকের বছর কয়েকের মধ্যেই। এর প্রধান কারণ যেমন ভারতীয় রাজনীতির কিছু অনাকাক্ষিত বৈশিষ্ট্য, এর ধর্মবাদী প্রবণতা তেমনি এর ছােটবড় নেতাদের ক্ষমতার দড়ি নিয়ে টানাটানি। তবে মূল টানাটানিটা ছিল লীগকংগ্রেসে। পেছনে হিন্দুমহাসভা কিংবা আলেম ওলেমাদের সংগঠন বা আঞ্জুমান। ওই যে প্রচারের কথা বলেছি তা বাস্তবিকই তরুণ সমাজকে স্পর্শ করে, বিশেষত শিক্ষিত তরুণদের। মুসলিম লীগের লাহোের অধিবেশনের (১৯৪০)। সভাপতি জিন্না দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন হিন্দু ও মুসলমান দুই ভিন্ন। জাতি। তাদের সভ্যতা, সংস্কৃতি, ভাষাসাহিত্য, রীতিনীতি, মূল্যবােধ, ইতিহাস সবকিছুই আলাদা। আর এ যুক্তিতেই তিনি ভারতীয় মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র বাসভূমি চান যেখানে তারা আপন বৈশিষ্ট্য নিয়ে জীবনযাপন করবে। এক্ষেত্রে তিনি ধর্মের ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছিলেন সম্ভবত ভেবেচিন্তেই । কারণ মেধাবী আইনজীবী ভালাে করেই জানতেন, ধর্মের ঢাক সবচেয়ে জোরে বাজে। বেজেছিলও তাই।
আর সেজন্যই তার লাহাের বক্তৃতার উল্লিখিত অংশটুকুর লাখ লাখ কপি। ভারতের প্রতিটি প্রদেশে মুসলমানদের কাছে পাঠানাে হয়। এ তথ্যের সূত্র কামরুদ্দিন আহমদ। এর ফল মেলে কিছুটা ধীরে হলেও। বিশেষ করে যুক্ত প্রদেশ ও পশ্চাৎপদ বাঙালি মুসলমান সমাজে। এর কয়েক দশক আগে উত্তর। ভারতীয় মাওলানা ও তাদের বাঙালি অনুসারীদের ধর্মীয় শুদ্ধিকরণ বিষয়ক বক্তৃতাদির প্রভাব বঙ্গীয় মুসলমান সমাজে সম্প্রদায়-চেতনার জমি তৈরি করে রেখেছিল। এবার তাতে বীজ রােপণ করা হলাে। জিন্নার সমপ্রদায়বাদী ওইসব যুক্তি যে ধােপে টেকে না তা চোখ-কান একটু খােলা রেখে বিচার ব্যাখ্যা করলেই বােঝা যায় । যেমন প্রস্তাবিত পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় অধিবাসীদের সঙ্গে ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস, পােশাক-পরিচ্ছদ বা ইতিহাস-ঐতিহ্যে বাঙালি মুসলমানের কোনাে মিল নেই। এক ধর্মীয় মিল ছাড়া। সে হিসেবে তারা ভিন্ন জাতিভুক্ত। গান্ধি এমন একটা জবাবই দিয়েছিলেন জিন্নার ওই বক্তব্যের বিপরীতে। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর জিন্না ও তার পরবর্তী শাসকগােষ্ঠী তাদের আচরণে তেমন প্রমাণই। রাখেন। যে জন্য শেষ পর্যন্ত পূর্ববঙ্গ ধর্মীয় ভিত্তিতে নয়, জাতিসত্তার ভিত্তিতে এবং প্রধানত অর্থনৈতিক কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। নিশ্চিত করে। সে ঘটনা অনেক পরের । এবার জিন্নার পক্ষে ঐক্যের পথ থেকে সরে যাওয়ার কারণ খুঁজে দেখা। যাক। এখানে নানা জনের নানা মত এবং সে ক্ষেত্রে জিন্নার ব্যক্তিজীবনের ঘটনাবলী প্রাধান্য পেলেও রাজনৈতিক কারণও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, যা ঘুরেফিরে ব্যক্তিকে, তার অহমবােধকে আঘাত করেছে। সেজন্য তার ব্যক্তিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ পরস্পরের পরিপূরক হয়ে ওঠে। অথবা বলা চলে, দুয়ে মিলে এক গন্তব্যে বিলীন। তবে জিন্নার সমম্বয়বাদী চিন্তা থেকে সরে । আসার পেছনে কংগ্রেসেরও দায় কম ছিল না।
জিন্না আরাে অনেকের মতাে লক্ষ্য করেন ভারতের মুসলমান উচ্চশ্রেণী ও শিক্ষিত সমাজের সুযােগ-সুবিধায় পিছিয়েপড়া অবস্থা, সেই সঙ্গে প্রতিযােগিতায় অধােগতি। একে সংখ্যালঘু, অন্যদিকে শাসক ইংরেজের বিরূপ মনােভাবদুটো কারণই মুসলমানদের অধােগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এর। সঙ্গে যুক্ত হয় ওয়াহাবি আন্দোলন ও মাওলানাদের রক্ষণশীল এবং ইংরেজবিরােধী ফতােয়া, যা অন্তত বাঙালি মুসলমানের সামাজিক অধােগতির অন্যতম কারণ। বিশেষ করে শিক্ষায়। এরপর সংঘটিত হয় হাজী শরীয়ত উল্লাহর ফারায়েজি আন্দোলন, যা কৃষকের উন্নতি বিষয়ক হলেও ধর্মীয় চেতনাভিত্তিক। যুক্তি, তথ্য দিয়ে সাজাতে গেলে জিন্নার দ্বিজাতিতত্ত্বের কোনাে বাস্তব ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। জিন্না একজন আধুনিক চিন্তার মানুষ। তিনি ভালােভাবেই জানতেন, আধুনিক জ্ঞানের বিচারে জাতি ও ধর্মীয় জনগােষ্ঠী এক সংজ্ঞায় পড়ে। শুধু তাত্ত্বিক বিচারে নয়, রাষ্ট্রনৈতিক ক্ষেত্রে এর বাস্তব প্রমাণ বিশ্বজুড়ে ছড়ানাে। জাতি ও ধর্মীয় জনগােষ্ঠী যদি এক হতাে বিশ্ব খুব সরলরেখায় ভাগ হয়ে যেত ধর্মকে ভিত্তি করে খ্রিস্টান, মুসলমান, বৌদ্ধ, হিন্দু ইত্যাদি পরিচয় নিয়ে অর্থাৎ ধর্মীয় রাষ্ট্র হিসেবে কিন্তু তা হয়নি। শুধু যে হয়নি তা নয়, মুসলমান রাষ্ট্র বনাম মুসলমান রাষ্ট্রে বিরােধ, যুদ্ধ ইত্যাদি বাধত না। প্যান ইসলামিজম’ যেমন পায়ের নিচে মাটি পায়নি, তেমনি পায়নি মধ্যযুগের ইউরােপে খ্রিস্টীয় ভুবন । জাতিসত্তা, ভাষা, সংস্কৃতি ইত্যাদি নিয়ে একই ধর্মবিশ্বাসী জনগােষ্ঠী ভিন্ন ভিন্ন জাতিরাষ্ট্র গঠন করে তা প্রমাণ করেছে। যেমন মধ্যপ্রাচ্যে তেমনি আফ্রিকার আরব দুনিয়ায়- মিশর বা সুদান থেকে আলজিরিয়া। এরপরও কথা থাকে জিন্না ভারতীয় মুসলমানদের এক জাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। বলেছিলেন ধর্মবিশ্বাস, খাদ্যাভ্যাস এবং অনুরূপ একাধিক বিষয়ে ভারতীয় মুসলমান এক জাতি। সে কথাও তথ্যনির্ভর ছিল না। একমাত্র ধর্মবিশ্বাস ছাড়া আর কোনাে বিষয়ে (যেমন ভাষা, সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস, পােশাক ইত্যাদি) বাঙালি মুসলমানের সঙ্গে কোনাে মিল নেই উত্তর ভারতীয় মুসলমানের । নেই পশ্চিম ভারতীয় অর্থাৎ পাঞ্জাবি, বেলুচি, পাঠানদের সঙ্গে এসব দিক থেকে মিল।
তেমনি বিহার ও উত্তর ভারতীয় মুসলমানের সঙ্গে পশ্চিম ভারতীয় মুসলমানের রয়েছে একাধিক বিষয়ে অমিল। যেমন সিন্ধি, বালুচ ও পাখতুনদের সঙ্গে উত্তর ভারতীয় মুসলমানদের অমিল, বিশেষ করে ভাষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে। অমিল পাঞ্জাবিদের সঙ্গে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের বিরূপতা । তাহলে এত অমিল নিয়ে তারা কীভাবে এক জাতি হিসেবে বিবেচিত হয়? না, হয় না। আর দাক্ষিণাত্য তাে একেবারে ভিন্ন। তাই করাচিতে উদ্বাস্তু বিহারি ও স্থানীয় সিন্ধিতে এখনাে চলে সংঘাত, কখনাে দাঙ্গা। বালুচরা পাঞ্জাবি শাসন মেনে নিতে চাইছে না বলে সেখানে বােমা ফেলতে বাধেনি আইয়ুব শাসনের। এই দ্বন্দ্বে আরাে অনেকের মতাে জাতীয়তাবাদী বালুচ নেতা নওয়াব আকবর খান বুগতি বছরকয় আগে কেন্দ্রীয় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে প্রাণ দিলেন। পাখতুনদের স্বশাসনের জন্য আমৃত্যু লড়ে গেলেন লাল-কুর্তা নেতা আবদুল গাফফার খান, ওয়ালি খান। তবু হুজুগ মেটেনি পাকিস্তানে। আর ভারতীয় মুসলমানদের স্বার্থেই যদি ভারতবিভাগ হয়ে থাকে তাহলে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র পাকিস্তানে সব ভারতীয় মুসলমানের স্থান হলাে না কেন? কেন জিন্না পেছনে ফেলে এলেন অসহায় কয়েক কোটি ভারতীয় মুসলমানকে? পাকিস্তান গঠনের এ অবাস্তবতা নিয়ে দেশবিভাগের আগে ও পরে অনেক কথা বলেছেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। সমস্যা সমাধানের ভুল পথ ধরে পরবর্তী সময়ে অনেক সমস্যার জন্ম দিয়েছেন পাকিস্তানের স্থপতি মােহাম্মদ আলী জিন্না।
আমার দৃঢ়বিশ্বাস এক ধরনের প্রখর চাতুর্য ব্রিটিশ রাজনীতির গভীরে লুকনাে ছিল এবং সেটা তাদের রাষ্ট্রনৈতিক তথা সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থের টানে নানা চেহারায় বেরিয়ে এসেছে। অন্তত ভারতবর্ষের ইতিহাস বা ইতিকথা রচনায় এমন ইংরেজ ইতিহাসবিদ কমই আছেন যিনি নিরপেক্ষতার পরিচয় রেখেছেন। তাদের যুক্তি তাদের রাষ্ট্রিক স্বার্থের চারদিকে ঘুরপাক খেয়েছে। সাম্রাজ্যের স্বার্থে টডদের মতাে লেখকরা রাজস্থানি, মারাঠি ও শিখদের নিয়ে মুসলমান শাসকদের বিরুদ্ধে গালগল্প রচনা করে হিন্দু-মুসলমান-মারাঠি-শিখদের চেতনায় মুসলমান বিদ্বেষের বীজ রােপণ করেছেন যা কালক্রমে বিভেদ ও বৈরিতায় পরিণত হয়েছে। তাদের সুবিখ্যাত মীতি ‘ভাগ কর শাসন কর’ তাে সবারই জানা। আর ওই গালগল্পে রবীন্দ্রনাথের মতাে মানবতাবাদীও প্রভাবিত হয়েছেন। সে প্রমাণ ধরা আছে তার কোনাে কোনাে কবিতায় । ভারত বিভাগ নিয়ে হডসন, ভারত ইতিহাস নিয়ে পার্সিভাল পিয়ার্সের মতাে আধুনিকমনারাও পূর্বকথিত সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব থেকে সর্বাংশে মুক্ত হতে পারেননি। ব্যতিক্রম সামান্য। ভারত বিভাগের প্রেক্ষাপটে হিন্দু-মুসলমানের স্থায়ী বিভেদ-বৈরিতা হডসন অনেকটা আদি পাপের মতাে করে দেখিয়েছেন যার ফলে ভারত বিভাগ অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তাতে ইংরেজ শাসকের ভূমিকা গৌণ । ঘটনা কি তেমন কথা বলে? মধ্যযুগীয় ভারত ও সুলতানি আমলের বাংলার ইতিহাস পুরােপুরি তেমন সাক্ষ্য দেয় না। বরং অনেকটা ভিন্ন। কথাই বলে।
তবে তিনি ইতিহাসের একটি সত্য ঠিকই বলেছেন যে, শাসক, রাজনীতিক। ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ভূমিকার চেয়ে ইতিহাসের শক্তি ও ঘটনাবলীর প্রভাব অবশেষ পরিণতির জন্য প্রবলভাবে দায়ী। তাই নাটকের শেষ অঙ্কে পৌছে ভাইসরয় লিনলিথগাে ও লর্ড ওয়াভেল, মাউন্টব্যাটেন ও ক্রিপস, গান্ধি, জিন্না, সিকান্দার হায়াত খান ও জওহরলাল নেহরু এবং সংশ্লিষ্ট অন্য সবাই ঘটনার টানে নিছক পুতুল বই কিছু নন। এ ক্ষেত্রে ইতিহাসবিদের কাজ হলাে কোন ঘটনাগুলাে নিয়ন্ত্রক তা শনাক্ত করা যা ইতিহাসের ধারা নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং কারা সেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ও কেন নিয়েছেন তা উদঘাটন করা। ঘটক। হিসাবে রয়েছে তাদের দায়। এ কথা ঠিক, ইতিহাসের ওই সব নিয়ন্ত্রক ঘটনা এবং ঘটনার নেপথ্য নায়কদের তৎপরতা ও সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণেই বেরিয়ে পড়ে আসল কার্যকারণ সম্বন্ধ এবং সে ক্ষেত্রে দূরের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বিশ্লেষণও দরকার হয়। যেমন ১৮৫৭ সালে সূচিত সিপাহি-রাজন্যদের মহাবিদ্রোহ, যা ব্রিটিশ শাসনের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল। কিছু বিশেষ ঘটনা ও কারণ ইংরেজ শাসকের পক্ষে গেছে বলেই তাদের জয় নিশ্চিত হয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়াও ছিল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র : দেশবিভাগ-ফিরে দেখা – আহমদ রফিক