ব্রিটেনের বাংলাদেশ তহবিলে ছয় লাখ পাউন্ডের হিসাব নেই
লন্ডন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড উইলসনের নিকট বাংলাদেশ ত্রাণতহবিল সম্পর্কে পূর্ণ তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানানাে হয়েছে। নিখোজ পার্লামেন্ট সদস্য জনস্টোন হাউস এই তহবিলের ট্রাস্টি ছিলেন। ডেলী মিরর এই সংবাদ দিয়েছেন। বাংলাদেশ ত্রাণ তহবিল নিয়ে বিরাট অবিচার ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে এই মর্মে মি. উইলসন একটি চিঠি পান। সংখ্যালঘিষ্ঠ কাউন্সিলের মহামান্য মাইকেল স্টক এই চিঠি লেখেন। তিনি তাঁর চিঠিতে লিখেন যে, ব্রিটেনে বসবাসকারী বাঙালিরা যে বিপুল পরিমাণ অর্থ এই তহবিলে দান করেছেন তা কখনাে বাংলাদেশের দুর্গতদের কাছে পৌছায়নি।
১৯৭২ সালে যখন তহবিলে চাঁদা সংগ্রহ বন্ধ করে দেয়া হয় তখন পর্যন্ত এই তহবিলে ১০ লাখ পাউন্ডের ওপরে ছিল কিন্তু রশিদ বইয়ে মাত্র ৪১২০৮৩ পাউন্ডের হিসাব পাওয়া যায়। হিসেবে দেখা গেছে যে, ৩৭৬৫৬৮ পাউন্ড স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকী অর্থ বিভিন্ন খরচপত্রের জন্য ও অন্য তহবিলে দেয়ার জন্য ব্যয় হয়েছে বলে বলা হয়েছে।
প্রথমে সংগ্রাম কমিটির কাছে ১৩৩৫টি রশিদ বই দেয়াহয় পরে তহবিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় ১৫৩টি রশিদ বই হারিয়ে যায় বলে জানা গেছে ও ৫৬টি ফেরত পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ ত্রাণ তহবিলে পাঁচ লাখ পাউন্ডেরও ওপর অর্থের কোনাে হিসাব নেই এই অভিযােগ মিসেস স্টোন হাউস গত বৃহস্পতিবার রাতে অস্বীকার করেন।৮৯
রেফারেন্স:
৩০ নভেম্বর ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত