অর্থাভাবে কোনাে প্রকল্পের কাজ সাঙ্গ হচ্ছে না
সংসদ ভবন: যেসব এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ কাজ আংশিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং যার ফলে ওই এলাকার কৃষকরা উপকৃত হচ্ছে সেসব এলাকায় কৃষকদের ওপর নতুন করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ট্যাক্স ধার্য করার বিষয়টি সরকার বিবেচনাধীন করেছেন। জাতীয় সংসদে বন্যা নিয়ন্ত্রণ পানিসম্পদ ও বিদ্যুত্মন্ত্রী জনাব আবদুর রব সেরনিয়াবাত সংসদ সদস্য জনাব মইনুদ্দিন নিয়াজীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। মন্ত্রী সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শেখ আবদুর রহমানের একটি প্রশ্নের উত্তর দান কালে বলেন, পানি উন্নয়ন বাের্ডের মােট ১৮ হাজার ৩শত ৫৭ জন কর্মচারীর। পেছনে বার্ষিক বেতন বাবদ ৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে। অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বাের্ডের এখনাে কোন আয়ের উৎস হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন। বর্তমানে পানি উন্নয়ন বাের্ডে প্রয়ােজনের তুলনায় অতিরিক্ত কর্মচারী আছে কিনা এ প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী না সূচক উত্তর দেন। লবণাক্ত ও জলাবদ্ধতা বন্যা নিয়ন্ত্রণ পানিসম্পদ ও বিদ্যুৎ বিভাগের মন্ত্রী জনাব আবদুর রব সেরনিয়াবাত জাতীয় সংসদে বলেন প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জমির লবণাক্ততা জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় লবণাক্ত প্রতিকারের জন্য উপকূলীয় বাঁধ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ শত ৬৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১ লাখ ৪০ হাজার একর জমির সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই প্রকল্প ১৯৮২ সাল নাগাদ শেষ হলে জলাবদ্ধতা প্রতিকারের জন্য প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ২৬টি সম্মিলিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশন প্রকল্পের অধীনে মােট ১০ লাখ একর জমি আনুমানিক ২শ ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে উদ্ধার করা হবে।এ সমস্ত প্রকল্প ১৯৮৬ সাল নাগাদ বাস্তবায়িত হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মন্ত্রী সংসদ সদস্য জনাব আবুল কালাম মজুমদারের এক প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। জনাব আবদুর রব সেরনিয়াবাত বলেন, লবণাক্ত ও জলাবদ্ধতার জন্য দেশের আনুমানিক ৪৭ লাখ ৮৬ হাজার একর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, লবণাক্ত প্রতিকারের জন্য উপকূলীয় বাঁধ প্রকল্পের অধীনে ৪ লাখ একর জমি পুরােপুরি সংরক্ষণ ও ১ লক্ষ ৬০ হাজার একর জমি আংশিক সংরক্ষণ করা হয়েছে।
বন্যা: বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানিসম্পদ ও বিদ্যুম্মন্ত্রী জনাব আবদুর রব সেরনিয়াবাত সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ কালাম মজুমদারের অপর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে বলেন, অর্থের স্বল্পতায় বন্যা নিয়ন্ত্রণের কোন প্রকল্পের কাজ পুরােপুরি সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে চলতি বছর বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে যে অর্থের প্রয়ােজন তা পাবার আশা রয়েছে। জনাব আবদুর রব সেরনিয়াবাত বলেন, যদিও কোন প্রকল্পের কাজ পুরােপুরি সমাপ্ত হয়নি তবুও আংশিক কাজ করার ফলে ৪ লাখ একর পূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং ১ লাখ ৬০ হাজার এলাকায় আংশিকভাবে বন্যা নিরােধ করা হয়েছে।৬২
রেফারেন্স:
২১ নভেম্বর ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত