You dont have javascript enabled! Please enable it! 1974.10.24 | জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে ড. কামাল হােসেন | বাংলার বাণী - সংগ্রামের নোটবুক

জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে ড. কামাল হােসেন

ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হােসেন বলেছেন, জাতিসংঘ একটি কার্যকর মঞ্চ যেখানে মানব জাতির কল্যাণের জন্য কাজ করা হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের এই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাবে। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। আণবিক শক্তি কেন্দ্রে বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতি আয়ােজিত এক সেমিনারের উদ্বোধনকালে ড. কামাল হােসেন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযােগিতা আদর্শে বিশ্বাসী। কৃষিমন্ত্রী জনাব আবদুস সামাদ আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারের আলােচক ছিলেন শিক্ষাবিদ জনাব কবির চৌধুরী, ড. নীলিমা ইব্রাহিম ও ড. রওনক জাহান। ড. কামাল হােসেন তার উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মােকাবেলার প্রয়ােজনে বিশ্ব সহযােগিতার কৌশল উদ্ভাবনে জাতিসংঘকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম হিসেবে কাজ করতে হবে।

বিশেষ করে গরীব ধনী উন্নত উন্নয়নকামী দেশগুলাের কল্যাণে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এবং পরিকল্পনা উদ্ভাবনের জন্য এখন থেকেই জাতিসংঘের তৎপর হতে হবে। বাংলাদেশ তার জন্মলগ্ন। হতেই মুক্তিকামী মানুষের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আসছে বলে ড. কামাল হােসেন মন্তব্য করেন। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ এই লক্ষ্যস্থির করবে বলে তিনি ঘােষণা করেন। বাংলাদেশের বন্যাদুর্গত মানুষকে সাহায্য দেবার জন্য জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল বিশ্ববাসীর কাছে যে আবেদন জানিয়েছিলেন, তার জন্য ড. কামাল হােসেন ধন্যবাদ প্রকাশ করেন। মানবজাতির কল্যাণে আন্তর্জাতিক সহযােগিতাকে প্রসারিত করার ব্যাপারে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের অবদান নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় বলে ড. কামাল হােসেন মন্তব্য করেন। সভাপতির ভাষণে কৃষিমন্ত্রী জনাব আবদুস সামাদ আজাদ বলেছেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের মহান আদর্শ বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, গরীব দেশগুলাের কল্যাণের জন্য জাতিসংঘে বৃহৎ শক্তিবর্গকে এগিয়ে আসতে হবে। পরস্পর সহযােগিতা ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানব জাতির কল্যাণ সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন।৭২

রেফারেন্স:

২৪ অক্টোবর ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত