You dont have javascript enabled! Please enable it! 1974.10.10 | ব্রিটেন ও আই ডি এ ৫৭ কোটি টাকা দিচ্ছে | বাংলার বাণী - সংগ্রামের নোটবুক

ব্রিটেন ও আই ডি এ ৫৭ কোটি টাকা দিচ্ছে

ঢাকা: বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমস্যাবলী উত্তরণে সাহায্য সহযােগিতার জন্য আরাে একটি বন্ধুদেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বৃহস্পতিবার মােট ৫৮ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। যুক্তরাজ্য পণ্য সাহায্য হিসেবে বাংলাদেশকে ১৮ কোটি টাকা দেবে। এর শতকরা ৩৫ ভাগই গ্রান্ট ও অবশিষ্টাংশ সুদমুক্ত ঋণ হিসেবে দেয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা আইডিএ দেবে ৪০ কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণ। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা আইডিএ শিল্প ও কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন সম্প্রসারণে ও সংরক্ষণর জন্য বাংলাদেশকে পাঁচ কোটি আমেরিকান ডলার ঋণ বরাদ্দ করেছে। কৃষি ও শিল্পখাতে বিরাজমান সমতার অপেক্ষাকৃত ভালাে সম্ভাব্যহারের জন্য প্রয়ােজনীয় যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আমদানির প্রয়ােজনীয় ঋণ যােগাবে।

বর্তমান মুহূর্তে বাংলাদেশের কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ আমদানি আশু প্রয়ােজন। এই আমদানি না করা হলে দেশের শিল্পখাতে উৎপাদনের গতি কমে যাবে। প্রয়ােজনীয় ভােগ্যপণ্য আরাে দুমূল্য হয়ে উঠবে। এছাড়া কৃষিখাতে উৎপাদন, সার তৈরি এবং সেচের যন্ত্রপাতির খুচরা যন্ত্রাংশের অভাবে বাড়তে পারবে না। এই আই ডি এ এর ঋণ’১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরের জন্য কাচামাল, যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানির জন্য বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার আংশিক প্রয়ােজন মিটবে।

এই ঋণ যে সমস্ত শিল্প কারখানার সাহায্য হবে তা হলাে পাট, কাগজ ও চায়ের মতাে রপ্তানি প্রধান শিল্প। সুতীবস্ত্রের মতাে মৌলিকএবং অন্যান্য খাতের উৎপাদনে সাহায্যকারী প্রয়ােজনীয় মাধ্যমিক জিনিসপত্র ও সার্ভিস উৎপাদনকারী (সার, নির্মাণ শিল্প এবং বাণিজ্যিক শিল্প)। এই ঋণের সাহায্যে সেচ কার্যে ব্যবহৃত লাে লিফট পাম্পের যন্ত্রাংশ আমদানি করা হবে। এই আইডিএ ঋণ বাংলাদেশ সরকারকে ১০ গ্রেস পিরিয়ড সহ মােট পঞ্চাশ বছরের জন্য দেওয়া হয়েছে। এই ঋণ সুদমুক্ত কিন্তু আই ডি এর প্রশাসনিক খরচ বহন করার জন্য এই ঋণের জন্য শতকরা দশমিক পঁচাত্তর ভাগ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।

ব্রিটিশ পণ্য সাহায্য: যুক্তরাজ্য গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির অধীনে বাংলাদেশকে কমােডিটি এইড হিসেবে নব্বই লাখ পাউন্ড (১৮ কোটি টাকা) দেবে। এই সাহায্যের সম্পূর্ণ অর্থই অবিলম্বে যুক্তরাজ্য থেকে প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্র ও সার্ভিসের জন্য ব্যয় করা হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব সৈয়দুজ্জামান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার মি. এ এ গােল্ডস যথাক্রমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ হয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।২৯

রেফারেন্স:

১০ অক্টোবর ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত