You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.06.19 | টিক্কা খান করাচিতে - সংগ্রামের নোটবুক

১৯ জুন শনিবার ১৯৭১

ঢাকার সামরিক গভর্নর লে. জেনারেল টিক্কা খান করাচিতে বলেন, পাকিস্তান জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সকল খাঁটি পাকিস্তানি উদ্বাস্তুকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত। তিনি স্বীকার করেন, দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযােদ্ধা) ধ্বংসাত্মক কাজের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল লাইনের চারটি প্রধান সেতুর ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সেতুগুলাে মেরামত ও পুনঃনির্মাণের কাজ শেষ হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যােগাযােগ পুনরায় চালু হবে। তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় রেল লাইনগুলাে সবসময় নাশকতাকারী ও অনুপ্রবেশকারীদের ধ্বংসাত্মক কাজের শিকার হচ্ছে। পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামের আমীর অধ্যাপক গােলাম আজম রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া। খানের সাথে সাক্ষাৎ করে পূর্ব পাকিস্তান’ প্রসঙ্গে পরামর্শ দেন। অধ্যাপক গােলাম আজম রাওয়ালপিন্ডিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, পাকিস্তান শুধু টিকেই থাকবে না, শক্তিশালীও হবে। তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ছাড়া দেশকে বিচ্ছিন্নতার হাত থেকে রক্ষা করার বিকল্প কিছু ছিল না।  মুক্তিবাহিনী দিনাজপুর জেলার কিশােরগঞ্জ সীমান্ত ফাঁড়ি আক্রমণ করে। কুমিল্লা, যশাের, খুলনা ও সিলেট জেলার কয়েকটি এলাকায় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর গােলা বিনিময় হয়। পাকবাহিনী চাঁদাবাজিতে মুক্তিবাহিনীর ওপর স্থল ও বিমান হামলা চালায়।  ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন রাম আসানসােলে এক জনসভায় বলেন, বাঙালি শরণার্থীরা অবরুদ্ধ পূর্ব পাকিস্তানে নয়, শেষ মুজিবুর রহমানের স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরতে আগ্রহী। ভারতে আশ্রয়গ্রহণকারী বাংলাদেশের শরণার্থী সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৯ লাখ ২৩ হাজার ৪শ ৩৯ জনে।

সূত্র : দিনপঞ্জি একাত্তর – মাহমুদ হাসান