অপঘটনা ও দুর্ঘটনা পঞ্জি : ১৯৭২-৭৫
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে উত্তেজনা ও উত্তাল সময় বয়ে গিয়েছে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত। দেশের সশস্ত্র স্বাধীনতাযুদ্ধের পরপর কিছু কিছু উত্তেজনা ছিল স্বাভাবিক। কিছু উত্তেজনা ছিল সরকার ও বিরোধীপক্ষ উভয় রাজনীতিকদেরই চরম দায়িত্বহীনতা এবং হিংসাশ্রয়ী কর্মকান্ড থেকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগও ছিল এ সময়ের বিশেষ ঘটনা। এসব ঘটনাবহুল পঞ্জি ছিল নিম্নরূপ :
১৯৭২ জানুয়ারী
৩১ জানুয়ারী : নগরবাড়ি ঘাটে ১৪ জন গেরিলার সলিল সমাধি।
ফেব্রুয়ারী
৪ ফেব্রুয়ারী : মিরপুরে দুর্বৃত্তদের মর্টার ও মাইন ব্যবহার। অফিসার সহ বাংলাদেশ বাহিনীর কিছু সৈন্য ও পুলিশ নিহত।
ঝালকাঠিতে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে পাঁচ শতাধিক আহত।
৬ ফেব্রুয়ারী : বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি।
১০ ফেব্রুয়ারী : ঢাকায় শোচনীয় বিমান দুর্ঘটনা। ক্যাপ্টেন খালেক সহ ৫ জন বৈমানিক নিহত।
২৩ ফেব্রুয়ারী : কুমিরার অদূরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ। মেডিকেল অফিসার সহ ৬ জন নিহত, ৪০ জন আহত।
২৫ ফেব্রুয়ারী : চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ পল্লীতে অগ্নিকান্ড। ৬টি শিশু সহ ১০ জনের প্রাণহানি। ২০ জন আহত।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬ জন মুক্তিযোদ্ধার অনশন ধর্মঘট।
মার্চ
১৩ মার্চ : মতলবগঞ্জের কাছে পদ্মা নদীতে লঞ্চদুর্ঘটনা। নববধূ ও বরযাত্রীদলের ৩ জনের মৃত্যু।
৩১ মার্চ : হোটেল ইন্টারকনের সামনে হোটেলকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। ২২ জন আহত। পুলিশের কয়েক রাউন্ড ফাঁকা আওয়াজ।
এপ্রিল
১ এপ্রিল : পার্বতীপুরের অদূরে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৬৩ জন আহত।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া টর্নেডোয় ২শত জনের প্রাণহানি ও বহুলোক আহত।
৩ এপ্রিল : মুক্তাগাছায় ঝড়। ১০ ব্যক্তির প্রাণহানি।
৪ এপ্রিল : ঢাকায় প্রচন্ড ঝড়। ৪০ জনের মৃত্যু। শতাধিক আহত।
৫ এপ্রিল : কেরানীগঞ্জ ও সিরাজদিখান থানায় প্রচন্ড ঝড়ে শতাধিক নিহত ও ৩ হাজার আহত।
১৩ এপ্রিল : গাইবান্ধায় ঘূর্ণিঝড়। ৭ জন নিহত ও ৩ জন আহত।
২৯ এপ্রিল : টর্নেডোয় কিশোরগঞ্জে দেড়শত লোক নিহত।
জুন
২ জুন : দিনাজপুরে প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ে ৫৬ জন হতাহত।
৪ জুন : যশোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ৫০ জন নিহত ও ৪ শতাধিক আহত।
৭ জুন : আততায়ীর হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক হুমায়ূন কবীর নিহত।
১৩ জুন : সাংবাদিক আবু আহাদ গোলাম আম্বিয়া নিহত।
১৯ জুন : সিলেটে ভূমিধস। ৫০ জনের মৃত্যু।
২৫ জুন : কয়েকদিন ধরে সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় ১শ’ লোকের মৃত্যু। ২৭টি থানা প্লাবিত।
জুলাই
১ জুলাই : আদমজীতে দু’দল শ্রমিকে সংঘর্ষ। কয়েকজন হতাহত। ১৪৪ ধারা জারি। ৩২ জন গ্রেফতার।
৯ জুলাই : যমুনার করাল গ্রাসে সিরাজগঞ্জ মহকুমার হাজার হাজার লোক গৃহহারা। সিরাজগঞ্জ শহর বিপন্ন।
১০ জুলাই : নারায়ণগঞ্জের লক্ষীনারায়ণ কটন মিলে অগ্নিকান্ড।
১২ জুলাই : দিনাজপুরের পুনর্ভবা নদীতে নৌকাডুবির ফলে ১৭ জনের সলিল সমাধি।
চট্টগ্রাম বন্দরে তলা ফুটো হয়ে ৪০ লাখ টাকার সিআইশিট সহ দু’টি বার্জ ডুবি।
১৪ জুলাই : গাইবান্ধায় অত্যাধিক গরমে চারজনের মৃত্যু।
২৩ জুলাই : ছাত্রলীগ সম্মেলন চলাকালে অপ্রীতিকর ঘটনা। রব ও রাজ্জাক আহত, দু’দলের সংঘর্ষে শতাধিক আহত।
৩০ জুলাই : সড়ক দুর্ঘটনায় হাজী দানেশ, রাশেদ খান মেনন আহত।
আগস্ট
১৫ আগস্ট : ডেমরা রোডে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা। ৮ জন নিহত। ৩৫ জন আহত।
১৬ আগস্ট : বরিশালের বানরীপাড়ায় ভুখমিছিল (ক্ষুধা মিছিল)।
২১ আগস্ট : রংপুরে ভুখমিছিল।
দিনাজপুরে মাইন পেতে ট্রেন উড়িয়ে দেয়ার অপচেষ্টা।
২২ আগস্ট : হাসপাতালে মেননের কেবিনে হাতবোমা নিক্ষেপ।
২৩ আগস্ট : আওয়ামী লীগ অফিসে হাতবোমা নিক্ষেপ।
২৪ আগস্ট : ডাকসু ও ছাত্র ইউনিয়নের ডাকে ঢাকায় ছাত্র ধর্মঘট। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ।
২৫ আগস্ট : আদমজী চটকলে সংঘর্ষে দুইজন নিহত।
২৬ আগস্ট : চীনের ভেটো প্রদানে সারাদেশে প্রচন্ড ক্ষোভ। ঢাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ। ছাত্র ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিল রাষ্ট্রপ্রধান ও রাষ্ট্রমন্ত্রী সহ সকল মহলের নিন্দা।
২৮ আগস্ট : চীনা ভোটার প্রতিবাদে কম্যুনিস্ট পার্টির বিক্ষোভ।
৩১ আগস্ট : যশোরে পুলিশের গুলিতে ৪ জন নিহত।
সেপ্টেম্বর
৩ সেপ্টেম্বর : মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ভুখমিছিল।
৬ সেপ্টেম্বর : আজিমপুরে মাইন বিস্ফোরণ। ৩টি শিশুর প্রাণহানি।
১০ সেপ্টেম্বর : প্রতিবাদ দিবসে চীনা ভূমিকার বিরুদ্ধে সারাদেশে প্রচন্ড বিক্ষোভ।
১১ সেপ্টেম্বর : ঢাকা শহরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি। লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই।
১৩ সেপ্টেম্বর : চট্টগ্রামে সর্বদলীয় সভায় বোমা বিস্ফোরণ। ২০ জন আহত।
যশোরে হামলায় ছাত্রনেতা রব আহত।
২২ সেপ্টেম্বর : ষাটনলের কাছে লঞ্চ দুর্ঘটনা। ৫০ জনের প্রাণহানির আশঙ্কা।
২৬ সেপ্টেম্বর : পুরিন্দা বাজারে পুলিশের গুলিতে ৩ ব্যক্তি নিহত।
অক্টোবর
২০ অক্টোবর : গণপরিষদ প্রাঙ্গণে সড়ক দুর্ঘটনায় রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জের এমসিএ জনাব এন.এ. হামিদুর রহমান নিহত।
নভেম্বর
১৫ নভেম্বর : দৌলতপুরে ৩৫টি পাটের গুদামে অগ্নিকান্ড। কয়েক কোটি টাকার পাট ভস্মীভূত। ১০ জন শ্রমিক আহত।
১৯ নভেম্বর : খুলনা-সাতক্ষীরা সীমান্তে এক দুর্ঘটনায় মেজর সালেক নিহত।
২০ নভেম্বর : অগ্নিকান্ডে ঢাকা শহরে ১ জনের মৃত্যু ও ১ জন আহত।
২৫ নভেম্বর : মংলাবন্দরে ২ দল শ্রমিকে সংঘর্ষ। কয়েকজন হতাহত। অগ্নিসংযোগ, গুলি। ১৪৪ ধারা।
২৭ নভেম্বর : নারায়ণগঞ্জের দু-জায়গায় ২১টি গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। প্রায় ১ কোটি টাকার পাট ভস্মীভূত।
২৯ নভেম্বর : নারায়ণগঞ্জে আবার অগ্নিকান্ড। ১ লাখ টাকার পাট ভস্মীভূত।
খুলনার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কয়েক লাখ টাকার সম্পত্তি ভ্স্মীভূত। ২৫ জন।
৩০ নভেম্বর : দিনাজপুরে সেল বিস্ফোরণে ৬ ব্যক্তি নিহত।
ডিসেম্বর
৩ ডিসেম্বর : মাধবদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু।
৯ ডিসেম্বর : ঢাকা শহরে ২টি মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা। ৪ জন নিহত ও ২৭ জন আহত।
১১ ডিসেম্বর : আততায়ীর গুলিতে বেতার-টিভি ও চলচ্চিত্র শিল্পী রাজু আহমেদ নিহত।
১৫ ডিসেম্বর : নারায়ণগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। চার কোটি টাকার পাট ভস্মীভূত। ১ জন জীবন্ত দগ্ধ।
২২ ডিসেম্বর : উত্তর ভিয়েতনামে পুনরায় মার্কিন বোমাবর্ষণের প্রতিবাদে ঢাকায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের বিক্ষোভ মিছিল। ইউসিসের সামনে নিক্সনের কুশপুত্তলিকা দাহ।
২৩ ডিসেম্বর : শহরে বৃহত্তম ছিনতাই। জনতা ব্যাংকের ৬ লাখ টাকার ও ব্যাংকের গাড়ি ছিনতাই। ড্রাইভার নিহত।
২৮ ডিসেম্বর : দৌলতপুরে আততায়ীর গুলিতে শ্রমিকনেতা অধ্যাপক আবু সুফিয়ান নিহত।
১৯৭৩ জানুয়ারী
১ জানুয়ারী : পুলিশের গুলিবর্ষণে ঢাকায় ২ জন ছাত্র নিহত ও ৭ জন আহত।
৩ জানুয়ারী : বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের সামনে হাতবোমা সহ এক ব্যক্তি গ্রেফতার।
চারজন সিএসপি সহ ১ জন পদস্থ অফিসার অপসারিত।
আততায়ীর গুলিতে মঠবাড়িয়ায় সাবেক এমসিএ নিহত।
দৈনিক বাংলা থেকে হাসান হাফিজুর রহমান ও তোয়াব খান অপসারিত।
৫ জানুয়ারী : মোজাফফর ন্যাপ অফিসে অগ্নিসংযোগ।
৬ জানুয়ারী : সাংবাদিক নাজমুল হকের অপহরণকারী খলিলের যাবজ্জীবন কারাদন্ড।
৭ জানুয়ারী : মওলা টেক্সটাইল মিলে ডাকাতি। দেড় লাখ টাকার সূতা নিয়ে চম্পট।
৯ জানুয়ারী : বিমানবন্দরে ১১০ বার সোনা আটক।
১৩ জানুয়ারী : হার্ডিঞ্জ সেতুতে দুর্ঘটনা। ৩ জন নিহত ও ২ জন আহত।
কসবার ২১ জন দুষ্কৃতকারী গ্রেফতার।
১৪ জানুয়ারী : শীতলক্ষ্যায় যাত্রীবাহী ডুবি। ২ জন মহিলার লাশ উদ্ধার।
পুবাইল স্টেশনে দু’টি ট্রেনে সংঘর্ষ। অনেক আহত।
চুয়াডাঙ্গা জেল থেকে ১৫০ জন কয়েদীর পলায়ন।
১৮ জানুয়ারী : ক্রিসেন্ট চটকলের একটি মিল ভস্মীভূত। কয়েক লাখ টাকা ক্ষতি।
২৩ জানুয়ারী : ঝড়ে সিরাজগঞ্জের ৮ ব্যক্তি নিহত।
২৬ জানুয়ারী : ময়নামতি, চিশতি, কোকিল ও হালিমা টেক্সটাইলে লকআইট ঘোষণা।
৩০ জানুয়ারী : বঙ্গবন্ধুর প্রতি অশালীন উক্তি, গুপ্তহত্যার প্রতিবাদ ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সারাদেশে পূর্ণ ধর্মঘট।
ঢাকা-কুমিল্লা সড়কে বাস দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ৩০ জন আহত।
ফেব্রুয়ারী
২ ফেব্রুয়ারী : পোস্ট অফিসে ডাকাতি। ৮৭ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট।
৩ ফেব্রুয়ারী : কমলাপুর স্টেশনে দুর্ঘটনা। সুরমা মেলের ৫০ জন যাত্রী আহত।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্মচারীদের ধর্মঘট নিষিদ্ধ।
৫ ফেব্রুয়ারী : বরিশাল লঞ্চডুবি। ২৫ জনের প্রাণহানি।
সীতাকুন্ডে দুষ্কৃতকারীর গুলিতে ১২ জন নিহত।
৬ ফেব্রুয়ারী : বাড়বকুন্ডের ঘটনা। ১০০ জন গ্রেফতার
দালালমন্ত্রী সোলায়মানের যাবজ্জীবন কারাদন্ড।
শিবপুরে বাস দুর্ঘটনা। ৬ জন নিহত।
১০ ফেব্রুয়ারী : দালালমন্ত্রী ইসহাকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড।
১১ ফেব্রুয়ারী : সাতক্ষীরায় বাস দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত, ১৪ জন আহত।
পাবনায় চরমপন্থী নেতা টিপু বিশ্বাস সহ ৯ জন গ্রেফতার।
১২ ফেব্রুয়ারী : দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আওয়ামী লীগ থেকে ৩৫ জন বহিষ্কৃত।
১৩ ফেব্রুয়ারী : বঙ্গবন্ধুকে দেখতে গিয়ে ছাদ ধসে ১০০ জন নিহত।
সিলেটে পুলিশের গুলিতে ১ ব্যক্তি নিহত।
১৭ ফেব্রুয়ারী : নওয়াবপুরের দোকানে দুষ্কৃতকারীদের হানা। তাদের নিক্ষিপ্ত গ্রেনেডে ১২ জন পথচারী আহত।
১৮ ফেব্রুয়ারী : টঙ্গীর কাছে ট্রাক উল্টে ৪ ব্যক্তি নিহত এবং কয়েক জন আহত।
২৪ ফেব্রুয়ারী : ঢাকার তিনটি এলাকায় কার্ফু। চোরাই মাল উদ্ধার। ১৪ ব্যক্তি গ্রেফতার।
২৫ ফেব্রুয়ারী : জিপ দুর্ঘটনায় পাবনায় বগামিয়া নিহত।
রাজশাহীতে অগ্নিকান্ডে এক লাখ টাকার সম্পত্তি বিনষ্ট।
২৬ ফেব্রুয়ারী : সন্দ্বীপে হাতবোমা বিস্ফোরণে ৬ জন নিহত ও ২৫ জন আহত।
২৭ ফেব্রুয়ারী : মেঘনায় ঝড়ে লঞ্চডুবি। শতাধিক যাত্রীর মৃত্যু। সরকারী মতে ২৫।
মার্চ
১০ মার্চ : মুন্সীগঞ্জে ৬৪ জন গ্রেফতার। চীনা অয়্যারলেস ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার।
ফরিদপুরে মোজাফফর ন্যাপ প্রার্থী সহ ৪ জনকে পিটিয়ে হত্যা।
১১ মার্চ : অপরাধ আদেশ সংশোধিত। ছিনতাই, ডাকাতি, ভেজাল, কালোবাজারীর শাস্তি সর্বোচ্চ ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড।
১৪ মার্চ : পাকিস্তানে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহে বাংলাদেশে বিক্ষোভ।
১৫ মার্চ : জবরদখল করা বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ।
ঢাকা শহরে এক ঘন্টার ব্যবধানে দু’টো ব্যাংক ডাকাতি।
২৫ মার্চ : ঢাকার মৌলভীবাজারে অগ্নিকান্ডে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি।
২৮ মার্চ : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা।
এপ্রিল
১ এপ্রিল : নারায়ণগঞ্জে লঞ্চডুবি। ১৫ জন আহত।
৩ এপ্রিল : হল এলাকায় কার্ফু জারি।
৬ এপ্রিল : ভৈরবের জব্বার জুটমিলে অগ্নিকান্ড সোয়ালাখ টাকার পাট ভস্মীভূত।
১২ এপ্রিল : ঢাকার মিরপুরে কালবৈশাখী। ৬ জন নিহত, ৫০ জন আহত, বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত।
ফরিদপুরের তিনটি মহকুমার প্রলয়ঙ্করী টর্নেডো। শতাধিক নিহত, দেড় হাজার আহত, ১৫ হাজার লোক গৃহহীন।
১৩ এপ্রিল : বৈদ্যের বাজারে ব্যাংক ডাকাতি। ক্ষুব্ধ জনতার প্রহারে চারজন তরুণের মৃত্যু।
১৭ এপ্রিল : প্রলয়ঙ্করী ঝড়ে মানিকগঞ্জে ৭টি গ্রাম নিশ্চিহ্ন। পাঁচ শতাধিক লোক নিহত, অর্ধলক্ষ গৃহহারা।
১৮ এপ্রিল : কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানাধীন তেকালাহাটে একজন বিডিআরের গুলিতে ৩ জন নিহত, ৭ জন আহত।
১৯ এপ্রিল : গোয়ালন্দে জনতার প্রহারে দু’জন ডাকাতের মৃত্যু।
নূরুল আমীন, হামিদুল হক চৌধুরী সহ ৩৯ ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার অযোগ্য ঘোষিত।
২৪ এপ্রিল : ড. মালেক মন্ত্রীসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওবায়দুল্লাহ মজুমদার দালালীর দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত।
২৬ এপ্রিল : ঢাকায় ৭৮ জনের ডিলারশিপ ও লাইসেন্স বাতিল।
২৭ এপ্রিল : রংপুরের হাতিবান্ধা থানায় ঘূর্ণিঝড়ে ১৫ জন নিহত।
২৮ এপ্রিল : খুলনার সোনালী জুটমিলে অগ্নিকান্ডে কয়েক লাখ টাকার সম্পত্তির নষ্ট।
রাসায়নিক পদার্থে শীতলক্ষ্যা ও বালুনদীর পানি দূষিত হয়ে মাছের মড়ক।
মুন্সিগঞ্জে উত্তরা ব্যাংকে ডাকাতি।
২৯ এপ্রিল : অবৈধভাবে খাদ্য পাচারের দায়ে নারায়ণগঞ্জে ৬৯ জন গ্রেফতার।
৩০ এপ্রিল : রাজশাহীর নিউমার্কেটে অগ্রণী ব্যাংকে ডাকাতি।
মে
৩ মে : বংশী নদীতে বাসডুবি। অর্ধশতাধিক সলিল সমাধি।
আরো ৫৩ জন অসাধু সিমেন্ট ডিলারের লাইসেন্স বাতি।
৪ মে : কাপড় চুরির দায়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ৪ জন সিকিউরিটি গার্ড গ্রেফতার।
৫ মে : শীতলক্ষ্যায় দু’টি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ। একটি লঞ্চডুবি।
৬ মে : ঢাকা-কুমিল্লা রোডে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ৩ জন নিহত, ১১ জন আহত।
৮ মে : রেলওয়ে সার্ভিসের ২২ জন অফিসার অপসারিত।
৯ মে : ফেনী, কুমিল্লা ও হবিগঞ্জে বন্যা। বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত, বিপুল ক্ষতি।
১০ মে : কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, রংপুর ও পাবনায় বন্যা।
১১ মে : বেসরকারী কলে-শিক্ষকদের ধর্মঘট শুরু।
১২ মে : বন্যায় ১৪ জনের প্রাণহানির খবর।
১৩ মে : দৈনিক স্বদেশের প্রকাশনা বন্ধ।
১৫ মে : তিন দফা দাবির ভিত্তিতে ন্যাপ নেতা মওলানা ভাসানীর অনশন শুরু।
১৬ মে : দালাল আইনে অভিযুক্ত বা সাজাপ্রাপ্ত কয়েকশ্রেণীর লোকের প্রতি সরকারের ক্ষমাপ্রদর্শন।
১৮ মে : সিলেটের অদূরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত, ১৩ জন আহত।
১৯ মে : আমদানী-রপ্তানী অফিসে ৪ জন অফিসার সাসপেন্ড।
২১ মে : ভাসানী ন্যাপের আহ্বানে ঢাকায় হরতাল কিছু লোকের হামলায় এশীয় শান্তি সম্মেলন উপলক্ষে নির্মিত ভিয়েতনাম মন্ডপ বিধ্বস্ত।
৩০ মে : দুষ্কৃতকারীর গুলিতে ফরিদপুরের নড়িয়ায় সংসদ সদস্য জনাব নূরুল হক নিহত।
সিলেটে এক রাতে ২২ বাড়িতে ডাকাতি।
৩১ মে : নড়িয়া গ্রামে বিক্ষু্ব্ধ জনতার হাতে সংসদ সদস্য জনাব নুরুল হকের হত্যাকারী বলে কথিত দু’ব্যক্তির মৃত্যু।
জুন
১ জুন : ঢাকার তেজতুরী বাজারে রিভলবার উঁচিয়ে বিআরটিসির ৫৪ হাজার টাকা ছিনতাই।
রাজশাহী প্রকৌশলী কলেজকে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে কলেজের ১৪ জন ছাত্রের অনশন শুরু।
৩ জুন : রংপুরের সুন্দরগঞ্জ থানা রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জনাব আফজাল হোসেন সরকার দৃষ্কৃতকারীর গুলিতে নিহত।
৪ জুন : ঢাকার কালিয়াকৈর থানার চান্দরা গ্রামে সশস্ত্র দুষ্কৃতকারী কর্তৃক টাঙ্গাইল কটনমিলের ১৭ হাজার টাকা ছিনতাই।
বরিশালের মূলাদি থানার গ্রামে দুষ্কৃতকারী দলের হাতে একই পরিবারের ৬ জন খুন।
সিরাজগঞ্জের মুখবলাই গ্রামে বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে ৬ জন সশস্ত্র ব্যক্তি নিহত।
ফরিদপুরের কাশিয়ানী থানায় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী নূরুল হালিম গুলিতে নিহত।
৬ জুন : পূবালী ব্যাংকের ঢাকা স্টেডিয়াম শাখা থেকে ৬৮ হাজার টাকা ছিনতাই।
তেজগাঁও এলাকায় জিনাত টেক্সটাইল মিলের ৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা ছিনতাই করতে গিয়ে ক্ষুব্ধ জনতার পিটুনিতে ৫ জন ডাকাত নিহত।
৭ জুন : জাতীয় সংসদে তিনজন বিরোধী সদস্যের প্রথম ওয়াক আউট।
পাবনায় জেল ভেঙে ৭ জন কয়েদির পলায়ন।
৮ জুন : মুন্সীগঞ্জের কাছে দু’টি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ। একটি নিমজ্জিত। ১৫ জনের সলিল সমাধি।
৯ জুন : মাইজদী কোর্টে রক্ষীবাহিনীর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে হরতাল।
কুষ্টিয়া জেলার কামালপুর গ্রামে দুষ্কৃতকারীর গুলিতে একজন মহিলা সহ ৫ জন নিহত।
১০ জুন : পাবনায় জেল-পলাতক চারজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার।
১১ জুন : ন্যায্যমূল্যের কাপড় বিক্রি নিয়ে ঢাকায় বিভিন্ন দোকানে হাঙ্গামা। কাপড় লুট, পুলিশের লাঠিচার্জ, ৩২ জন আহত।
রংপুর জেলার পীরগাছা থানা লুট।
১৮ জুন : ঢাকা-জয়দেবপুর সড়কে মারাত্মক বাস দুর্ঘটনা। ৫ জন নিহত, ৬৬ জন আহত।
বন্যায় সিলেট, রংপুর ও চট্টগ্রামের ২১টি থানা প্লাবিত। ৫ জনের প্রাণহানি।
বরিশাল জেলার রাজাপুর থানার কাটাখালী ফাঁড়িতে দুষ্কৃতকারীদের হামলা। গুলিতে ৩ জন দুষ্কৃতকারী নিহত।
২১ জুন : পাবনায় সাবেক ডিসি সহ ৩ জন অফিসার বরখাস্ত।
২২ জুন : ভোলার চরফ্যাশনের জনতা ব্যাংক থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা লুট।
২৩ জুন : মানিকগঞ্জ ট্রেজারীতে মাইন বিস্ফোরণ। পুলিশ সহ ৬ জন আহত।
২৬ জুন : জনতার প্রহারে জয়দেবপুরে ৫ জন ডাকাত নিহত।
২৯ জুন : বিশিষ্ট সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেন অপহরণ।
চট্টগ্রামের ইর্স্টার্ন রিফাইনারীর শ্রমিকদের উপর রক্ষীবাহিনীর গুলিবর্ষণে ১ জন নিহত, ২ জন আহত। প্রতিবাদে রিফাইনারীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ধর্মঘট।
দাউদকান্দির বাউশিয়া ঘাটের কাছে বাস-জীপ সংঘর্ষ। ৭ জনের মৃত্যু।
জুলাই
২ জুলাই : ভোলায় লালমোহন থানা লুট।
পুলিশের আচরণের প্রতিবাদে ঢাকায় ডাক্তারদের প্রতীক ধর্মঘট।
ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গার্ডের গুলিতে একজন ছাত্র নিহত, কয়েকজন আহত।
৩ জুলাই : ঢাকায় বিজয়নগরের কাছে প্রকাশ্যে দিবালোকে অস্ত্র উঁচিয়ে সাড়ে পনেরো হাজার টাকা ছিনতাই।
৪ জুলাই : সৈয়দপুরের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনা। ৩ জন নিহত।
৫ জুলাই : মুলাদী থানার খাসেরহাট পুলিশ-১ ফাঁড়িতে দুষ্কৃতকারী দলের হামলা। অস্ত্র লুট।
৬ জুলাই : দেশব্যাপী বেসরকারী মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুল সমূহে ৮০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার ধর্মঘট শুরু।
৮ জুলাই : কর্ণফুলীতে নৌকাডুবি। ৪টি শিশুর সলিল সমাধি।
৯ জুলাই : বরিশালের কাঠখালী ঘাটে লঞ্চডুবি। নিহতের সংখ্যা সর্বমোট ৩৩ জন।
১৮ জুলাই : দালালীর অভিযোগে কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক জনাব ফজলুল কাদের চৌধুরীর ইন্তেকাল।
১৯ জুলাই : ফার্মগেটের উত্তরা ব্যাংকে ডাকাতি। এক লাখ ২৯ হাজার টাকা ও সোনা নিয়ে দুর্বৃত্তদল উধাও।
২৩ জুলাই : সারাদেশে মেডিকেল ছাত্রদের ধর্মঘট শুরু।
কুমিল্লার চান্দিনা থানার রানীচর গ্রামে জনতার পিটুনিতে ৭ জন ডাকাত নিহত।
২৫ জুলাই : খুলনার মংলা বন্দরের কাছে যাত্রীবাহী লঞ্চে ডাকাতি, দেড়লাখ টাকার পণ্য লুট।
২৬ জুলাই : লৌহজং থানা রূপালী ব্যাংক লুট। ২ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চম্পট।
আগস্ট
১ আগস্ট : মানিকগঞ্জ মহকুমার ঘিওর থানার জাবডা ফাঁড়িতে হামলা। ১০ জন হতাহত।
লাকসামের অদূরে দুর্ধর্ষ টেন ডাকাতি। আড়াই লাখ টাকার সম্পদ লুণ্ঠিত।
১০ আগস্ট : সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার হুরানবাজারে ডাকাতি। ৩ লাখ টাকার মালামাল লুট।
১১ আগস্ট : চট্টগ্রামের দেশবাংলা পত্রিকা অফিস তালাবন্ধ। বার্তা সম্পাদক সহ ১০ জন গ্রেফতার।
১৩ আগস্ট : চট্টগ্রামে ব্যাংক ডাকাতি। ৭৩ হাজার টাকা লুট।
২০ আগস্ট : ভৈরবের অদূরে দু’টি ট্রেনে সংঘর্ষ। ১৬ জন আহত।
২২ আগস্ট : চট্টগ্রামে মিলের উপর হাতবোমা নিক্ষেপ। ১০ জন আহত।
সদরঘাট সোনালী ব্যাংক ডাকাতি। নাইট গার্ড খুন। লাখ টাকা লুট।
২৫ আগস্ট : বৈদ্যের বাজার থানার আনন্দবাজার হাট লুট। ব্যক্তি অপহৃত।
কুষ্টিয়ার আল্লার দরগা ফাঁড়ি দুষ্কৃতকারী দলের হামলা। একজন দুষ্কৃতকারী নিহত।
২৭ আগস্ট : যশোর জেলাস্কুলে দুষ্কৃতকারীদের অগ্নিসংযোগ। দেড় শতাব্দীর রেকর্ড ভস্মীভূত।
২৯ আগস্ট : ভাসানী-ন্যাপের হরতাল ঘোষণা। আংশিক হরতাল।
৩০ আগস্ট : চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাস দুর্ঘটনা। ৩০ জন আহত।
চট্টগ্রামের হাফিজা মিলে দুষ্কৃতকারী দলের হামলা। ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা নিয়ে উধাও।
সেপ্টেম্বর
৩ সেপ্টেম্বর : ডাকসু নির্বাচন। ভোটগণনা স্থগিত। ব্যালটবাক্স ছিনতাই। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গুলিগোলা।
৬ সেপ্টেম্বর : বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারকীয় হত্যাকান্ড ৪ জন নিহত, ১ জন আহত।
১৪ সেপ্টেম্বর : মেঘনাবক্ষে লঞ্চডাকাতি। এক লাখ টাকা লুট।
১৭ সেপ্টেম্বর : পাবনার সিরাজগঞ্জের কাছে দু’টো টেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ।
নবাবগঞ্জ থানার বাগমারা বাজারে দুষ্কৃতকারীর গুলিতে ৩ জন নিহত।
২৪ সেপ্টেম্বর : জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ বাজারস্থ পূবালী ব্যাংকে ডাকাতি। ২৭ হাজার টাকা ও ৪৪ ভরি সোনা নিয়ে চম্পট।
২৮ সেপ্টেম্বর : রাজশাহীর বাঘমারা থানার দামনাস পুলিশ ফাঁড়ি লুট। গুলি বিনিময়। ৮ জন পুলিশ ও ৭ জন চরমপন্থী নিহত।
২৯ সেপ্টেম্বর : রাজশাহী জেলার মান্ডা থানার দেলবাড়িয়া হাট ফাঁড়ি থেকে অস্ত্রশস্ত্র সহ চারজন পুলিশ অপহৃত।
অক্টোবর
১ অক্টোবর : পাঁচ অফিসার বরখাস্ত। একজনের বাড়ি বাজেয়াপ্ত।
হলিউডের দু’টি সংখ্যার সমস্ত কপি বাজেয়াপ্ত।
২ অক্টোবর : প্রকাশ্যে দিবালোকে রাজপথে স্টেনগান উঁচিয়ে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিনতাই।
৪ অক্টোবর : শেখ সাহেব বাজারে ডাকাত পিটিয়ে হত্যা।
সাটুরিয়া বাজারে দুষ্কৃতকারীদের হামলা। থানা ও অয়্যারলেস স্টেশন লুট। গুলি বিনিময়ে ৪ জন পুলিশ আহত।
৬ অক্টোবর : দু’টি স্থানে দুষ্কৃতকারীদের হামলা। ৯ জন গ্রামবাসী নিহত। থানা লুটের চেষ্টা প্রতিহত।
৭ অক্টোবর : নাজিমুদ্দিন রোডে ১ জনকে পিটিয়ে হত্যা।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া বনরক্ষা ফাঁড়ি আক্রান্ত। ১ জন নিহত।
রায়পুরার গ্রামে ৩ জন ডাকাতকে পিটিয়ে হত্যা।
৮ অক্টোবর : নেয়ামতপুর থানার ৪ জন পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই।
৯ অক্টোবর : সাটুরিয়া থানার ২৮ জন পুলিশ সাসপেন্ড।
১০ অক্টোবর : হাতিয়ায় জলোচ্ছ্বাস, ১০ জনের প্রাণহানি।
১১ অক্টোবর : মুন্সীগঞ্জের কাছে লঞ্চডুবি। ২০০ যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা।
রাজধানীতে ৫ জনকে পিটিয়ে হত্যা।
১২ অক্টোবর : চুয়াডাঙ্গা জেল থেকে ১৪ জন কয়েদির পলায়ন।
১৩ অক্টোবর : বগুড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা। ১ জন নিহত, ৯ জন আহত।
রংপুরে প্রবল বন্যা। ৫ জনের মৃত্যু। ৫ লাখ রোক ক্ষতিগ্রস্ত।
১৫ অক্টোবর : নারায়ণগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের আড়াই লাখ টাকা ছিনতাই।
১৬ অক্টোবর : নারায়ণগঞ্জে পাট গুদামে অগ্নিকান্ড ৩ লাখ টাকার ক্ষতি।
১৭ অক্টোবর : বৈদ্যের বাজারে পুলিশের সাথে গুলি বিনিময়। দু’জন দুষ্কৃতকারী নিহত।
ওসি সহ হরিণাকুন্ডু থানার ১৩ জন পুলিশ বরখাস্ত।
কুষ্টিয়া জেলার একটি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা। গুলির মুখে দুষ্কৃতকারীদের পলায়ন।
২১ অক্টোবর : উজিরপুর থানাধীন একটি ফাঁড়িতে হামলা। পুলিশ নিহত।
যাত্রীবাহী লঞ্চে ডাকাতের হামলা। লক্ষাধিক টাকা লুট।
জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত।
২৪ অক্টোবর : সদরঘাট টার্মিনালে রহস্যজনক খুন।
রাজশাহীর চারটি সীমান্ত এলাকায় কার্ফু জারি।
২৫ অক্টোবর : ফরিদপুর জেলার বালিয়াকান্দী থানা লুট।
২৬ অক্টোবর : ভাসানচর পুলিশ ফাঁড়ি ও পাথরঘাটা থানা আক্রান্ত। ২ জন পুলিশ নিহত।
জয়দেবপুরের ফুলবাড়ী বাজারে ৩ ডাকাতকে পিটিয়ে হত্যা।
২৬ অক্টোবর : ২ জন ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা।
৩১ অক্টোবর : নারায়ণগঞ্জে ৩ হাজার পাটজাত দ্রব্য ভস্মীভূত।
নভেম্বর
১ নভেম্বর : বলধা গার্ডেনের পূর্বদিকের রাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে আড়াই লাখ টাকা ছিনতাই, ব্যাংক গার্ড নিহত।
বাগেরহাটের বিষ্ণুপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ৫২টি রাইফেল ও ৮ বাক্স গুলি উদ্ধার।
২ নভেম্বর : টাঙ্গাইলের পাথরাইল পুলিশ ফাঁড়ি লুট।
৩ নভেম্বর : লৌহজং থানার মেদেনীমন্ডল গ্রামে ৩ ডাকাতকে পিটিয়ে হত্যা।
৪ নভেম্বর : টাঙ্গাইল পাথরাইল ফাঁড়ির সব পুলিশ সাসপেন্ড।
৫ নভেম্বর : আদমজী এডিসি জুটমিলে অগ্নিকান্ড।
৬ নভেম্বর : মোহাম্মদপুরে বাড়ি দখলকে কেন্দ্র করে রক্ষীবাহিনীর সাথে গুলি বিনিময়। ১ জন নিহত, ৯ জন আহত।
৭ নভেম্বর : বাংলাদেশে জ্বালানী তেলের দাম শতকরা ৩০ ভাগ বৃদ্ধি।
রংপুরে রক্ষীবাহিনীর গুলিতে ৬ জন দুষ্কৃতকারী নিহত।
৮ নভেম্বর : নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় রক্ষীবাহিনীর সাথে গুলি বিনিময়কালে ১ জন দুষ্কৃতকারী নিহত।
৯ নভেম্বর : কুষ্টিয়ার আলমডাঙ্গা থানায় আলিয়াতনগর গ্রামে ৫ জন খুন।
১০ নভেম্বর : আসাদ গেটের কাছে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন মহিলা নিহত।
১১ নভেম্বর : ভৈরববাজার জব্বার জুটমিলের অগ্নিকান্ডে ৫ হাজার পাটজাত দ্রব্য ভস্মীভূত।
১২ নভেম্বর : বুড়িগঙ্গায় দু’টো লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ। একটি নিমজ্জিত। সারেং সুকানী সহ ৬ জন গ্রেফতার, অধিকাংশ যাত্রী নিরাপদ।
মিরপুরে পুলিশের গাড়িতে গুলি। ৩ জন জখম।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ছুরিকাহত।
১৬ নভেম্বর : নারায়ণগঞ্জে পাট গুদামে অগ্নিকান্ড, ৩৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি।
বাংলাদেশের বিমানবাহিনীর বিমান বিধ্বস্ত।
১৮ নভেম্বর : বঙ্গোপসাগরে ৫০০ জেলে নিখোঁজ।
১৯ নভেম্বর : ঢাকা পৌরসভার ৪০ জন কর্মচারী বরখাস্ত।
চট্টগ্রামে ৫টি মাছ ধরা লঞ্চ নিখোঁজ।
২১ নভেম্বর : ঢাকায় বাসভাড়া বৃদ্ধি।
২২ নভেম্বর : সিলেটের বালাগঞ্জ থানা ও পোস্ট অফিস লুট।
২৩ নভেম্বর : বুড়িগঙ্গার ওপারে পুলিশের সাথে দুষ্কৃতকারীদের দেড়ঘন্টা গুলি বিনিময়। ৫ জন দুষ্কৃতকারী নিহত।
যশোরে ট্রেন দুর্ঘটনা। ৩ জন নিহত।
২৪ নভেম্বর : চট্টগ্রামে সিনেমা হলে অগ্নিসংযোগ। পুলিশের ফাঁকা আওয়াজ। ২৫ জন গ্রেফতার।
২৬ নভেম্বর : বালাগঞ্জ থানার ওসি সহ ১২ জন পুলিশ সাসপেন্ড।
২৮ নভেম্বর : রাজশাহীতে গুলি বিনিময়। ৩ জন উগ্রপন্থীর আত্মসমর্পণ।
ম্যানহোলের বিষাক্ত গ্যাসে মর্মান্তিক মৃত্যু।
২৯ নভেম্বর : মতলব থানা লুট। ১ জন পুলিশ ও ১ জন দুষ্কৃতকারী নিহত।
৮৪ জন অফিসারের জন্যে বাংলাদেশের চাকুরি নিষিদ্ধ।
৩০ নভেম্বর : বেগম মুনিরা হত্যা।
ঝিনাইদহে চরমপন্থীদের সাথে পুলিশের গুলি বিনিময়। ১ জন নিহত, ৬ জন গ্রেফতার।
ডিসেম্বর
২ ডিসেম্বর : বায়তুল মোকাররমে অন্ধ-ছাত্রদের গণজমায়েত।
৪ ডিসেম্বর : লৌহজং-এ ডাকঘর লুট।
ময়মনসিংহ জেলার আঠারবাড়িতে দুর্বৃত্ত-পুলিশ গুলি বিনিময়। ৫ জন নিহত, ৭ জন গ্রেফতার।
২৩ ডিসেম্বর : নির্বাচন। পাকুন্দায় পুলিশ ও পোলিং অফিসার নিহত।
২৫ ডিসেম্বর : থামরাই থানার ওসি গুলিবিদ্ধ।
২৬ ডিসেম্বর : পুলিশের লঞ্চে দুর্বৃত্তদের গুলিবর্ষণ। খালাসী নিহত।
২৭ ডিসেম্বর : জামালপুরে নির্বাচনী হাঙ্গামা। পুলিশের গুলিতে ৩ জন নিহত, ২০ জন গ্রেফতার।
১৯৭৪ জানুয়ারী
৫ জানুয়ারী : ঈদের দিনে রাজধানীতে ৬টি নৃশংস হত্যাকান্ড।
১০ জানুয়ারী : ভোলার জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব মোতাহারউদ্দিন আততায়ীর গুলিতে নিহত।
১৩ জানুয়ারী : জনজীবনে শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা অটুট রাখতে শহরে ১৪৪ ধারা সভা মিছিল নিষিদ্ধ।
১৭ জানুয়ারী : নারায়ণগঞ্জে ১০টি পাটের গুদাম ভস্মীভূত।
১৮ জানুয়ারী : জাসদের ১৪৪ ধারা ভাঙার চেষ্টা। ১১ জন গ্রেফতার।
১৯ জানুয়ারী : ১৪৪ ধারা ভঙ্গের দায়ে আরো ১০ জন গ্রেফতার।
২০ জানুয়ারী : ঢাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গের চেষ্টা। পুলিশের লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ।
রাজশাহীতে সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন আহমদ সহ ৫৭ জন গ্রেফতার।
২৪ জানুয়ারী : নারায়ণগঞ্জে ৫০০ কাপড়ের দোকান ভস্মীভূত।
নেত্রকোনার শান্তিপুরে বাস-দুর্ঘটনায় ২৫ জনের আগুনে পুড়ে মৃত্যু।
২৬ জানুয়ারী : গফরগাঁ থানা আক্রান্ত। পুলিশের সাথে দুষ্কৃতকারীদের গুলি বিনিময়। আওলিয়া নগর রেলসেতুর ক্ষতি সাধন।
২৭ জানুয়ারী : ঢাকা জেলের প্রহরী আক্রান্ত : ২৬ জন গ্রেফতার।
ফেব্রুয়ারী
১ ফেব্রুয়ারী : নড়িয়া থানায় পদ্মানদীতে ৫ ঘন্টায় ১১টি লঞ্চে ডাকাতি।
রিভলবার উঁচিয়ে বাংলা একাডেমীতে ছিনতাই।
৩ ফেব্রুয়ারী : যশোর জেলা জাসদ সভাপতি মোশাররফ হোসেন আততায়ীল গুলিতে নিহত।
১০ ফেব্রুয়ারী : হাতিয়ার অদূরে নৌকাডুবিতে ৪৬ জনের সলিল সমাধি।
নগরবাড়ী ঘাটের কাছে জোয়ারিয়া গ্রামে গ্রেনেড বিস্ফোরণে ৫টি শিশু নিহত।
১৪ ফেব্রুয়ারী : সারাদেশে ডাক কর্মচারীদের ধর্মঘট শুরু।
২০ ফেব্রুয়ারী : পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও হান্ডিয়াল ইউনিয়ন রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান গণপিটুনিতে নিহত।
শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবি। ৮ জনের মৃত্যু।
২৩ ফেব্রুয়ারী : খুলনায় দারোগা খুন।
মার্চ
১ মার্চ : যশোরে গুলিতে ৩ জন রাজনৈতিক কর্মী খুন।
২ মার্চ : খুলনায় খান এ সবুরের গৃহে হাতবোমা বিস্ফোরণ।
সূতা কেলেঙ্কারীর দায়ে বিসিকের ৫ জন অফিসার বরখাস্ত।
৪ মার্চ : ভেড়ামারা ও পাকশীর মাঝখানে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২১ জন হতাহত।
খুলনায় পাটের গুদামে অগ্নিকান্ডে ৩ কোটি টাকারও বেশী ক্ষতি।
৫ মার্চ : ঢাকা শহরে ডাকাতি। ৭৫ হাজার টাকা ও ৪০ ভরি সোনা নিয়ে উধাও।
৭ মার্চ : সিলেটের মাইচগাঁও স্টেশনে দু’টি ট্রেনের সংঘর্ষ।
পাবনার গ্রামে সংঘর্ষে রক্ষীবাহিনীর ডেপুটি লিডার নিহত।
৯ মার্চ : ঢাকা শহরের বাস্তুহারা কলোনীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড।
মোহাম্মদপুরের জনতা ব্যাংক থেকে ৭০ হাজার টাকা ডাকাতি।
১২ মার্চ : কুমিল্লায় ট্রেন দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত।
১৩ মার্চ : কুমিল্লার ট্রেন দুর্ঘটনার জন্যে দায়ী সন্দেহে ১৭ জন গ্রেফতার।
১৫ মার্চ : নারায়ণগঞ্জে ব্যাংক ডাকাতি। সোয়া ৩ লাখ টাকা লুট।
১৬ মার্চ : হাতিরদিয়ায় গুলিতে এমপি খুন।
২৩ মার্চ : চট্টগ্রামে বড় নৌকা থেকে এক কোটি টাকার চোরাই পণ্য আটক।
২৪ মার্চ : শ্রীপুরে আওয়ামী লীগের দুইজন নেতা নিহত।
২৬ মার্চ : রংপুর ও হাতিয়ায় ঝড়। বহু আহত।
২৮ মার্চ : সংঘবদ্ধ পাসপোর্ট জালকারী দলের ৩ জন আটক।
৩১ মার্চ : যশোরে গুলিতে একজন নিহত। হাট লুট।
এপ্রিল
১ এপ্রিল : পাবনায় আওয়ামী লীগ নেতা খুন।
বরিশালে দালালী ও হত্যার দায়ে ১৫ ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদন্ড।
২ এপ্রিল : চট্টগ্রামে আকস্মিক রেল ধর্মঘট।
পর্যটন সংস্থায় ৫ জন কর্মচারী বরখাস্ত।
৪ এপ্রিল : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রাবাসে ৭ জন খুন।
৭ এপ্রিল : চট্টগ্রাম বন্দরে কয়লাবাহী জাহাজে আগুন। ছাত্রলীগ নেতা শফিউল আলম প্রধান গ্রেফতার।
৮ এপ্রিল : পাবনায় ৩টি চালের নৌকা লুট। গ্রেনেড বিস্ফোরণ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ।
৯ এপ্রিল : যশোরে ৩০টি বগি লাইনচ্যুত, ড্রাইভার নিহত।
১১ এপ্রিল : নারায়ণগঞ্জে কয়লা বোঝাই বার্জে আগুন।
১২ এপ্রিল : ঝড়ে বগুড়ায় ২৮ জন নিহত।
গোপালগঞ্জের কাছে লঞ্চ ডাকাতি। ২ জন নিহত। ৩ জন পুলিশ আহত।
গাইবান্ধায় ঝড়ে ৩ জন নিহত।
১৩ এপ্রিল : কাঞ্চন জুটমিলে অগ্নিকান্ড।
বাগেরহাটে ডাকাতের সাথে গুলি বিনিময়ে ২ জন পুলিশ নিহত।
১৪ এপ্রিল : ভৈরব নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনা।
১৫ এপ্রিল : নারায়ণগঞ্জের বিভিন্নস্থানে ৪ ব্যক্তি খুন।
রাজশাহী জেলা থেকে ৬ জন কয়েদির পলায়ন।
১৭ এপ্রিল : সিলেটে বিরামহীন বর্ষণ, বিপুল এলাকা প্লাবিত।
খুলনার ফকিরহাটে ২ জন চেয়ারম্যান খুন।
মুক্তাগাছায় ঝড়। ৪ জনের প্রাণহানি।
জামালপুরে ঘূর্ণিঝড়। ৩ জন নিহত ও ৬৩ জন আহত।
১৮ এপ্রিল : সন্দ্বীপের কাছে নৌকাডুবি। ৭ জন নিখোঁজ।
বরিশালের মুলাদীতে ৩ জন যুবলীগ কর্মী নিহত।
১৯ এপ্রিল : রংপুর-বগুড়া সড়কে ট্রাক আটক করে ২ লাখ টাকার সূতা লুট।
জহুরুল হক হলে তল্লাশি। অস্ত্র উদ্ধার।
টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার গোরস্থান থেকে অস্ত্র উদ্ধার।
২০ এপ্রিল : সিলেটে বন্যায় ৫ জনের মৃত্যু।
রাজশাহীতে ব্যাংক লুট।
ময়মনসিংহে চলন্ত ট্রেনে ডাকাতি। ৭ জন যাত্রী আহত।
চট্টগ্রামে সুলতানা জুটমিলে ২৫ হাজার মণ পাট পুড়েছে।
সিলেটে টর্নেডোয় ৫ জন নিহত।
২২ এপ্রিল : সিলেট ও ময়মনসিংহের ৩ লাখ একর বোরো জমি প্লাবিত।
নেত্রকোনায় ৩ জন আওয়ামী লীগ কর্মী খুন।
২৪ এপ্রিল : ফরিদপুরের অদূরে বাস দুর্ঘটনায় ২০ জনের প্রাণহানি।
২৬ এপ্রিল : রংপুরে ও সিলেটে ১৪৪ ধারা জারি।
জনাব সবুর ও খাজা খয়েরুদ্দিন গ্রেফতার।
চট্টগ্রামের ভোগ্যপণ্য সংস্থার গুদামে অগ্নিকান্ড। চট্টগ্রামে সাইলোতে আগুন।
২৭ এপ্রিল : নেত্রকোনায় ৭০ মাইল বেগে ঝড়। ৭ জন নিহত।
বরিশালের ২৪০ জন ব্যবসায়ী গ্রেফতার।
কালিগঞ্জ কটনমিলের জেনারেল ম্যানেজার গ্রেফতার।
২৮ এপ্রিল : তেজগাঁও বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমান দুর্ঘটনা।
২৯ এপ্রিল : গোপন টাকশালে পুলিশের হানা। ১৩ জন গ্রেফতার।
ঢাকা জেলার ইসমাইল চরের কাছে লঞ্চডুবি। ১৫৬টি লাশ উদ্ধার। বহু নিখোঁজ।
কুমিল্লায় রাজনৈতিক নেতা সহ ৬০ ব্যক্তি গ্রেফতার।
৩০ এপ্রিল : রাজশাহী ও ময়মনসিংহে পিটিয়ে ৯ জন ডাকাত হত্যা।
বগুড়ার চেয়ারম্যান খুন।
মে
১ মে : দৌলতপুরের পাট গুদামে অগ্নিকান্ড।কোটি টাকার পাট ভস্মীভূত। ৩২ জন গ্রেফতার। আগুনে পুড়ে ৫০ জন আহত।
১৪ মে : মুরাপাড়া গাউসিয়া চটকলে অগ্নিকান্ড। বহু তাঁত ভস্মীভূত।
১৭ মে : চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঝড়ে ১০ ব্যক্তি আহত।
২২ মে : বরিশাল শহরে ব্রাশফায়ারে যুবলীগ কর্মী সহ ৩ জন নিহত। ৬১ জন গ্রেফতার।
২৯ মে : কেরানীগঞ্জের চুনকটিয়ায় ব্রাশফায়ারে ৩ জন ছাত্র নিহত।
৩১ মে : উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়। খেপুপাড়ায় অনেক জেলে নিখোঁজ।
জুন
৩ জুন : ফেনীতে দুঃসাহসিক ট্রেন-ডাকাতি। ১ জন যাত্রী নিহত, ২ জন আহত। ৪ জন চলন্ত ট্রেন থেকে বাইরে নিক্ষিপ্ত।
৬ জুন : মাতুয়াইলে শোচনীয় বাস দুর্ঘটনা। ২০ জনের মৃত্যু। আহত ৪০।
৮ জুন : নারায়ণগঞ্জে ব্রাশফায়ারে ২ জন ছাত্রলীগ কর্মী নিহত। ১ জন আহত।
১১ জুন : সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমএ হান্নানের মৃত্যু।
যৌথ অভিযান চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে ২ লাখ রাউন্ড গুলি উদ্ধার।
১৩ জুন : মাদারীপুর আওয়াম লীগের অস্থায়ী সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মিরু আততায়ীর গুলিতে নিহত।
১৫ জুন : আওয়ামী লীগের দু’জন সংসদ সদস্য দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে সাসপেন্ড।
২১ জুন : চট্টগ্রামের টাইগারপাসে ভূমিধস। ১২ জন নিহত। বন্যা ও বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে ৫১ জন নিহত।
২৩ জুন : ধূপাছিয়া থানা আক্রমণ। ২ জন পুলিশ আহত। ৬০ জন গ্রেফতার।
জুলাই
৩ জুলাই : কুমিল্লা স্টেশনে সিলেটগামী ট্রেন লাইনচ্যুত। ২৫ জন আহত।
৭ জুলাই : চট্টগ্রামে ন্যাপনেতা গোলাম কবীর গ্রেফতার।
১০ জুলাই : ৪ জন পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা অপসারিত।
বরিশালে গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত।
১২ জুলাই : মনোহরদী থানার ওসি গুলিতে নিহত।
১৩ জুলাই : বরিশালের বাবুগঞ্জ থানা লুট। ওসি সহ ১৫ জন পুলিশ সাসপেন্ড।
১৮ জুলাই : ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সাসপেন্ড। ৫ জন অফিসার অপসারিত।
১৯ জুলাই : টিসিবি ও বিসিকের ১৬ জন কর্মচারী অপসারিত।
২২ জুলাই : ১২ জন অফিসার অপসারিত।
গেন্ডারিয়ার কাছে ভয়াবহ ট্রেন ডাকাতি। ১ জন নিহত।
২৪ জুলাই : ৮ জন অফিসার অপসারিত।
২৫ জুলাই : খাদ্য দপ্তরের ৪৬ জন কর্মচারী অপসারিত।
২৬ জুলাই : শফিউল আলম প্রধান সহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের চার্জশিট দাখিল।
২৭ জুলাই : ঢাকা শিল্প বণিক সমিতির সভাপতি কেএস সাত্তার গ্রেফতার।
২৯ জুলাই : ২০ জন অফিসার অপসারিত।
আগস্ট
১ আগস্ট : কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে ১৯টি বগি লাইনচ্যুত।
২ আগস্ট : বন্যায় সেতু বিপন্ন।
৩ আগস্ট : বুড়িগঙ্গার বিপদসীমা অতিক্রম। রাজধানীর বিরাট এলাকা প্লাবিত।
৫ আগস্ট : উত্তরবঙ্গের সাথে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
৬ আগস্ট : বাংলাদেশ রেলের ৮টি সেকশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা।
ফরিদপুর শহর প্লাবিত।
৭ আগস্ট : গোটা দেশের সাথে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
১২ আগস্ট : শ্রীনগর থানা আওয়ামী লীগ নেতা খুন।
১৫ আগস্ট : জলোচ্ছ্বাসে মংলা বন্দর নিমজ্জিত। বহু লোক নিখোঁজ। উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের ছোবলে ৫ জন নিহত।
১৭ আগস্ট : সেতু ভেঙে চাঁদপুর-লাকসাম রেল-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
১৮ আগস্ট : মুন্সীগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে ৩ হাজার বাড়ি বিধ্বস্ত।
২১ আগস্ট : লৌহজং-এ গম বোঝাই নৌকা লুট।
২৩ আগস্ট : চাঁদপুরের হাজিগঞ্জের কাছে ডাকাত-পুলিশ গুলি বিনিময়। ৭ জন গ্রেফতার।
২৪ আগস্ট : দিনাজপুরের ৪ জন বিডিআর বরখাস্ত। প্রত্যেকের ৬ মাস করে কারাদন্ড।
২৮ আগস্ট : ময়মনসিংহের মদন থানা লুটের চেষ্টা ব্যর্থ। কনস্টেবল নিহত।
সেপ্টেম্বর
৩ সেপ্টেম্বর : বরিশালের টরকিতে ব্যাংক লুট।
৪ সেপ্টেম্বর : ঘোড়াশাল সার কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
৫ সেপ্টেম্বর : মাগুরা জেলার আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মধুকুন্ড গুলিতে নিহত।
৯ সেপ্টেম্বর : বঙ্গোপসাগরে নৌকাডুবি। ৬৫ জনের সলিল সমাধি।
২১ সেপ্টেম্বর : খুলনায় হাতবোমা বিস্ফোরণ। ২ জন আহত।
২৯ সেপ্টেম্বর : ঢাকায় ঘূর্ণিঝড়। কয়েকটি কাঁচাবাড়ি বিধ্বস্ত।
পাবনায় ঝড়। ৩ জন নিহত। আরো কয়েক জায়গায় ঝড়ে ২৩ জন নিহত।
৩০ সেপ্টেম্বর : নগরবাড়ির কাছে দু’টি ধান ও লবণের নৌকা লুট।
অক্টোবর
১ অক্টোবর : নগরবাড়ি ঘাটে আরো ৪টি খাদ্যবোঝাই নৌকা লুট।
১১ অক্টোবর : চট্টগ্রাম ন্যাশনাল কটনমিলে আনসারদের গুলিবর্ষণ। ৩ জন নিহত। মিল প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনী মোতায়েন।
১২ অক্টোবর : বরিশালের সাহেবরামপুরে রক্ষীবাহিনীর ফাঁড়িতে হামলা। ১০ জন দুষ্কৃতকারী নিহত।
১৬ অক্টোবর : রূপসা ঘাটে নদীর তীর ভেঙে ৩০ জন নিখোঁজ।
২৬ অক্টোবর : হামিদ মোহাম্মদ আলী খুন।
২৯ অক্টোবর : মওজুতদারীর দায়ে ময়মনসিংহের এমপি দেলোয়ার হোসেন গ্রেফতার।
৩০ অক্টোবর : লবণ মওজুতের দায়ে চট্টগ্রামের এমপি ড. শামসুদ্দীন চৌধুরী গ্রেফতার।
নভেম্বর
১ নভেম্বর : খুলনায় রক্ষীবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ৯ জন দুষ্কৃতকারী নিহত।
২ নভেম্বর : ঢাকার বুড়িগঙ্গায় ২টি লঞ্চে ডাকাতি। ২ লাখ টাকার মাল লুট।
৫ নভেম্বর : গাইবান্ধায় ৪ জন চেয়ারম্যান গ্রেফতার।
৬ নভেম্বর : ফেনীতে ৬০টি দোকান ভস্মীভূত।
১১ নভেম্বর : ধলেশ্বরীতে লঞ্চডুবি। ২৭টি লাশ উদ্ধার।
চোরাচালানকালে রেল ও বন বিভাগের কর্মচারী গ্রেফতার।
১৪ নভেম্বর : বাওয়া জুটমিলে অগ্নিকান্ডে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি।
১৫ নভেম্বর : ডব্লিউ রহমান জুটমিলে অগ্নিকান্ডে ২২ হাজার মণ পাট ভস্মীভূত।
মেঘনায় লঞ্চডাকাতি। ৬টি রাইফেল সহ ৫ লাখ টাকা লুট।
হবিগঞ্জের সৈয়দপুর বাজার লুট।
১৯ নভেম্বর : খুলনার জয়নগরের কাছে লঞ্চডুবি। ৮৫টি লাশ উদ্ধার।
২২ নভেম্বর : অনাহার ও ব্যধিতে সাড়ে ২৭ হাজার লোক মারা গেছে : সংসদে খাদ্যমন্ত্রী।
২৩ নভেম্বর : জাসদ নেতা শাহজাহান সিরাজ ও নুরে আলম জিকু গ্রেফতার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারী বরখাস্ত।
২৪ নভেম্বর : বগুড়ার গাবতলী থানা লুটের চেষ্টা ব্যর্থ।
বরিশালের কাঁঠালিয়া থানার কাছে পুলিশের কাছ থেকে ২টি রাইফেল ছিনতাই।
২৫ নভেম্বর : ফরিদপুরের দিগনগরে কুমারনদীতে বাসডুবি। ৬ জন যাত্রীর প্রাণহানি।
রক্ষীবাহিনীর ২ জন লিডার চাকরি থেকে অপসারিত।
২৬ নভেম্বর : গাইবান্ধার কাছে বাদিয়াখালী ও ত্রিমোহনী স্টেশনের মাঝমাঝিতে ট্রেন লাইনচ্যুত। ১ জন নিহত।
২৮ নভেম্বর : চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানায় ঝড়ে ২২৮ জনের মৃত্যু।
৩০ নভেম্বর : জেপিসির কুষ্টিয়াস্থ উজানগ্রামে গুদামে অগ্নিকান্ড। ১০ লাখ টাকার পাট ভস্মীভূত।
ডিসেম্বর
২ ডিসেম্বর : রাজবাড়ীতে ছাত্রলীগ নেতা খুন।
শেল ফেটে সাভারে ৫ জন নিহত।
৩৮ জন বিদ্যুৎ কর্মকর্তা ও ২ জন সরকারী কর্মচারী অপসারিত।
লাকসামে ট্রেন দুর্ঘটনা। ৩১ জন আহত।
৩ ডিসেম্বর : দুষ্কৃতকারীর গুলিতে সাবেক এমসিএ ওয়াই আমিনুদ্দিন আহমদের মৃত্যু।
পার্বত্য চট্টগ্রামে ২টি পুলিশ ফাঁড়ি লুট।
৬ ডিসেম্বর : রায়পুরা থানার দুলালকান্দি তহশীল অফিস লুট।
ভেড়ামারায় পুলিশ-দুষ্কৃতকারী গুলি বিনিময়।
১০ ডিসেম্বর : মোহাম্মদপুরে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী প্রধান নিহত।
১১ ডিসেম্বর : গাউসিয়া জুটমিলে অগ্নিকান্ড।
১৩ ডিসেম্বর : ঢাকার জিঞ্জিরার কৈবর্তপাড়ায় বিষাক্ত লবণ খেয়ে ৭ জনের মৃত্যু।
রাজধানীতে বাংলার বাণী অফিস, মোজাফফর ন্যাপ অফিস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন অফিস এবং বিনোদন অফিসে পটকা ও মলোটভ ককটেল নিক্ষেপ।
১৪ ডিসেম্বর : নারায়ণগঞ্জ ও খুলনায় পটকা ও হাতবোমা বিস্ফোরণ।
১৫ ডিসেম্বর : রাজেন্দ্রপুরে রেললাইন অপসারণ। ট্রেন দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত।
যশোরে বাসে মলোটভ ককটেল। ১৫ জন আহত।
রাজধানীর কয়েকটি স্থানে মলোটভ ককটেল নিক্ষেপ।
১৭ ডিসেম্বর : সুন্দরবনের কাছে বিদেশী বিমান বিধ্বস্ত। ২ জন নিহত।
কুষ্টিয়ার হাসলা বাজার ও হাসলা স্টেশন লুট।
১৯ ডিসেম্বর : কুষ্টিয়ায় রাইফেল ছিনতাই। আনসার বুলেটবিদ্ধ।
২০ ডিসেম্বর : টঙ্গীর নিশাত জুটমিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড।
২৫ ডিসেম্বর : কুষ্টিয়ার দু’টি পৃথক ঈদের জামাতে সংসদ সদস্য জনাব গোলাম কিবরিয়া এবং একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিহত।
২৬ ডিসেম্বর : সারা বাংলাদেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা। সংবিধানের কয়েকটি ধারার প্রয়োগ স্থগিত। জরুরী ক্ষমতা অর্ডিন্যান্স জারি।
১৯৭৫ জানুয়ারী
১ জানুয়ারী : নারায়ণগঞ্জে এমসির ২টি গুদামে অগ্নিকান্ড। বিপুল পাট ভস্মীভূত।
বাংলা সর্বহারা পার্টি নামের দলের নেতা সিরাজুল হক শিকদার ওরফে সিরাজ শিকদার নামে গ্রেফতার।
২ জানুয়ারী : সাভারের কাছে পুলিশের গুলিতে সিরাজ শিকদার নিহত।
৪ জানুয়ারী : মেহেরপুর মহকুমার একটি থানার উপর হামলা। পুলিশের সাথে গুলি বিনিময়ে ৪ জন দুষ্কৃতকারী নিহত।
৬ জানুয়ারী : ধর্মঘট, সভা ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা।
৭ জানুয়ারী : একদিনে রাজধানীতে ৯টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন।
১০ জানুয়ারী : ঢাকা শহরে ৩ জন আওয়ামী লীগ কর্মী খুন।
পাবনা জেলার বেড়া থানায় আততায়ীর গুলিতে ৭ জন নিহত।
১১ জানুয়ারী : ঢাকা-মানিকগঞ্জ সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত ও শতাধিক আহত।
১২ জানুয়ারী : ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মুক্তাগাছা থানার সভাপতি শ্রী নরেন কর আততায়ীর গুলিতে নিহত।
১৪ জানুয়ারী : রাজধানীতে একদিনে ৭টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন।
মেঘনাবক্ষে লঞ্চ ডাকাতি। আনসার আহত। ৪শ’ রাউন্ড গুলি সহ ৮টি রাইফেল ছিনতাই।
১৯ জানুয়ারী : সেনাবাহিনীর গুলিতে বিভিন্ন সীমান্তে ৫০ জন চোরাচালানী নিহত।
৩১ জানুয়ারী : ঝিনাইদহের অদূরবর্তী সাধুহাটী সরকারী কৃষি খামারে গুদাম লুট। ৪ জন মহিলা সহ ১২ জন দুষ্কৃতকারী গ্রেফতার।
ফেব্রুয়ারী
২ ফেব্রুয়ারী : কুষ্টিয়া জেলার কাতিলদহ গ্রামে দুষ্কৃতকারী দলের সাথে পুলিশের গুলি বিনিময়। ২ জন দুষ্কৃতকারী নিহত, ৩০ জন গ্রেফতার।
৩ ফেব্রুয়ারী : রাজধানীর কর্মব্যস্ত মতিঝিল এলাকায় দেড় লাখ টাকা ছিনতাই। দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে ২ জন নিহত।
মেঘনাবক্ষে দুর্ধর্ষ লঞ্চ ডাকাতি। ২ জন ছুরিকাহত।
৪ ফেব্রুয়ারী : যশোরের সংসদ সদস্য জনাব ময়েনউদ্দীন মিয়াজী অজ্ঞাত ব্যক্তির গুলিতে আহত।
লালবাগ কেল্লার পেছনে ডাকাতের গুলিতে একজন নিহত ও একজন আহত। ৮০ হাজার টাকার মালামাল লুট।
৬ ফেব্রুয়ারী : ময়মনসিংহের পরানগঞ্জের আওয়ামী যুবলীগ নেতা আবদুস সোবহান আততায়ীর গুলিতে নিহত।
১৪ ফেব্রুয়ারী : দৌলতপুরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। সোয়া কোটি টাকার পাট ভস্মীভূত। জেএমসি ম্যানেজার সহ ১৫ জন গ্রেফতার।
১৫ ফেব্রুয়ারী : দিনাজপুরে বাস দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ৩২ জন আহত।
২২ ফেব্রুয়ারী : ইসলামপুরে গির্জা ধসে দু’টি শিশুর মৃত্যু।
২৩ ফেব্রুয়ারী : ঢাকায় একদিনে ১৬টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন।
নেত্রকোনার সংসদ সদস্য আবদুল খালেক আততায়ীর গুলিতে নিহত। ৭ জন গ্রেফতার।
২৬ ফেব্রুয়ারী : চাঁদপুরে জেএমসি গুদামে অগ্নিকান্ড। বিপুল পাট ভস্মীভূত।
মার্চ
৩ মার্চ : বঙ্গোপসাগরে যাত্রীবাহী ফেরিবোট নিমজ্জিত। ৯টি মৃতদেহ উদ্ধার।
১১ মার্চ : ঝিনাইদহে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৫ জন নিহত।
২৭ মার্চ : টাঙ্গাইলের কাছে বাস দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ও শতাধিক আহত।
এপ্রিল
১ এপ্রিল : মিরপুরের কাছে ঢাকা-আরিচা সড়কে ট্রাক-বাস সংঘর্ষে ৭৫ জন আহত।
১৩ এপ্রিল : কালবৈশাখীর ছোবলে ঢাকা ও সিলেটে ৬ জন নিহত ও পাঁচশ’ আহত।
১৪ এপ্রিল : নারায়ণগঞ্জে পাটের গুদামে অগ্নিকান্ড। ৯ জন গ্রেফতার।
২১ এপ্রিল : সিলেটে ঝড়ে ৫ জন নিহত।
মে
৬ মে : বরিশালের কাছে লঞ্চডুবি। ৪০ জনের মৃত্যু।
১১ মে : কুষ্টিয়া জেলার ছতিয়ানীতে সশস্ত্র দুষ্কৃতকারীদের সাথে রক্ষীবাহিনীর গুলি বিনিময়। ৮ জন দুষ্কৃতকারী নিহত।
১৫ মে : সাভারের কাছে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ। ২ জন নিহত ও ২০ জন আহত।
২৫ মে : মাদারীপুর কলেজের অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন আহমদ খুন।
৩১ মে : চুয়াডাঙ্গা জেলা বাকশাল সভাপতি দোস্ত মোহাম্মদ আনসারী খুন।
জুন
২ জুন : পাবনার বাঘাবাড়ী ফেরিঘাটে যাত্রীবাহী বাস নিমজ্জিত। ২১ জনের মৃত্যু।
১৬ জুন : জাতীয় শ্রমিক লীগ কমিটির সদস্য আবদুর রশিদ লেবু মিয়া খুন।
১৯ জুন : চট্টগ্রাম বন্দরে বিপুল পরিমাণ তুলা ভস্মীভূত। ১৪ জন গ্রেফতার।
৩০ জুন : নাটোরে পরিত্যক্ত কূপের বিষাক্ত গ্যাসে ২ জনের মৃত্যু।
জুলাই
৫ জুলাই : চাঁদপুরের কাছে নগ্ন ডাকাতি। একজন অপহৃত।
৮ জুলাই : সমগ্র দেশে ভূমিকম্প। ফরিদপুরে ৭ জন আহত।
১৩ জুলাই : ঝিনাইদহে বাস দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত।
১৫ জুলাই : ঢাকায় প্রবল বর্ষণ। স্বাভাবিক জীবন বিপর্যয়। ৩ জনের প্রাণহানি।
১৯ জুলাই : গোমতী বাঁধে চার জায়গায় ভাঙন। চট্টগ্রামের দু’টি থানায় ২০ হাজার লোক অপসারিত।
২১ জুলাই : কুমিল্লার গ্রামে মাইন বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত।
৩১ জুলাই : চট্টগ্রামে ও ফেনীতে বন্যায় ৮ ব্যক্তির প্রাণহানি।
আগস্ট
৩ আগস্ট : মেঘনায় দু’টি যাত্রীবাহী লঞ্চে সংঘর্ষ। একটি নিমজ্জিত।
৪ আগস্ট : টঙ্গীর কাছে ট্রাক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত।
৯ আগস্ট : চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঈশ্বরদীগামী যাত্রীবাহী ট্রেনে ডাকাতি। ২২ জন আহত।
১১ আগস্ট : ৬ জনের নাগরিকত্ব বাতিল।
১২ আগস্ট : ঝিনাইদহে ডাকাত সন্দেহে ৯ জনকে পিটিয়ে হত্যা।
১৫ আগস্ট : রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সপরিবারে নিহত।
০০০
Ref: বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর সময়কাল – ড. মোহাম্মদ হাননান