শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
যুব শিবির প্রণোদনা কোর্স সম্পর্কিত দলিল | বাংলাদেশ সরকার
যুদ শিবির পরিচালনা বোর্ড |
………………. ১৯৭১ |
যুব শিবির প্রণোদনা কোর্স
১। এমন প্রেষণা দরকারঃ
একজন তরুন যদি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়, তবে একথা তাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, এখানে শারীরিক এবং মানসিক উভয়ভাবেই প্রস্তুত হওয়া আবশ্যক। একটি প্রণোদনা কোর্সের লক্ষ্য হচ্ছে একজন যোদ্ধাকে এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে।
২। আমাদের সংগ্রামে প্রাথমিক লক্ষ্যঃ
এই নিষ্ঠুর সশস্ত্র বাহিনীর হাত থেকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে মুক্ত করে নতুন ভাবে নতুন নিয়মে একটি স্বাধীন, গনতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একটি সুখি সমৃদ্ধ দারিদ্র, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এই মুক্তিযুদ্ধ একটি ছোট্ট পদক্ষেপমাত্র। যেখানে সকলের অধিকার সংরক্ষণ করা হবে এবং সমাজে কোনো ভেদাভেদ থাকবেনা।
৩। কেবল লড়ে যাওঃ
আমরা সবচেয়ে মহান উদ্দেশ্য নিয়ে যুদ্ধটি করছি। আমরা যুদ্ধ করছি স্বাধীনতার জন্যে, আমরা যুদ্ধ করছি গণতন্ত্রের জন্যে। আমরা ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের অপশক্তি ধ্বংস করার যুদ্ধ করছি। অতএব, এই লড়াইয়ে আমরা বিশ্বের সব অধিকার সচেতন মানুষের নৈতিক সমর্থনপাচ্ছি। আমাদের সংগ্রামের খবর এবং সাড়া দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে।
৪।আমাদের জাতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যঃ
আমাদের সকল যোদ্ধাদের আমাদের জাতীয় ইতিহাস, সংগঠিত গণহত্যা এবং জাতির সামাজিক ইতিহাসের বিবর্তনের দিক জানা প্রয়োজন। বর্তমান সময় আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। হয় বাঙ্গালি রক্ত ঝরিয়ে স্বাধীন হবে, নতুবা চিরদাসত্ব মেনে নেবে। আমাদের যোদ্ধারাই আমাদের ইতিহাস বানিয়েছে। এবারো তার ধারা অক্ষুণ্ণ থাকবে।
৫।সশস্ত্র. সংগ্রামঃ
শত্রুরা আমাদের অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বাধ্য করেছে। যদিও আমরা শুরুতে নিরস্ত্র ও অপ্রস্তুত ছিলাম, কিন্তু আমরা দ্রুত শিখে গেছি কি করে অস্ত্র চালাতে হয়। বাঙ্গালিরা নিজেদের সেরা যোদ্ধা হিসেবেই প্রমান করেছে।
প্রকৃতপক্ষে আমাদের জনগণ অমানবিক নির্যাতন ও নিপীড়নে জর্জরিত একটি জীবন থেকে মুক্তি পাবার জন্য অপেক্ষা করছে। আপনার পরিবারের সদস্যদের অনেকে হয়তবা প্রাণ হারিয়েছে, অবর্ননীয় যন্ত্রণা ভোগ করেছ, কিংবা আপনার নিজের আত্মীয়দের অনেকেই সাগ্রহে একজন ‘বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে আপনাকে বরন করবার জন্য অপেক্ষা করে আছে।.
<003.160.359>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
৬। আমাদের জনগণঃ
(ক) আমাদের জনগণই আমাদের শক্তি। এটা খেয়াল রাখতে হবে যে তারা এই মুহুর্তে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে। বুঝতে হবে যে তারা দরিদ্র এবং একটা সন্ত্রাসের রাজত্ব অধীনে তারা বাস করছে। কিন্তু তারা তাদের অন্তর দিয়ে আমাদের সমর্থন করছে। প্রতিকুল সময়ে হয়তোবা কিছু মানুষ আমাদের বিরোধিতা করছে। তবে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের একটি কার্যকর, সুসংগঠিত এবং সুশৃঙ্খল দল হিসেবে প্রমাণ করতে হবে। তাদের কাজের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। আমাদের সব কার্যক্রম দ্বারা সাধারন মানুষের সঙ্গে আমাদের একাত্মতা প্রকাশ করতে হবে। জনসমর্থন হারানোটা হবে একটা বিপর্যয়ের নামান্তর।
(খ) একজন মুক্তিযোদ্ধার সংগ্রাম শুধু যুদ্ধের ময়দানেই নয়, সকল ক্ষেত্রেই। বিভিন্ন অপপ্রচার ও দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শত্রুরা আমাদের দ্বিধাবিভক্ত করবার চেষ্টা চালাচ্ছে। কাজেই লোভ, বিভিন্ন অপপ্রচার, আত্মচিন্তা প্রভৃতি যেন কনো ভাবেই আমাদের নিরস্ত করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সকল ধরণের প্রচেষ্টাই কাজে লাগাতে হবে কারণ আমরা যুদ্ধ করছি। এই যুদ্ধটা কেন করছি সবসময় মাথায় রাখতে হবে।
৭। জয় আমাদের হবেইঃ
ভবিষ্যত স্পষ্টতই আমাদের হাতে। বিশ্বের সকল সংবাদ সংস্থা এবং বিশ্বের রাজনৈতিক চিন্তাবিদেরা বিশ্লেষণ করে আজ এই বিষয়ে একমত যে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র আজ মৃত। সকল সামরিক সরবরাহ ইতোমধ্যেই পরিষ্কার করে দিয়েছে যে পাকিস্তান খুব বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের উপর সশস্ত্র দখল ধরে রাখতে পারবে না। স্বাধীনতা যুদ্ধে গেরিলাদের সাফল্য আজ বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত ও নন্দিত। কত জলদি স্বাধীনতা চাই, শুধু সময়ের
003.161.360>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
যুব শিবিরঃ একটি নির্দেশিকা | বাংলাদেশ সরকার
যুব শিবির পরিচালনা বোর্ড |
………………………. ১৯৭১ |
যুব শিবির
সূচিপত্র
১ | যুব শিবির কি কারণে প্রয়োজন? |
২ | সূচনা/ভুমিকা |
৩ | বাজেট |
৪ | সিলেবাস |
৫ | কোর্সের গঠন |
৬ | যুব শিবিরের তালিকা (বর্তমান সামর্থ্য ও ক্যাম্প প্রধানের নাম) |
৭ | যুব শিবিরের পরিচালনা পরিষদ (কর্মকর্তাদের তালিকা) |
৮ | রেজিস্ট্রার ও অন্যান্য হিসাব |
ক | ক্যাম্প অফিসারের তালিকা
*রোজকার প্রবেশ/প্রস্থানের হিসাব *দৈনিক আয় |
খ | দৈনিক ঘটনার রেজিট্রার
*শত্রু পক্ষের কাজ *আমাদের কাজ |
গ | সাপ্তাহিক উন্নয়ন প্রতিবেদন |
কেন যুব ত্রাণ শিবির দরকার?
১। উদ্দেশ্যসমুহঃ
(ক) বাংলাদেশে পাকবাহিনীর নৃশংস নিপীড়ন থেকে পালিয়ে বাঁচতে দেশ ত্যাগ করা মানুষের সংখ্যা বাড়ছেই যাদের একটি বিরাট অংশ হচ্ছে যুবক যা নিজেদের বিশেষ প্রয়োজনে বিশেষ দল গঠন করেছে।
(খ) তাই তারা ফেরত আসা মাত্রই তাদের এই তারুন্যের শক্তিকে গঠনমূলক কাজে পরিচালনা করাটা অতি জরুরি।
(গ) বলাই বাহুল্য, এইসব তরুণরা বর্তমানের চরমপন্থি ও নৃশংস রাজনৈতিক কার্যকলাপের কারনে ও স্থানীয় পুলিশের সহিংস কাজকর্মের জন্য ভুল পথে নির্দেশিত হবে যা স্থানীয় সরকারের জন্য গুরতর সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
২। পরিকল্পনাঃ
ক) এই উদ্দেশ্যে যুবকদের প্রয়োজন ও চাহিদা অবিলম্বে পূরণের জন্য বিশেষ ত্রাণ শিবির স্থাপন করে সেখানেই যথাযথ প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
<003.161.361>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
খ) এই যুব শিবির প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করবে।
৩। ক্যাম্পের ধরণ
ক) যুবাদের গ্রহণ শিবিরঃ
সীমান্ত থেকে প্রায় ৫ মাইল দূরত্বে বিভিন্ন প্রবেশ পথে অভ্যর্থনা শিবিরগুলো নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেঃ
(অ) বাংলাদেশ থেকে একটি দীর্ঘ এবং শ্রমসাধ্য যাত্রার পর যুবকদের জন্য কিছু বিশ্রাম ও আশ্রয় প্রদান করতে,
(আ) তাদের পরিচয় যাচাই করার জন্য,
(ই) শত্রু এজেন্টদের অনুপ্রবেশ হল কিনা সেটা চেক করতে,
(ঈ) যুব শরণার্থী শিবিরে ভর্তির আগে তাদের কয়েক দিনের জন্য ধরে রাখতে।
খ) নিয়মিত যুব ত্রাণ শিবির কেন্দ্র দ্বারা পরিচালিত অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা তাদের বাংলাদেশে দরকারী নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দানের জন্য একটি নির্বিঘ্ন পরিবেশ প্রদান করবে।
যুব ত্রাণ শিবির
(একটি ভূমিকা)
তারিখ: ০৬-০৬-১৯৭১
১। উদ্দেশ্য
ক) বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে আসা যুবকদের কোন সংগঠিত ও উদ্দেশ্যমূলক কাজের দিকে উৎসাহিত, প্রশিক্ষিত ও পরিচালিত করা যাতে তারা দেশে ফেরার পরে কাজে লেগে যেতে পারে।
খ) রক্ষনাগার হিসেবে কাজ করা, যেখান থেকে পরবর্তিতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের জন্য লোক সরবরাহ করা হবে।
গ) মাঠকর্মী হিসেবে সবাইকেই প্রশিক্ষন দেয়া হবে যারা পর্যাপ্ত সুযোগ পেলে অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম চালনাসহ খ-তে উল্লেখিত সুবিধা পাবে।
২। কর্মসুচি
(ক) আগামী ছয় মাসের মধ্যে যাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে
অ) ১ লাখ মাঠকর্মী
আ) ৩৬,০০০ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য
(খ) গড় মাসিক খরচ হবে ২৪,০০০
(গ) ১৫ দিনের দুই অংশে বিভক্ত করে এক মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ হবে
অ) প্রথম অংশ বিশেষত নতুন করে আসা প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য প্রেরণামূলক প্রশিক্ষণ। সশস্ত্র বাহিনীর নিয়োগ প্রক্রিয়া এর পরে শুরু করা হবে।
আ) দ্বিতীয় অংশ সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ না পাওয়া মাঠ কর্মীদের জন্য, কৌশলগত প্রশিক্ষণ।
<003.161.362>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
পাঠ্যক্রমের একটি রূপরেখা পরিশিষ্ট-ক তে সংযুক্ত করা হয়েছে (পতাকা-এক্স এ সংক্ষিপ্তসার).
৩। বাজেট
প্রতিটি ক্যাম্পের ৫০০ প্রশিক্ষণার্থীর জন্য ব্যয় হিসাব করা হয়েছে নিম্নরূপ
ক) অ আবর্তক-৭২,০০০/- টাকা
খ) আবর্তক-প্রতিমাসে ৮৩,০০০/- টাকা
১,২৫,০০০/- টাকার একটি সামগ্রিক বাজেটের পরিকল্পনা অনানুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকারের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে (বিস্তারিত সংযুক্তিতে)।
৫০০ জনের একটি ক্যাম্পের জন্য মাসে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে।
৪। শিবিরের গঠনঃ
দুই ধরনের হতে হবেঃ
(ক) অভ্যর্থনা শিবিরঃ ত্রিপুরায় সীমান্তবর্তী প্রবেশ পথের ৫ মাইলের ভিতরে প্রায় ১৬ টি এরকম ক্যাম্প আছে। এগুলোর কাজ হচ্ছেঃ
অ) প্রাথমিক বিশ্রাম ও অভিযোজন.
আ) নিজস্ব রাজনৈতিক নেতা দ্বারা নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ,
ঈ) কিছু প্রাথমিক প্রশিক্ষণ, নিয়মিত ক্যাম্পে ভর্তির জন্য অপেক্ষা সম্ভব হলে।
(খ) যুব শিবিরঃ প্রতিটিতে প্রায় ১০০০ ধারনক্ষমতা সম্পন্ন ১০ টি ক্যাম্প ত্রিপুরার তিনটি এলাকায়, আগরতলার ৩০ মাইলের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে।
ক্যাম্প একটি তালিকা ‘পরিশিষ্ট খ’ তে সংযুক্ত করা হয়েছে-
৫। শিবির পরিচালনাঃ
অ) অভ্যর্থনা শিবির নিম্নলিখিত সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দ্বারা পরিচালিত হবেঃ
একজন শিবির পরিচালক
একজন সহকারী শিবির পরিচালক
একজন সুপারভাইজর
একজন ছাত্র প্রতিনিধি
এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা.
আ) যুব শিবিরঃ প্রতিটি প্রশিক্ষণ শিবির তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে পরিচালনা ও নির্দেশনা প্রদানের জন্য নিম্নলিখিত কর্মকর্তা থাকবেঃ
একজন শিবির প্রধান
একজন সহকারী শিবির প্রধান
প্রতি ২৫০ প্রশিক্ষণার্থীর জন্য একজন রাজনৈতিক প্রশিক্ষক
একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
<003.161.363>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
২)প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সামগ্রিক দিক পরিচালিত হবে প্রশিক্ষণ কো-অর্ডিনেটর (ডঃ আবু ইউসুফ) এর অধীনে।
৩)ভারত সরকার সকল শিবির সুবিধা ও নিরাপত্তা সরবরাহ করবে।
৬। নিয়োগঃ
ক)যুব শিবির পরিচালনা পরিষদ সেখানকার জনপ্রতিনিধিদের মধ্য থেকে একজন ক্যাম্প প্রধান মনোনীত করবেন।
খ) ক্যাম্প প্রধাননিম্নরুপ প্রক্রিয়াতে অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ দিবেনঃ
ক) যুব ক্যাম্প পরিচালকের পরামর্শে কর্মচারী ও পেশাজীবীদের মধ্য থেকে সরকারি কর্মকর্তা সুপারভাইসর হবেন।
খ) রাজনৈতিক প্রশিক্ষক হবেন অধ্যাপকগণের মধ্য থেকে একজন, প্রশিক্ষণ সমন্বয়কের পরামর্শে।
গ) সেক্টর কমান্ডারের পরামর্শে চাকুরীজীবী বা প্রাক্তন চাকুরীজীবীদের একজন হবেন শারীরিক প্রশিক্ষক।
ঘ) বাংলাদেশ ছাত্র কমিটির মনোনয়নের মাধ্যমে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।
ঙ) মেডিকেল সমন্বয়কের পরামর্শে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিয়োগ হবেন।
চ) নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই তাদের নিজস্ব শিবিরে থাকবেন।
৭। অর্থ ও হিসাবঃ
ক্যাম্প সুপারভাইজর বা ক্যাম্প প্রশাসক হবেন নির্বাহী কর্মকর্তা। সব হিসাব একত্রিত করে সাপ্তাহিক ব্যয় নির্ধারণ করে পূর্ণ হিসাব তারা শিবির পরিচালকের কাছে জমা দেবেন।
৮। সদর দপ্তরঃ
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরক্ষা অধিদপ্তরে সকল প্রকল্প পরিকল্পনার জন্য একটি সদর দপ্তর স্থাপিত হবে।
অসংশোধিত
৫০,০০০ যুবকের প্রশিক্ষণের জন্য ছয় মাসের ব্যায়ের সংক্ষিপ্ত চার্টঃ
১) অনাবৃত ব্যায়:
ক) প্রতি ৫০০ জনের জন্য ঘর (২১টি)
প্রতি ঘরে খরচ ৪৫,০০০ রুপি মোট ৯,৪৫,০০০ রুপি
খ) প্রতি ৫০০ জনের জন্য নলকূপ
প্রতিটিতে খরচ ৩,০০০ রুপি মোট ৬৩,০০০ রুপি
<003.161.364>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
গ)বিছানা জনপ্রতি ১৩০০০ রুপি মোট ২,৭৩,০০০ রুপি
ঘ)লাইটিং জনপ্রতি ৪০০ রুপি মোট ৮, ৪০০ রুপি
ঙ)বাসন জনপ্রতি ২০০০ রুপি মোট ৪২০০০ রুপি
চ)হাত সরঞ্জাম জনপ্রতি ৫০০ রুপি মোট ১০,৫০০ রুপি
ছ) শিক্ষা উপকরন জনপ্রতি ১৭০০ রুপি মোট ৩৫,৭০০ রুপি
জ)আসবাবপত্র প্রতি ১৫ জনে ১০০০ রুপি
মোট ৭৫০ জনের ধারন ক্ষমতাতে মোট ১,০০,০০০ রুপি
ঝ) অন্যান্য – ১৪,৯২,৬০০ রুপি
সর্বমোট – ১৫,০০,০০০ রুপি
২) আবর্তক ব্যায়ঃ
ক) প্রশিক্ষণার্থীদের রক্ষণাবেক্ষণে জনপ্রতি ৬০০০ রুপি এবং বাইরের পোশাকের জন্য জনপ্রতি ১২,০০০ রুপি মোট ৭,২০,০০০ রুপি ছয় মাসের জন্য এবং খাবারের জন্য মাথা পিছু ৯০ রুপি করে মোট ১০,৫০০ রুপি হিসেবে ছয় মাসের জন্য মোট ১০,৩৫,০০০ রুপি। সর্বোমোট ৪৩,২০,০০০ রুপি।
খ) ক্যাম্প তত্ত্বাবধান এবং প্রশিক্ষণকর্মীদের জনপ্রতি প্রতিমাসে ৪৩,২০০ রুপি হিসেবে ১৫ টি ক্যাম্পের জন্য ৬ মাসে সর্বোমোট ৬২,১৩,০০০ রুপি।
গ) সাময়িকী প্রকাশের জন্য প্রতি মাসে প্রতি ক্যাম্পে ১০০ করে মোট- ১৫০০ রুপি হিসেবে ৬ মাসের জন্য ৯০০০ রুপি।
ঘ) পরিবহন বাবদ ক্যাম্পপ্রতি প্রতিমাসে ১৬৫০০ রুপি করে ১৫ ক্যাম্পের জন্য
ঙ) কেন্দ্রীয় সেবা বিতরণের জন্য প্রতি মাসে মোট ৪২০০ রুপি (১৫ ক্যাম্পে ছয় মাসের জন্য)
চ)ঔষধ পত্র, সম্ভাব্য এবং বিবিধ: প্রতি মাসে ক্যাম্প প্রতি- ১০০০ রুপি
সর্বোমোটঃ ১,১০,০০,০০০ রুপি
সারাংশ:
১) সকল অনাবৃতক ব্যায় – ১৫,০০,০০০ রুপি
২) সকল আবর্তক ব্যায়- ১,১০,০০,০০০ রুপি
মোট ১,২৫,০০,০০০ রুপি
<003.161.365>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
যুব ত্রান শিবির
১। ফেরত- ব্যয়
প্রতি ৫০০ জন নতুন ভর্তি হওয়া সৈনিকের গ্রুপের জন্য খরচের তালিকাঃ
ক) প্রত্যেক প্রশিক্ষনার্থীর জন্য ২৫ বর্গ ফুট আয়তনের বাশের তৈরি কুড়ে ঘর। এবং ৩.৫০ রুপি/ বর্গ ফুট করে খরচ উল্লেখ করা হয়েছে।
|
৪৫,০০০ রুপি
|
খ) ৩ টি টিউবওয়েল , প্রতিটি ১০০০ | ৩০০০ রুপি |
গ) বিছানা-
সতরঞ্জি প্রতিটি ৮ রুপি বালিশ প্রতিটি ৫ রুপি মশারি প্রতিটি ১ রুপি বিছানার চাদর প্রতিটি ৫ রুপি জনপ্রতি ২৬ রুপি x ৫০০ জন= |
১৩০০০ রুপি |
ঘ) লন্ঠন বাতি ২৫ টি প্রতিটি ৭০ রুপি করে=
|
১৭৫০ রুপি |
২ কেরোসিন বাতি (c) ১০০
|
২০০ রুপি |
অফেরত- ব্যয়ঃ
ঙ) প্রতি গ্রুপের জন্য পাত্রের তালিকা= | |
থালা ২৫০ টি প্রতিটি ২ রুপি | ৫০০ রুপি |
গ্লাস ১০০ টি প্রতিটি ১.৫০ রুপি | ১৫০ রুপি |
জগ ২৫ টি,প্রতিটি ৬ রুপি | ১৫০ রুপি |
বদনা ২৫ টি,প্রতিটি ৫ রুপি | ১২৫ রুপি |
ড্রাম ২ টি প্রতিটি ৭৫ রুপি | ১৫০ রুপি
|
ডেকচি ৬ টি,প্রতিটি ৯০ রুপি | ৫৪০ রুপি |
৫’’ ৫ প্রতিটি ২০ রুপি | ১০০ রুপি |
চ) প্রতিটি গ্রুপের কায়িক কাজের জন্য হস্তচালিত
যন্ত্রপাতি
|
১৯১৩ রুপি/ ধরি ২০০০ রুপি |
ছ) শিক্ষা উপরণঃ
ব্ল্যাক বোর্ড ইত্যাদি, শ্রবণ-দর্শন (২) ২০০ রেডিও প্রতি শিবিরে ৬ টি ১২০০ চক ৩০০
|
১৫০০ রুপি |
প্রতি গ্রুপের জন্য ১৭০০ রুপি
|
১৭০০ রুপি |
খ) শিবির স্থাপনঃ
কর্মচারীদের জন্য আসবাবপত্রঃ
একটি টেবিল (২০ রুপি) এবং একটি চেয়ার (১০ রুপি) এবং একটি বিছানা(৪০ রুপি) জন প্রতি
|
<003.161.366>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
১ শিবির প্রধান
১ শিবির এর দায়িত্বপ্রাপ্ত
৩ প্রশিক্ষক (প্রতি ৭৫০ নতুন সৈনিকের জন্য এক জন)
৩ পিটি’র পাশাপাশি কায়িক কাজের প্রশিক্ষক ৭৫০ জন নবীন সৈনিকের জন্য
১ ভ্রাম্যমান চিকিৎসা
১ চিকিৎসা কর্মকর্তা
১০ জন ১০০রুপি জন প্রতি =১০০ প্রতিটি শিবিরের জন্য ১০০০ রুপি
২। ফেরত ব্যয়ঃ
ক) প্রতি প্রশিক্ষনার্থীর
|
|
প্রয়োজনীয় জিনিস | ৮ রুপি |
লুঙ্গী | ৫ রুপি
|
শার্ট (২) | ১৫ রুপি
|
পোশাক (২) | ১০ রুপি
|
জুতা (বাটা)
মোজা |
১০ রুপি
|
নোট বই পেন্সিল ইত্যাদি | ৫ রুপি |
৫৮/০০, ধরা যাক ৬০ রুপি
|
|
তাহলে ৬০x১২০০০ = | ৭২০০০০ রুপি প্রতি মাসে |
খাবার জন প্রতি প্রতিদিন ৩ রুপি ৩০ দিনের জন্য ৯০x১০,৫০০= | ১০,৩৫,৫০০ রুপি প্রতি মাসে
|
ফেরত ব্যয়ঃ
খ) শিবির স্থাপনের জন্যঃ
সচিবের জন্যঃ ১৫ টি শিবির ৭৫০ জনের ধারন ক্ষমতা বিশিষ্ট
(৫০০-১০০০ উঠানামা করছে)
১৫ শিবির প্রধান
১৫ শিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত
৪২ প্রশিক্ষক (প্রতি ২৫০ জনের জন্য একজন)
৪২ পি টি প্রশিক্ষক (ঐ)
<003.161.367>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
১৫ ছাত্র সংগঠক
১৫ মেডিকেল অফিসার
১৪৪ টি জন প্রতি ১০/০০ রুপি ৩০ দিনের জন্য | ৪৩,২০০ রুপি প্রতি মাসে |
১/০০’’ ৩০০ প্রতি মাসে | |
গ) মাসিক পত্রিকা প্রতি শিবিরের জন্যঃ
ঔষধ,হঠাত দূর্ঘটনা,বিবিধঃ |
১০০ রুপি প্রতি মাসে
১০০০ রুপি প্রতি মাসে |
ঘ) যাতায়াতঃ
গুদাম এবং প্রশিক্ষনার্থীদের চলাচলের জন্যঃ রক্ষনাবেক্ষন এবং চালনা ১৫ টি পিকাপ চালানোর জন্যঃ ১৫ স্কুটারঃ |
১৫০০০ রুপি প্রতি মাসে
১৫০০ রুপি প্রতি মাসে
৩০০রুপি প্রতি মাসে |
ঙ) গুদামের জন্য সেন্ট্রাল সার্ভিস অফিসঃ
১ কর্মকর্তাঃ ২ সহযোগী একই সাথে টাইপিস্টঃ ৩ টি ট্রাক রক্ষনাবেক্ষন চালকঃ ১ জীপ ১ বাইসাইকেল চালকঃ আকস্মিক প্রয়োজনঃ |
২০০ রুপি প্রতি মাসে
৩০০০ রুপি প্রতি মাসে ৫০০ রুপি প্রতি মাসে ৪১০০ রুপি প্রতি মাসে ৪১০০ রুপি প্রতি মাসে ১০০ রুপি প্রতি মাসে
|
৪২০০ রুপি প্রতি মাসে
|
যুব ত্রাণ শিবির
৫০০ প্রশিক্ষনার্থীদের জন্য বাজেট
(একটি সারাংশ)
অফেরত ব্যয়ঃ
১। কুড়ে ঘর (১২৫০০০ বর্গ ফুট) | ৪৫০০০ রুপি |
২। টিউবওয়েল ৩ টি | ৩০০০ রুপি |
৩। বিছানা | ১৩০০০রুপি |
৪। বাতি | ৪ (x)রুপি |
৫। পাত্র | ২০০০ রুপি |
৬। হাতের কাজের জন্য যন্ত্রপাতি | ১৭০০ রুপি |
৭। অফিসের ব্যবহারের জন্য আসবাবপত্র | ১০০ রুপি |
৮। আকস্মিক ঘটনা | ৫০০০ রুপি |
মোটঃ | ৭১০০০ রুপি (প্রায় ৭২০০০ রুপি প্রতি মাসে) |
<003.161.368>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
ফেরত ব্যয়ঃ (মাস প্রতি)
১. পোশাক-পরিচ্ছদ
(ক) মাথাপিছু ৬০/০০ রুপি |
৩০,০০০ রুপি
|
২. (i) খাদ্য (ক) মাথাপিছু ৩ রুপি
(ii) অফিসার এবং স্টাফদের জন্য খাদ্য |
৪৫,০০০ রুপি
২,০০০ রুপি |
৩. অফিসার এবং স্টাফদের জন্য ভাতা | ৩৫০০ রুপি
|
৪. সাময়িকী | ১০০ রুপি |
৫. পরিবহন (পি.ও.এল) (ট্রাক-১, স্কুটার-১) | ১১০০ রুপি |
৬. ঔষুধপত্র এবং সম্ভব্য সংকট ব্যয় | ১০০০ রুপি
|
মোটঃ | ৮২,৭০০ রুপি |
প্রাক্কলিত | ৮৩,০০০ রুপি |
সারসংক্ষেপ
শিবির প্রতি ব্যয় (প্রতি ছয় মাসে ৫০০ জন প্রশিক্ষণার্থী)
অনাবর্তক ব্যয় ৭২০০০ রুপি | ৭২০০০ রুপি |
আবর্তক= প্রতি মাসে ৮৩০০০X৬ | ৪৯৮০০০ রুপি |
সর্বমোট | ৫৭০০০০ রুপি |
৬০০০০০ রুপি |
অর্থাৎ প্রতি মাসে শিবির প্রতি গড়ে এক লক্ষ রুপি
পাঠ্যক্রম
১. সকল প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য প্রযোজ্যঃ
(ক) নিরাপদ ঘাঁটির এর প্রয়োজনীয়তাঃ পুরো যুদ্ধ সম্পর্কে সম্যক ধারণা এবং বাংলাদেশের জনগণের সহায়তায় এবং সাহায্যে মাঠকর্মী এবং সশস্ত্র যোদ্ধাদের পালনীয় ভূমিকা। হাতিয়ার হিসেবে অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভূমিকা।
(খ) শত্রু বাহিনীর প্রতি ঘৃণাঃ অনাচার, প্রতারণা, বিশ্বাসঘাতকতা এবং অপরাধ বিষয়ক তাদের অতীত ইতিহাসঃ প্রতিশোধের প্রয়োজনীয়তা
(গ) স্বজাতির প্রতি ভালোবাসাঃ ন্যায়ের পক্ষে একতা এবং আত্মত্যাগের অতীত ইতিহাসঃ কল্যাণের তরে আত্মত্যাগের প্রয়োজনীয়তা
(ঘ) সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠাঃ পরনির্ভরতার মর্মান্তিক ইতিহাস। অন্য কোন সফল আন্দোলনের উদাহরণ।
(ঙ) শ্রম,সহযোগিতা আর নিয়মানুবর্তিতার প্রয়োজনীয়তা
<003.161.369>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
৪. মাঠকর্মীদের জন্য নিয়মাবলিঃ
অ) গ্রামীণ সমাজের প্রয়জনঃ দরকারী (খাবার এবং সামাজিক ক্রম) এবং অতিরিক্ত (কাপড়, আশ্রয়, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ এবং বিনোদন); কিভাবে দরকারি এবং এমনকি কিছু অতিরিক্ত বিষয় পুরোপুরি সরবরাহ করা যায় গ্রাম্য শ্রম এবং সম্পদের মাধ্যমে।
আ) টেকসই গ্রামীণ জীবন বজায় রাখার জন্য স্থানীয় মানুষের অদম্য এবং উদ্ভাবনী ইচ্ছার ভূমিকা।
ই) দৃষ্টি আকর্ষণ না করেই ফিরে পাওয়া গ্রামীণ জীবনে মিশে যাওয়াঃ জবরদস্তি ছাড়াই আহ্বান জানানো, উদাহারণের মাধ্যমে নেতৃত্ব, গ্রামীণ বয়স্কদের সাথে থেকে কাজ করা।
ঈ) আত্মনির্ভরতা ও স্বায়ত্তশাসনের পদ্ধতি।
উ) সর্বাত্মক যুদ্ধে বেসামরিক কার্যাবলিঃ সংগ্রামী মনোবল, অর্থনৈতিক যুদ্ধাবস্থা, বিদেশী এজেন্ট এবং দেশের অভ্যন্তরে তাদের দোসরদের মিথ্যাচার, নিরাপদ ঘাঁটি, গোয়েন্দা যোগাযোগ, কমান্ডো ও সামরিক যুদ্ধে সহযোগিতা।
ইয়ুথ ক্যাম্পের তালিকা
(পূর্বাঞ্চল)
হইতে | পর্যন্ত | বর্তমান সংখ্যা (শক্তি) | শিবির প্রধান |
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য অঞ্চল | ১। হারিয়ানা | ৭৫০ | এম এ হারিনান (ডি এ এল সেক্রেটারি) |
২। হরিষামুখ | ৩০০ | অধ্যাপক এ হানিফ, এমএনএ | |
নোয়াখালী | ৩। রাজনগর | ৩৫০ | খাউজা আহমেদ, এমএনএ |
৪। ছোটখোলা | ৫০০ | আব্দুল আউয়াল, এমএনএ | |
৫। কাঁঠালিয়া (বড়মুরা) | – | ক্যাপ্টেন এস আলী, এমপিএ | |
কুমিল্লা | ৬। উদয়পুর | ৩৫০ | ক্যাপ্টেন আলম |
৭। মালাঘর | ৩৫০ | এম এ রশিদ, এমপিএ | |
৮। হাতিমারা (কামালনগর) | ৩০০ | অধ্যাপক এ রউফ, এমপিএ | |
৯। বুক্সানগর (ছ্যানমারা) | |||
কুমিল্লা, ঢাকা ও ফরিদপুর | ১০। কোনাবান | ||
১১। চারিপারা | |||
১২। জয়নগর | ৫০০ | শামসুল হক, এমপিএ | |
১৩। নরসিংগড় | ২৫০ | আফজাল হোসেন, এমপিএ | |
সিলেট | ১৪। মোহনপুর | ৫০০ | ডি এ আব্বাস, এমএনএ |
১৫। খোয়াই | ১৫০ | শরফুদ্দিন, এমপিএ | |
১৬। কৈলাশার | ২৫০ | মুস্তফা শহীদ, এমপিএ | |
১৭। করিমগঞ্জ (আসাম) | ৩৫০ | মানিক চৌধুরী, এমএনএ | |
৪৫০ | এ রশিদ, এমএনএ |
৫৬৫০
<003.161.370>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
এপেন্ডিক্স “সি”
পূর্বাঞ্চল
যুব শিবিরের পরিচালকবৃন্দ
ক্রম | নাম | পদবী | দায়িত্ব |
১ | জনাব এম. আলম | পরিচালক, যুব শিবির | অ) সার্বিক সমন্বয়
আ) সম্পদ স্থানান্তর |
২ | প্রফেসর নুরুল ইসলাম চৌধুরী,এমএনএ | পরিচালক, প্রশাসন ও প্রেষণা | |
৩ | জনাব খালেদ মোহাম্মদ আলী, এমএনএ | পরিচালক, যুব শিবির | অ) সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহার
আ) প্রশিক্ষণ কাজের ব্যবস্থা ও পরিচালনা করা |
৪ | ডঃ আবু ইউসুফ | প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক | |
৫ | জনাব মোঃ বজলুর রহমান | সরবরাহ অফিসার | অ) প্রশিক্ষণার্থীদের যাওয়া ও আসার ব্যবস্থা করা
আ) ক্যাম্পের জন্য বিশাল যোগানের ব্যবস্থা করা ও বিতরণ |
৬ | জনাব মোশাররফ হুসাইন | সাধারণ অফিসার | অ) অফিস রক্ষণাবেক্ষণ
আ) সঞ্চয় ও হিসাব |
কাজ তদারককারীদের তালিকা
ক) ক্যাম্প কর্মকর্তাদের তালিকা
খ) (i) দৈনিক প্রবেশ/প্রস্থান নিবন্ধন
(ii) দৈনিক প্রত্যাবর্তন
গ) দৈনিক ঘটনাবলী নিবন্ধন
(i)শত্রু কার্যকলাপ
(ii)আমাদের কার্যকলাপ
ডি) সাপ্তাহিক উন্নতি প্রতিবেদন।
নাম
শুরুর তারিখ
বর্তমান শক্তিমত্তা
ইয়ুথ রিলিফ ক্যাম্প
(ট্রানজিট/রেগুলার)
<003.161.371>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
কর্মকর্তাবৃন্দ
১. ক্যাম্প প্রধান……
২. ভারপ্রাপ্ত ক্যাম্প প্রধান…
৩. ক্যাম্প তত্ত্বাবধায়ক
৪. রাজনৈতিক উপদেষ্টা,…
- ii) . . .
iii) . . .
৫. শরীরচর্চা প্রশিক্ষক …
ii).
iii)…
৬. ছাত্র প্রতিনিধিঃ
৭. স্বাস্থ্য কর্মকর্তাঃ
<003.161.372>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
যুব অভ্যর্থনা শিবির
প্রবেশ/প্রস্থান নিবন্ধ
ক্রমিক | নাম | পিতার | গ্রাম | পোস্টঅফিস | জেলা | বয়স |
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ |
শিক্ষা | বহিরাগত | বিশেষ দক্ষতা | যুব প্রশিক্ষন ক্যাম্পে
পাঠানো হয়েছে |
গড় ক্যাম্প | মন্তব্য |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
<003.161.373>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
রিসেপশন
পরিবহন শিবির
দৈনিক ব্যায়
ক্যাম্পের নামঃ …………..
১. নতুন সদস্যের সংখ্যা
অ) আগমন
আ) বহির্গমন
ই) থাকার সময় (অ-আ) নতুনঃ ….
মোটঃ ….
নিয়মিত ক্যাম্পেঃ
উদ্বাস্তু ক্যাম্পেঃ
মোটঃ……
ব্যায়ঃ
২। অ) নিয়মিত ক্যাম্পে পরিবহন খরচঃ
আ) অন্যান্যঃ মোট খরচঃ ….
স্থিতিপত্রঃ
আগের দিনের জমাঃ . . . .
নতুন রসিদঃ
মোটঃ
আজকের খরচঃ
জমাঃ
শিবির প্রশাসক
রিটার্নিং অফিসার
কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত অফিসার
শিবিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(রিক্রুটিং অফিসার/ রিক্রুটিং অফিসার
কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত অফিসার)
যুব কল্যান শিবিরঃ শত্রুপক্ষের কার্যক্রম
১. সংবাদদাতা ও সাক্ষী (যদি থাকে) এবং তারিখ
২. অবস্থান- উৎসের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে
৩. তারিখ এবং ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরন
৪. প্রমানিত সহযোগী (যদি থাকে)
৫. স্থানীয়দের মতামত
৬. ঘটনাসমূহের শ্রেণীভুক্তকরণ
<003.161.374>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
শত্রুপক্ষের কার্যক্রমঃ
১. খুন
২. আগুন ধরিয়ে দেয়া
৩. লুটপাট
৪. ধর্ষন
৫. পদমর্যাদাহানি
৬. তারুণ্য
৭. শস্য
(অ)ধ্বংস
(আ)প্রতিরক্ষা
৮. যোগাযোগ
৯. আইনশৃংখলার অবনতি
১০. প্রশাসন
১১. ব্যাবসাবানিজ্য
১২. শিক্ষা
১৩. মনোভাব
(অ) রাজনীতিবিদ
(আ) মুসলমান
(ই) হিন্দু
(ঈ) বৌদ্ধ
(উ) অন্যান্য
ক) পাক আর্মিদের কার্যক্রম (পরিমান, সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ)
খ) সহযোগীদের কার্যক্রম (পরিমান, সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ)
যুব উন্নয়ন শিবির
দৈনন্দিন ঘটনার প্রতিবেদন
তারিখঃ………..
আমাদের কার্যক্রম
১. সংবাদদাতা ও সাক্ষীদের তথ্য
২. অবস্থান (ক্রস ইনডেক্স পেজ নম্বরসহ)
৩. ঘটনার দিন ও সংক্ষেপে ঘটনার বিবরণ
৪. প্রমানিত সহানুভূতিশীল (যদি থাকে- ক্রস ইনডেক্স পেজ নাম্বার সহ)
৫. শত্রুপক্ষের পাল্টা আচরণ (যদি থাকে)
৬. স্থানীয়দের আচরণ ও মতামতঃ
৭. ঘটনাসমূহে শ্রেণিভুক্তিকরণ- ক্রস ইনডেক্স পেজ নাম্বার সহ
<003.161.375>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
তালিকা
আমদের কার্যক্রম
নেতিবাচকঃ
- পাক আর্মি
(i) সম্মিলিত
(ii) ধৃত
- রাজাকার
(i)নিহত
(ii)শাস্তিপ্রাপ্ত অন্যান্য
(iii)তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে এমন
- ক্ষয়ক্ষতি
(i)যোগাযোগ
(a)রাস্তাঘাট
(b)রেলপথ
(c)টেলিফোন
(ii)গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা
(a)পাওয়ার লাইন
(b)পানি সরবরাহ
(iii)আর্মি ইকুইপমেন্ট এবং যোগাযোগ
(iv) রপ্তানিযোগ্য পণ্য
- সন্ত্রাসবাদ (ভীতি)
- পশ্চিম পাকিস্তানি পণ্য বয়কট
ইতিবাচক
- শস্য উৎপাদন
- দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ ও এদের নিয়ন্ত্রন
সাপ্তাহিক উনয়ন প্রতিবেদন
নামঃ
তারিখঃ
যুব উন্নয়ন শিবির
(চেক লিস্ট)
- অফিসের কর্মচারী
(অ) অফিসের কর্মকর্তাদের তালিকা সম্পুর্ন হয়েছে কি?
(আ) সম্পুর্ন না হলে শূণ্যপদ রয়েছে কোথায়?
(ই) শূণ্যপদ পূর্ণ করার জন্যে কি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে?
(ঈ) অফিসের কর্মচারীরা কি শিবিরেই অবস্থানরত?
- অবস্থানঃ
(অ) বর্তমানে
(আ) নতুন ঠিকানা
(ই) নিকটতম সীমান্ত থেকে দূরত্ব
<003.161.376>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
৩. নির্মাণ
(অ) তাবুর সাইজ
সংখ্যাঃ
(আ) কুঁড়েঘর
(i) সাইজঃ
সংখ্যাঃ
(ii) সম্পন্নঃ
(iii) নিরমানাধীনঃ
(iv) কাজ শুরু হয়নিঃ
নির্মাণকাজ শুরু হবার প্রত্যাশিত তারিখ
(v) সকল নির্মাণ সমাপ্তির প্রত্যাশিত তারিখঃ
পানি সরবরাহঃ
(i) খাবার পানির উৎস কী?
(অ) এটা কি পর্যাপ্ত?
(আ) যদি না হয় তবে, কী প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে?
(ii) স্নানের জলের উৎস কী?
অ) এটা কি পর্যাপ্ত?
আ) যদি না হয় তবে, কী প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে?
স্বাস্থ্যব্যবস্থা
- i) শৌচাগারের ব্যবস্থা কী?
- ii) আবর্জনা নিয়ন্ত্রণের ধাপগুলো কী?
৪. বিছানাপত্র
অতিরিক্ত তহবিল
সপ্তাহান্তে গৃহীত
মোট
হাতে থাকা আইটেম
i)
ii)
iii)
iv)
v)
৫. পোশাক
স্টকে আছে | সপ্তাহে ইস্যু করা | হাতে থাকা অবশিষ্ট | পরবর্তী ব্যাচের জন্যে | তারিখক্রমে যে সরবরাহ দরকার |
১ | ||||
২ | ||||
৩ | ||||
৪ | ||||
৫ |
<003.161.377>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
৬. খাদ্য
অ) প্রদত্ত
- i) সকালের নাস্তাঃ
- ii) দুপুরের খাবার :
iii) রাতের খাবারঃ
- iv) পরিশিষ্টঃ
আ) অতিরিক্ত প্রয়োজন
৭. পকেট ভাতা/ ব্যাক্তিগত প্রয়োজনঃ
- i) পকেট ভাতা দেয়া হয়েছে?
- ii) যদি হয় তবে, মাথাপিছু কত করে?
iii) কোন ব্যক্তিগত প্রয়োজন?
৮. প্রশিক্ষণঃ
প্রশিক্ষকের নামঃ | অ) রাজনৈতিক
আ) শারীরিক |
দৈনিক অনুসৃত রুটিনঃ | অ) রাজনৈতিক
আ) শারীরিক |
৯. অর্থ ও হিসাবঃ
শেষ সপ্তাহ চলতি সপ্তাহ শুরু থেকে মোট
( ………………)
১
২
৩
৪
মোট ব্যয়ঃ
মোট প্রাপ্তিঃ
হাতে থাকা অবশিষ্ট
১০. নিয়োগ
- i) সামরিক প্রশিক্ষনের জন্যে পাঠানো হয়েছেঃ
- ii) ঘাঁটি কর্মীর প্রশিক্ষণের জন্যে রেখে দেয়াঃ
iii) চলে যাওয়া মাঠ কর্মীর সংখ্যাঃ
- iv) অন্যান্যঃ
১১. সাধারণ মন্তব্য ক্যাম্প প্রধান/ কর্মকর্তা
<003.161.378>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
ইয়ুথ ক্যাম্পের তালিকা
(অভর্থ্যনা)
ক্রম | জেলার নাম | ক্যাম্পের নাম | ঠিকানা | ক্যাম্পের ইন-চার্জের
নাম |
শক্তি | মন্তব্য |
১ | ২৪ পরগণা | তাকিপুর | পশ্চিম বঙ্গ | |||
২ | ঐ | হাকিমপুর | বসির হাট সাব ডিভিশন | নুরুল ইসলাম মঞ্জু
মোশাররফ হোসেন |
পি ওয়াই টি | |
৩ | ঐ | হিঙ্গলগঞ্জ | ঐ | ঐ | ||
৪ | ঐ | হাসনাবাদ | নুরুল ইসলাম | টি | ||
৫ | ঐ | তালিখোলা | বানিওন | লেঃ মতিউর রহমান | ||
৬ | ঐ | চাপাবড়া | ঐ | ঐ | ||
৭ | ঐ | ঘোষপুর | মসলন্দপুর | হাদিউজ্জামান
এনায়েত হোসেন এমপিএ |
||
৮ | ঐ | চাঁদপুর | বারাসাত সাব ডিভিশন | মতিউর রহমান | ||
৯ | নদীয়া | রানাঘাট | রানাঘাট | আসাদুজ্জামান এমপিএ | ||
১০ | ঐ | মাজদা | রানাঘাট | আবুল হাসেইন মুক্তার | ||
১১ | কচুডাঙ্গা | কৃষ্ণনগর | ||||
১২ | করিমপুর | ঐ | আব্দুর রউফ চৌধুরী | |||
১৩ | বেতাই | ঐ | শাহি উদ্দিন | |||
১৪ | শিকারপুর | ঐ | ||||
১৫ | হিদাইপুর | |||||
১৬ | মুর্শিদাবাদ | কাহেরপারা | ||||
১৭ | ঐ | লালগোলা | ||||
১৮ | ঐ | শেখ পারা | এ হাদি এমপিএ |
<003.161.379>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
১৯ | মালদা | এনায়েতপুর | ডঃ মেসবাউল হক | |||
২০ | ঐ | গৌড় | ||||
২১ | ঐ | মেহদিপুর | ||||
২২ | পশ্চিম দিনাজপুর | বাঙালিপারা | সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুল হক | |||
২৩ | ঐ | ডালিমগাঁও | ডঃ নাইমুদ্দিন
এস এম ইউসুফ |
|||
২৪ | ঐ | গঙ্গারামপুর | শাহ মাহতাব | |||
২৫ | ঐ | কুরমাইল | অধ্যাপক সাঈদ | |||
২৬ | ঐ | কাতলা,
কুমারগঞ্জ |
আব্দুর রহমান | |||
২৭ | ঐ | মালো | আজিজুর রহমান | |||
২৮ | ঐ | প্রাণসাগর | ||||
২৯ | ঐ | তাপান | ডঃ মাশরুল হক | |||
৩০ | ঐ | ঠোকারবাড়ি | ফজলুল করিম | |||
৩১ | দিনাজপুর | তেতুলিয়া | ||||
৩২ | পশ্চিম দিনাজপুর | আঙ্গিনাবাদ | ||||
৩৩ | ঐ | তারাঙ্গাপুর | ||||
৩৪ | পুর্নয়া | ইসলামপুর | আফসার আলী আহমেদ | |||
৩৫ | জলপাইগুড়ি | দেওয়ানগঞ্জ | ||||
৩৬ | ঐ | হলদিবাড়ি | ||||
৩৭ | ঐ | পাপড়ি | ||||
৩৮ | কুচবিহার | দিনহাটা | সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন নওয়াজেশ | |||
৩৯ | ঐ | কাপুরহাট | ||||
৪০ | মেঘালয় | বেগমারা | আ মজিদ
তারা মিয়া |
<003.161.380>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
৪১ | ঐ | দালু | প্রিন্সিপ্যাল মতিউর রহমান | |||
৪২ | ঐ | মেহন্দ্রাগঞ্জ | ৩ আসাম | লতিফ সিদ্দিকি, এমপিএ | ||
৪৩ | করিমগঞ্জ | সোনাখিরা | ৪ ত্রিপুরা | আ মোমেন উকিল | ||
৪৪ | সাব্রুম | হারিনা | এম এ হান্নান, সেক্রেটারি ডিএএল | ৭৫০ | ||
৪৫ | ঐ | হরিষামুখ (শ্রিংগার) | খায়রুদ্দিন, এমপিএ | |||
৪৬ | বেলোনিয়া | রাজনগর | অধ্যাপক এ হানিফ এমএনএ | |||
৪৭ | ঐ | ছোটাখোলা | খাউজা আহমেদ, এমএনএ | |||
৪৮ | ঐ | কাঁঠালিয়া (বারামুরা) | আব্দুল আউয়াল, এমএনএ | |||
৪৯ | উদয়পুর | উদয়পুর | ক্যাপ্টেন এস আলী, এমপিএ | |||
৫০ | সোনামুরা | মেলাগড় | ক্যাপ্টেন আলম | |||
৫১ | ঐ | হাতিমারা (কামালনগর) | এম এ রশিদ, এমপিএ | ৩৫০ | ||
৫২ | ঐ | বুক্সানগর | ||||
৫৩ | সদ্দর | কোনাবান | অধ্যাপক এ রউফ, এমএনএ | ৩০০ | ||
৫৪ | ঐ | চারিপারা | শামসুল হক, এমপিএ | ৫০০ | ||
৫৫ | ঐ | জয়নগর | আফজাল হুসাইন, এমপিএ | ২৫০ | ||
৫৬ | ঐ | নরসিংগড় | ডি এ আব্বাস, এমএনএ | ৫০০ | ||
৫৭ | ঐ | মোহনপুর | শরিফুদ্দিন, এমপিএ | ১৫০ | ||
৫৮ | খোয়াই | খোয়াই | মুস্তফা শহীদ | ২৫০ | ||
৫৯ | কৈলাশার | কৈলাশার | মানিক চৌধুরী, এমএনএ | ৩৫০ |
<003.162.381>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
যুব শিবিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে নির্দেশ | বাংলাদেশ সরকার
যুব শিবির পরিচালনা বোর্ড |
……… ১৯৭১ |
যুব শিবিরের নিরাপত্তা
বাসস্থানঃ
১। যথাযথ ভাবে অনুমোদিত শিবির সদস্য এবং আন্তরিক প্রশিক্ষণার্থী ব্যাতীত অন্য কেউ শিবিরে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবে না।
২। শিবিরের বাসিন্দারা কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া বের হতে পারবেনা। কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতিতে শিবির প্রধান/প্রশাসকের অনুমতি নিতে হবে। যে কোন ধরনের অননুমোদিত অনুপস্থিতি অপরাধ হিসাবে গন্য হবে, এবং সেই অনুযায়ী ব্যাবস্থা গৃহীত হবে।
৩। শিবির প্রধান / প্রশাসক প্রয়োজনীয় কাজে শিবির ত্যাগ করতে পারবেন, তবে দুইজন একই সাথে নয়। ৪। কোন অননুমোদিত বা ব্যক্তিগত দর্শনার্থী শিবিরে প্রবেশের অনুমতি পাবে না।
দর্শনার্থী
৫। যুব প্রশিক্ষণ/সহ পরিচালকের (রিলিফ) যথাযথ অনুমোদন ব্যাতিত অন্যকোন দর্শনার্থীর শিবিরে প্রবেশাধিকার থাকবে না। শিবির প্রধান/ প্রশাসকের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে অন্যান্য দর্শনার্থীর প্রবেশাধিকার থাকবে।
প্রশিক্ষণ
৬। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতি সর্বোচ্চ নিষ্ঠার ব্যত্যয় অথবা যুব প্রশিক্ষনে পাঠ তালিকার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোন কিছু শেখানো বা প্রচারিত হবে না।
৭। হালকা সমরাস্ত্র অনুশীলন ধরন ও প্রকৃতি, সহকারী প্রশিক্ষক সমন্বয়কারী দ্বারা অনুমোদিত হবে, যা সমন্বয়কারী যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন।
সৈনিক নিয়োগ
৮। প্রশিক্ষক সমন্বয়কারীর অনুমোদন ব্যতীত প্রশিক্ষণ শিবির হতে নতুন কোন সৈনিক নেওয়া যাবে না। একই বিধি নিষেধ প্রশিক্ষিত অফিস কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
শৃঙ্খলা
৯। “গ্রাউন্ড রুলস ফর গ্রুপ এ্যাকশন” এ অনুমদিত পাঠ্যক্রমে যে শৃঙ্খলা প্রদত্ত হয়েছে তার কোনরূপ ব্যত্যয় ঘটলে সংঘটিত বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ত্ব সহকারে বিবেচনায় এনে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালককে অবগত করতে হবে।
গোপনীয়তা
১০। প্রশিক্ষণার্থীদের নাম, ঠিকানা, গন্তব্য এবং সম্ভাব্য গতিবিধি সম্পর্কে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। শুধুমাত্র শিবির প্রধান/ সহকারীর কাছেই এই সমস্ত তথ্যাদি থাকবে। শিবিরে অবস্থানরত সকলকেই এই গোপনীয়তা রক্ষার শপথ নিতে হবে।
<003.162.382>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
ষড়যন্ত্র
১১। প্রত্যেক প্রশিক্ষককেই তার দলকে ছোট ছোট কয়েকটা ভাগে ভাগ করে আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষানবিসদের অংশীভূত করে পার্শ্ববর্তী এলাকাস্থিতের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন তার উন্নতি এবং অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। যে কোন সম্ভাব্য অন্তর্ঘাত, দলত্যাগ অথবা গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনা ঘটলে সাথেসাথেই তাকে চিহ্নিত করে যুব প্রশিক্ষক পরিচালককে অবহিত করতে হবে।
শিবির রক্ষী
১২। প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর দল থেকে কিছু শিবির রক্ষী উপরোক্ত যোগ্যতানুসারে নিয়োগ করা হবে। বাছাইকৃতদের পরবর্তি দলের সাথে নিয়মমাফিক প্রশিক্ষনে পাঠানো হবে।
গোপন
সকল যুব শিবির
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সমস্ত চাকুরীজীবীদের ( চলতি/ অবসর) নিম্নোক্ত নিয়মানুসারে “জয়বাংলা কার্যালয়ে” হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছেঃ
১/ চাকুরীরত সকল সেনা, নৌ, বিমান এবং ইপিআর
২/ অবসরে যাওয়া সকল সেনা, নৌ, বিমান এবং ইপিআর
৩/ চাকুরীরত সকল আনসার, মুজাহিদ ও পুলিশ
৪/ অবসরে যাওয়া সকল আনসার, মুজাহিদ ও পুলিশ।
সকল শিবির সর্বাধিনায়ক/প্রধান/প্রশাসকগণকে উপরোক্ত ক্রমানুসারে সকল ব্যক্তিগনকে নির্দেশিত কার্যালয়ে যথাসময়ে প্রেরণ করতে নির্দেশ প্রদান করা হল। এই বিষয়ে কোন ধরনের অপারগতা গ্রহনযোগ্য না।
এই চার ক্রমানুযায়ী বাছাইকৃত ব্যক্তিদের ২-৮ দিনের বিরতিতে ধারাবাহিকভাবে পাঠাতে হবে। প্রতিটি শিবিরেই ১৫ জন আনসার, মুজাহিদ (অবৈতনিক) রক্ষী দ্বারা প্রয়োজনানুসারে পরিপূর্ণ থাকবে। তবে ঐ সমস্ত রক্ষীদের নিয়োগ প্রশিক্ষণার্থীদের অনুরূপ হবে না।
আদেশক্রমে
পরিচালকমন্ডলী
যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
<003.163.383>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
বাংলাদেশে সরকারের স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ বিভাগের কর্মকান্ডের উপর একটি প্রতিবেদন | বাংলাদেশ সরকার | ………………….. ১৯৭১ |
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মুজিবনগর
উন্নয়নের ধাপসমূহ।
১ম ধাপঃ
ডঃ টি. হোসেনকে (এমএস, এফআরসিএস) স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১ সালের মে মাসের ১ তারিখে স্বাস্থ্য পরিসেবা বিভাগ খোলা হয়।
সরকার যখন গঠন করা হয়েছিল তখন ডঃ হোসেন আমাদের সাথে জড়িত ছিলেন। পাক সেনাবাহিনীর সেই অভিযানের পরে দুই সপ্তাহের জন্যে আমাদের কিছু সদস্য তাঁর ক্লিনিকে আশ্রয় নিয়েছিলো। ঢাকায় প্রায় ছয় লাখ রুপি মূল্যমানের সরঞ্জামসহ তাঁর নার্সিং হোম ফেলে রেখে আসা হয়েছিল। তিনি স্বেচ্ছায় আমাদের সহযোগীতা করতে এসেছিলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হতে বঙ্গবন্ধুকে রেহাই দেওয়ার সময় থেকেই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের সাথে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তাঁর নার্সিং হোম থেকেই আমাদের সকলের চিকিৎসাই নিতাম। কলকাতায় ছাত্র জীবনের প্রস্তুতির দিন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক বন্ধু ছিলেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ হতে স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু করতে চিকিৎসা পেশায় বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যদের মধ্যে একমাত্র ডঃ হোসেনকেই পাওয়া গিয়েছিলো।
তাঁর নিয়োগের পরপরই তিনি ডাঃ আহমেদ আলীকে তার সহযোগী হিসেবে নিয়ে প্রথম অফিসটি চালু করেছিলেন। শুরুর প্রথম তিন মাসের মধ্যেই উদ্বাস্তুরা চিকিৎসার যে প্রকান্ড সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল এই অধিদপ্তর তা মোকাবিলা করার কাজটি হাতে নেয়। সদর দপ্তর এবং সীমান্তের অন্যত্র অবস্থানে থাকা সকল ডাক্তার ও চিকিৎসা কাজের সহায়ক সকল কর্মীরা মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্যে নিজেদেরকে পুনর্বাসিত করে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রায় ১৪শয়েরও বেশী চিকিৎসা কর্মীদেরকে সেখানে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই সময়ে উদ্বাস্তুদের সংখ্যা ৬০ লক্ষ পৌঁছানো পর্যন্ত ডঃ হোসেন পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সকল উদ্বাস্তু শিবিরই পরিদর্শন করেছিলেন। ইতোমধ্যেই ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার উদ্বাস্তুদের বসবাস করার সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
২য় ধাপঃ
মধ্য জুলাইতে সরকার যখন সংগঠিত হয়, চিকিৎসা অধিদপ্তর ডঃ হোসেনকে সচিব হিসেবে নিয়ে স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ পূর্ণবর্ধিত বিভাগ হিসেবে রুপান্তরিত হয় এবং চারটি অধিদপ্তরের নাম প্রস্তাব করা হয়, সেগুলো হলঃ প্রতিরক্ষা মেডিক্যাল সার্ভিস, সিভিল মেডিক্যাল সার্ভিস, ওয়েলফেয়ার সার্ভিস এবং চিকিৎসা শিক্ষার জন্য একটি অধিদপ্তর।
(১) প্রতিরক্ষা মেডিক্যাল সার্ভিস- বর্তমানে এটাই আমাদের প্রধান উদ্বেগের বিষয়। ৭১ এর আগষ্ট মাস থেকে ডঃ হোসেন প্রায় প্রতিটি বিভাগ ও উপ-বিভাগে দুই বা ততোধিক বার ছিলেন। উপ বিভাগীয় পর্যায়ে চিকিৎসা পরিষেবাকে সংগঠিত করতে ডঃ হোসেন প্রায় সকল ডাক্তার ও চিকিৎসা শিক্ষার ছাত্রদের নিয়ে তাঁর সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করেছেন।
<003.163.384>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
প্রতিরক্ষা মেডিক্যাল সার্ভিসকে সংগঠিত আসলেই অনেক জটিল ছিল কিন্তু ডঃ হোসেন বর্তমানে সাংগঠনিক বিন্যাসকে সচল করেছেন এবং (ক) আয়োজক দলের উৎস, (খ) গণ অনুদান এবং (গ) আমাদের সরকারী সম্পদ- এই তিন নামের মেডিকেল সরবরাহের তিনটি উৎসকে সংযুক্ত করেছেন।
তিন সেক্টরে আগামী তিন মাস কাজে লাগানোর জন্য আমরা দশ লাখ রুপির ব্যবস্থা করেছি। আমরা প্রতি ব্যাচের যোদ্ধাদের সাথে ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের ঔষধ সরবরাহ ও প্রতিটি সাব-সেক্টরে ঔষধের দোকান (আরএপি) স্থাপন করতে যাচ্ছি।
প্রতিটি সাব-সেক্টরে একটি ভ্রাম্যমাণ ইউনিট রাখা এবং ১০টি সেক্টরে অন্তত ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ১০টি এডিএস (এ্যাডভান্স ড্রেসিং স্টেশন) স্থাপনের চেষ্টা করছি। আমরা প্রথমবারের মতো ২নং সেক্টরে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট বাংলাদেশ বাহিনী হাসপাতাল স্থাপন করেছি। প্রতিটি সেক্টরেই আমরা এইরকমের অন্তত একটি করে পেতে যাচ্ছি।
১,২ ও ৩ নং সেক্টরে একটি করে এইরকম তিনটি এডিএস স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
আমরা করিমগঞ্জে ২৫ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল এবং তেঁতুলিয়াতে ৩০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল, পাটগ্রামে ১০ শয্যার, সাহেবগঞ্জে ১০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপন করেছি। দৌকি এবং দালুর জন্য আমরা ৫০ শয্যার ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল স্থাপনার আশা প্রকাশ করছি।
এক মাসের মধ্যে আমরা রৌমারিতে ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন করতে চলেছি। মুক্তিবাহিনীর আহত যোদ্ধাদের জন্য আমরা উপহার হিসেবে ৪টি ‘ক্রমান্বয়ে স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারকারী হোমস্’ পেয়েছিঃ এর মধ্যে একটি আগরতলায় ৪০ শয্যার; একটি করে ১০ শয্যার শিলঙ, তুরা এবং কোচবিহারে। এই হাসপাতালগুলোতে শয্যার হিসাব বাড়তে থাকা দাবীর সাথে গ্রহণ করা হবে- পশ্চিমের কোন এক স্থানে ৩০০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপনার পরিকল্পনা চলছে। জনাব এম.কে. ভিমানী হরিয়ানা বাংলাদেশ মুক্তি সহায়ক সমিতির হয়ে এইসব হাসপাতাল চালানোর কথা দিয়েছেন।
রোগীদের চিকিৎসা ও পরিবহনজনিত আমাদের সমস্যাগুলো নিয়ে আমরা পুরোপুরি সচেতন আছি।
এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পরিবহনঃ (ক) আমাদের কাছে ময়দান থেকে হাসপাতালে রোগীদের বহনের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহন নেই। যথাসময়ে পরিবহণ ব্যবস্থার অভাবে আমরা মূল্যবান কিছু প্রাণ হারিয়েছি ও অঙ্গহানি ঘটেছে, (খ) পরিবহণের অভাবে যথাসময়ে ঔষধপত্রাদি পাঠানোর ক্ষেত্রেও আমরা অক্ষম। যাই হোক, আমাদের সীমাবদ্ধ সম্পদ ও অন্যান্য উৎসের মাধ্যমে আমরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আমাদের দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে ঔষধঃ এখন পর্যন্ত ঔষধ কেনার জন্য আমরা কোনপ্রকারের অর্থ ব্যয় করিনি। ডঃ হোসেন প্রায় দেড় লক্ষাধিক রুপি মূল্যমানের ঔষধ উপহার হিসেবে সংগ্রহ করেছেন যা সবগুলো সেক্টরের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অনেক সংগঠনই মুক্তি বাহিনীর নাম করে ঔষধ সংগ্রহ করেছে যার কোন চিহ্নই কোন সেক্টর কমান্ডার কাছে নেই। সকল ঔষধগুলোকে আমাদের কেন্দ্রীয় গুদামঘরে সংগ্রহ করার জন্য আমাদের সকলের সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করা উচিত।
তৃতীয় সমস্যাটি হচ্ছে ডাক্তারঃ প্রাথমিকভাবে আমরা আমাদের প্রায় সকল ডাক্তারদেরকে উদ্বাস্তু শিবিরে পাঠিয়ে দেই, তাই মুক্তি বাহিনীর জন্য পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই। সেই সাথে, প্রশিক্ষিত শল্যচিকিৎসকের সংখ্যাও খুবই অল্প। ইংল্যান্ড হতে শল্যচিকিৎসকের জন্য আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।
মূলত খারাপ রাস্তা, বন এবং জঙ্গলই হচ্ছে আমাদের যোগাযোগের অসুবিধার মূল কারণ। যাই হোক, আমরা আমাদের আয়োজকদের সাহায্যে এই সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে চলেছি।
<003.163.385>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
চিকিৎসা সহায়তার ব্যাপারে আমরা প্রতিনিয়তই উন্নতি করতে চলেছি। ডঃ হোসেন সরকারী ও বেসরকারী উভয় পর্যায়েই কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে সাফল্যের সাথে দরকষাকষি চালিয়েছেন এবং আমি নিশ্চিত যে যুদ্ধে নিয়োজিত বাহিনী এতে আরো নিরাপদ অনুভব করবে। এই বিষয়ে ডঃ হোসেন দৃঢ় সংকল্পের সাথে কাজ করে চলেছেন।
(২) বেসামরিক মেডিকেল সার্ভিসঃ- আঞ্চলিক পরিষদ গঠনের সাথে পূর্বাঞ্চল চিকিৎসা পরিষদের অধীনে আঞ্চলিক চিকিৎসা কর্মকর্তা পেতে যাচ্ছে যা আমাদের সেই অঞ্চলের মূলতঃ উদ্বাস্তু শিবির, যুব শিবির, অতিক্রমণ শিবির এবং মুক্তাঞ্চলের জনসংখ্যা সমস্যার সমাধান করবে। মুক্তাঞ্চলে প্রয়োজনীয় ডাক্তার এবং ঔষধপত্রাদি আমাদের সরবরাহ করা উচিৎ। আমাদের আয়োজকদের কাছ থেকে দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য এবং সামনের মাসের আমাদের নিজস্ব স্বাস্থ্য বিভাগের যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।
(৩) ওয়েলফেয়ার সার্ভিসঃ হাসপাতালে থাকা কালীন এবং আরোগ্য লাভের সময়ে আমাদের রোগীদের মঙ্গলসাধন করাই আমাদের কাজ। আমাদের রোগীরা সীমান্তবর্তী বেসামরিক এবং মিলিটারী হাসপাতালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যতদ্রুত সম্ভব আমরা প্রতিটি হাসপাতাল, এমনকি শিবিরেও একজন করে ওয়েলফেয়ার কর্মকর্তা নিয়োগ করতে চলেছি।
(৪) চিকিৎসা শিক্ষার ছাত্রঃ বিভিন্ন মুক্তিবাহিনী এবং উদ্বাস্তু শিবিরে আমাদের যে সকল চিকিৎসা শিক্ষার ছাত্ররা তাদের মূল্যবান সেবা দিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রতি আমরা উদাসীন হতে পারি না। অধিকাংশ চিকিৎসা শিক্ষার ছাত্ররাই ছাত্র লীগের সদস্য এবং তাদের দেশপ্রেমের তাগিদে আমাদের সাথে তারা এগিয়ে এসেছে। যদিও এই পর্যায়ে আমরা চিকিৎসার শিক্ষা দিতে পারছি না, তবুও জাতীয় স্বার্থ মাথায় রেখে সকল চিকিৎসা শিক্ষার ছাত্রদের তথ্য সংগ্রহ ও সর্বোচ্চ উপায়ে তাদের দক্ষতা কাজে লাগাতে চিকিৎসা শিক্ষায় আমাদের একজন মহাপরিচালক থাকা উচিৎ।
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী
জাতীয় স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ বিভাগ
___________________
<003.164.386>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
সচিবের অফিস, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ সরকারের অফিসার/কর্মাচারীর তথ্য
ক্রম | নাম | বয়স | বাবা’র
নাম |
আবাসিক
ঠিকানা |
আবাসিক
ঠিকানা |
পরিবার | ভারতে
প্রবেশের তারিখ |
মন্তব্য |
বাংলাদেশে | কলকাতায় | |||||||
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১ | আ সামাদ | ৩৫ | আ জব্বার | সিলেট | ২১৪/১/১৫ লোয়ার সার্কুলার রোড | ১ | আগস্টের ১ম সপ্তাহ | |
২ | আকবর আলী খান | ২৭ | জনাব খান | হবিগঞ্জ | ৩ সোহরাওার্দী এভিনিউ | ১ | এপ্রিল ৭১ | |
৩ | এস এ ইমাম | ৩১ | প্রয়াত এস এ আবসার | সিলেট | ৭, তাঁতি বাগান রোড, কলকাতা | ৬ | ২৪.৪.৭১ | |
৪ | এন আই চৌধুরী | ৩৯ | শামসুল হক চৌধুরী | যশোর বিমানবন্দর | বনগাঁও, ২৪ পরগণা | ৩ | ৫.৪.৭১ | |
৫ | বি হোসেন | ৩৪ | শারাফাত আলী | পদার্থবিদ্যা বিভাগ, ঢাবি | ২১৪/১/৫, লোয়ার সার্কুলার রোড। কলকাতা-১৭ | ১ | ২৪.৪.৭১ | |
৬ | নজরুল ইসলাম | ২৮ | মৌলভি আব্দুল হাই | দৈনিক ইত্তেফাক, আরকে মিশন রোড | ২১, ডঃ রাজেন্দ্র রোড | ১ | ৪.৬.৭১ | |
৭ | আল মুজাহিদি | ২৮ | প্রয়াত আ হালিম | টাঙ্গাইল | প্রযত্নে খন্দকার আসাদুজ্জামান। ৩, সোহরাওার্দী এভিনিউ |
<003.164.387>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
৮ | আল মাহমুদ | ৩৬ | মৌলভি আব্দুর রব | মোরালি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা | ২১৪/১/৫ লোয়ার সার্কুলার রোড, কলকাতা | ৪ | ৬.৫.৭১ | |
৯ | জাহিদ হোসেন | ২৬ | আমির আলী | ১৯, পার্টি হাউজ, আজিমপুর | ১১৮, ইলিওট রোড কলকাতা | ৩ | ২৪.৭.৭১ | |
১০ | এস এম এ হারুন | ২৫ | এম এ কাদের | ৮৪, মসজিদ রোড, শান্তিবাগ | ১১২/১ পার্ক স্ট্রিট কলকাতা | ১ | ২১.৫.৭১ | |
১১ | দিবাকর ব্যানার্জি | ৩০ | এম এম ব্যানার্জি | কালীবাড়ি রোড, খুলনা | ৯, দ্বারিক গাঙ্গুলি রোড, কালীঘাট | ৪ | ২৯.৫.৭১ | |
১২ | সুরেশ সাহা | ২৭ | পুলিন সাহা | ৪৮, নয়নমতি রোড, নারায়নঙ্গঞ্জ | ৯, কঙ্করগাছি রোড কলকাতা | ৪ | ২৭.৫.৭১ | |
১৩ | মোঃ আমিরুল ইসলাম | ৩৪ | ওয়াজেদ আলী সরকার | বারাকুটি, রাজশাহী | ১৬২/১, বি বি গাঙ্গুলি রোড, কলকাতা | ৬ | ২৭.৪.৭১ | প্রযত্নে মোশাররফ হোসেন, মুর্শিদাবাদ ঠিকানায় পরিবার সহ আছেন |
১৪ | মোঃ শরিফুর রহমান | ২৭ | আব্দুল করিম | লোণ অফিস পারা, যশোর | ১১/এ ওয়েলসলি রোড, কলকাতা | ১ | ১৬.৬.৭১ | আরপি নং ৩৯২ |
১৫ | সমরেন্দ্র ভূষণ রায় | ৩১ | কে সি রায় | চৌহাট, সিলেট | প্রযত্নে, ইউ এন হালদার, উদয়পুর, কলকাতা |
<003.164.388>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১৬ | জনাব মীর মোশারফ হোসেন | ৩২ | মৃত মীর মোসলেম হোসেন | গ্রাম. চৌরাস, পোস্ট জাগাটি, কুষ্টিয়া | প্রযত্নে. জনাব মীর ইমাম হোসেন, ৫ ব্রজদুলাল সড়ক, কলকাতা | ৯ | ১০.৪.৭১ | পরিবারের বসবাসঃ প্রযত্নে. মোঃ আফসার হোসেন। গ্রাম- বামনপুকুর, সদ্দারপাড়া, পো- শ্রী মায়া, পো স্টে.-নবদ্বীপ,
জেলাঃ নদীয়া |
১৭ | জনাব এস. এন. সাহা | ৩৬ | মৃত শশী মোহন সাহা | ৩৬ উসাপ পোদ্দার লেন, ঢাকা। | ২৮, মুসলমান পারা লেন, কলকাতা-৯ | ৬ | ১৮.৬.৭১ | |
১৮ | জনাব মোঃ নুরুল হাসান | ৩২ | মোঃ মাহতাফ হোসেন | গ্রা্ম ও পোঃ মেহেরপুর, কুষ্টিয়া | গ্রাম ও পোঃ পঞ্চগ্রাম, জেলাঃ মুর্শিদাবাদ | ৬ | ১৬.৪.৭১ | |
১৯ | জনাব আবদুল লতিফ | ৩৬ | মোঃ ফকির | গ্রা্ম ও পোঃকুষ্টিয়া, জেলা-কুষ্টিয়া | গ্রা্ম ও পোঃশান্তিপুর, নদীয়া | ৭ | ১৫.৪.৭১ | |
২০ | জনাব কোটেশ্বর বিশ্বাস | ৩৯ | বসন্ত কুমার বিশ্বাস | গ্রামঃ গোপালপুর, পোঃবনিপুর, জেলা-যশোর | গুরুলিয়া ডি ক্যাম্প কলোনী, প্রযত্নে- সুরেন্দ্রনাথবিশ্বাশ, পোঃ পুরুলিয়া, ২৪ পরগনা | ৮ | ১.৫.৭১ |
<003.165.389>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ব্যক্তিদের তালিকা | বাংলাদেশ সরকার
তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয় |
…………………১৯৭১ |
বর্তমান অবস্থান | প্রস্তাবিত গন্তব্যস্থান এবং অর্থের পরিমাণ |
মন্তব্য | |
কঃ সংবাদ শাখা | |||
১. জনাব কামাল লোহানি | সংবাদ সম্পাদক, পরিষদ। ৪২৫/- | সংবাদ শাখার অধিকর্তা, চুক্তিভিত্তিক। ৪২৫/- | চুক্তিতে উল্লেখ থাকবে যে, তারা সংবাদ বিভাগে কাজ করবে এবং তাদের দায়িত্ব হচ্ছে প্রতিদিনের সংগৃহীত সংবাদ বুলেটিন মিলিয়ে দেখবে এবং তৈরী করে দিবে। যখনই প্রয়োজন হবে তখনই তারা সেই মোতাবেক অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবে। |
২. জনাব জে ইউ আহমেদ | সহ-সম্পাদক, চুক্তিভিত্তিক। ৩০০/- | কোন পদবী নেই, চুক্তি ভিত্তিক- ৩০০/- | |
৩. ভ্লি সুব্রাইন ইলামা | সহ-সম্পাদক, চুক্তিভিত্তিক। ৩০০/- | কোন পদবী নেই, চুক্তি ভিত্তিক- ৩০০/- | |
৪. আবুল কাশেম | সহ-সম্পাদক, চুক্তিভিত্তিক। ৩০০/- | কোন পদবী নেই, চুক্তিভিত্তিক- ৩০০/- | |
৫. জনাব ইহবিবুদ্দিন | সহ-সম্পাদক, নিয়মিত।৩০০/- | কোন পদবী নেই, চুক্তিভিত্তিক- ৩০০/- | |
৬. জনান মৃণাল কান্তি রায় | এড-হক। ২৫০/- | কোন পদবী নেই, চুক্তিভিত্তিক- ৩০০/- | |
৭. জনাব রঞ্জিত পাল চৌধুরী | এড-হক। ২৫০/- | কোন পদবী নেই, চুক্তিভিত্তিক- ৩০০/- | |
৮. জনাব এম. মামুন | সহ-সম্পাদক, নিয়মিত। |
৯. জনাবা
পারভিন হোসেন |
সংবাদ পাঠক, চুক্তিভিত্তিক। ৩০০/- | বর্তমানে কর্মরত আছেন। | চুক্তিতে উল্লেখ থাকতেহবে যে, তাদের প্রাথমিক কাজ হচ্ছে সংবাদ পাঠ করা, কিন্তু তারাও যখনই প্রয়োজন হবেতখনই সেই মোতাবেক অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবে।
|
১০. জনাবা
জেরিন আহমেদ |
সংবাদ পাঠক, চুক্তিভিত্তিক। ২৫০/- | বর্তমানে কর্মরত আছেন। |
<003.165.390>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
বর্তমান অবস্থান | প্রস্তাবিত পদবী এবং সম্মানী | মন্তব্য | |
১১. জনাব আলী রেজা চৌধুরী | সংবাদ পাঠক,চুক্তিভিত্তিক। ২০০/- | বর্তমানে কর্মরত আছেন। | |
১২. জনাব নুরুল ইসলাম সরকার | সংবাদ পাঠক,এড-হক। ৩০০/- | সংবাদ পাঠক, চুক্তিভিত্তিক। ৩০০/- | |
১৩. জনাব ইজাজ হোসেন | সংবাদ পরিদশক, চুক্তিভিত্তিক। ২০০/- | বর্তমানে কর্মরত আছেন। | |
১৪. জনাব | সংবাদ পরিদশক, চুক্তিভিত্তিক। ২০০/- | বর্তমানে কর্মরত আছেন। | |
খঃ ইংরেজী ভাষার অনুষ্ঠান এবং সাক্ষাৎকার | |||
১. মোঃ আলমগীর কবীর | ইংরেজী অনুঠানের সংগঠক, চুক্তিভিত্তিক। ৫০০/- | বর্তমানে কর্মরত আছেন। | |
২. জনাব আলী যাকের | ইংরেজী অনুঠানের প্রযোজক, চুক্তিভিত্তিক। ২৭৫/- | বর্তমানে কর্মরত আছেন। | |
গঃ প্রোকৌশল শাখা | |||
১. জনাব এস. এ. শাকের | রেডিও প্রোকৌশলী, নিয়মিত এক্স-জি। ৪০০/- | বর্তমানে কর্মরত আছেন। | |
২. জনাব রাশেদুল হাসান | কারিগরি সযোগী, নিয়মিত এক্স-জি। ৩০০/- | বর্তমানে কর্মরত আছেন। | |
সংগীত পরিচালক | |||
১. জনাব সমর দাস | পরিচালক, নিয়মিত। ৫০০/- | বর্তমানে কর্মরত আছেন। |
<003.165.391>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
নাম | বর্তমান পদবী | প্রস্তাবিত পদবী ও সম্মানী | মন্তব্য | ||||
২. জনাব আব্দুল জব্বার | সঙ্গীত প্রযোজক, চুক্তিভিত্তিক, ৫০০/- | নবায়ন নেই | |||||
৩. জনাব আপেল মাহমুদ | শিল্পী চুক্তিভিত্তিক, ৩৫০/- | নবায়ন নেই | |||||
৪. জনাব রথীন রায় | শিল্পী চুক্তিভিত্তিক ৩০০/- | নবায়ন নেই | |||||
৫. জনাব অরুন গোস্বামী | শিল্পী চুক্তিভিত্তিক,৩০০/- | আগের মত | |||||
৬. জনাব প্রনোদিত বড়ুয়া | স্টাফ সুরকার, চুক্তিভিত্তিক,৩০০/- | আগের মত | |||||
৭. জনাব মান্নান হক | শিল্পী চুক্তিভিত্তিক,৩০০/- | নবায়ন নেই | |||||
৮. জনাব হাসান ইমাম | নাটকীয় প্রযোজক, চুক্তিভিত্তিক | আগের মত | |||||
৯. জনাব সাদেকীন | চিত্রনাট্যকার, নিয়মিত ৩০০/- | আগের মত | |||||
১০. জনাব শহিদুল ইসলাম | ঘোষক, চুক্তিভিত্তিক ৩০০/- | আগের মত | |||||
১১. জনাব মোতাহার হোসাইন | ঘোষক, নিয়মিত ২৭৫/- | আগের মত | |||||
১২. জনাব মঞ্জুর কাদের | সহ-সম্পাদক, নিয়মিত ৩০০/- | আগের মত | |||||
ঘ. অনুষ্ঠান বিভাগ |
|||||||
১. জনাব হুদা চৌধুরী | অনুষ্ঠান সংগঠক, নিয়মিত ৪০০/- | আগের মত | |||||
<003.165.392> বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
|
|||||||
২. জনাব আশফাকুর রহমান | অনুষ্ঠান সংগঠক, নিয়মিত ২৮০/- | আগের মত | |||||
৩. জনাব মেসবাহউদ্দিন আহমেদ | অনুষ্ঠান সংগঠক, নিয়মিত ২৮০/- | আগের মত | |||||
৪. জনাব বেলাল মোহাম্মদ | অনুষ্ঠান সংগঠক, নিয়মিত | আগের মত (তবে তাকে ৪০০/-রুপি দেয়া যেতে পারে) | |||||
৫. জনাব টি. এইচ. সিকদার | অনুষ্ঠান সংগঠক, নিয়মিত | আগের মত | |||||
৬. জনাব তাহের সুলতান | অনুষ্ঠান সংগঠক, নিয়মিত ২৮০/- | আগের মত | |||||
৭. জনাব মুস্তাফা আনোয়ার | অনুষ্ঠান সংগঠক, নিয়মিত ২৮০/- | আগের মত | |||||
৮. জনাব নজরুল ইসলাম | অনুষ্ঠান সংগঠক, নিয়মিত ২৮০/- | আগের মত | |||||
৯. জনাব আব্দুল্লাহ-আল ফারুক | অনুষ্ঠান সংগঠক, নিয়মিত ২৮০/- | আগের মত | |||||
১০. জনাব মাহমুদ ফারুক | অনুষ্ঠান সংগঠক, নিয়মিত ২৮০/- | আগের মত | |||||
১১. জনাব আশরাফুল আলম | ঘোষক ও সংবাদ পাঠক, চুক্তিভিত্তিক ২৭৫/- | আগের মত | |||||
১২. জনাব জাহেদ সিদ্দিক | সংবাদ পাঠক, চুক্তিভিত্তিক ২৭৫/- | অনুষ্ঠান প্রযোজক হিসেবে চুক্তি ৩৫০/- টাকা | |||||
<003.165.393> বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
|
|||||||
১৩. জনাব শাহিদুর রহমান | সংবাদ পাঠক, চুক্তিভিত্তিক ৩৫০/- | নবায়ন নেই | |||||
১৪.জনাব শামসুদ্দিন আহমেদ | সহকারী ও রিসেপশনিস্ট, নিয়মিত ৩০০/- | প্রেজেন্টেশন সুপারভাইজার , নিয়মিত। ৩০০/- | |||||
১৫. জনাব এম. আশরাফউদ্দিন | শাটলিপিকার, চুক্তিভিত্তিক ২৫০/- | আগের মত | |||||
১৬.জনাব নবাব জামান চৌধুরী | অনুলিপিকারি, নিয়মিত ১৭৫/- | আগের মত | |||||
১৭. জনাব আবুল বারকাত | অনুলিপিকারি, নিয়মিত ১৭৫/- | আগের মত | |||||
১৮. জনাব অনিল কুমার মিত্র | হিসাব রক্ষক | জীবন বৃত্তান্ত দেখার পর নিরধারণ করা হবে । | |||||
১৯. জনাব বিমল চন্দ্র নিয়োগী | পিয়ন ১০০/- | আগের মত , চুক্তি করা হবে | |||||
২০. জনাব পাঁচু গোপাল ঘোষ | পিয়ন | আগের মত , চুক্তি করা হবে | |||||
খ. নতুন কর্মীবৃন্দ | |||||||
১. জনাব রুঞ্চন কুশারী | চুক্তিভিত্তিক নাট্য প্রযোজক, ৪০০/- | ||||||
২. জনাব মাধুরী চ্যাটার্জী | চুক্তিভিত্তিক শিল্পী ৩০০/- | ||||||
৩. জনাব নাসিম চৌধুরী | চুক্তিভিত্তিক স্ক্রিপ্ট রাইটার , ২০০/- | ||||||
৪. জনাব এম.চাঁদ | চুক্তিভিত্তিক শিল্পী ৩০০/- | ||||||
<003.165.394> বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
|
|||||||
5. জনাব এয়ার মোহাম্মদ | চুক্তিভিত্তিক শিল্পী,৩০০/- | ||||||
6. জনাব আনওয়ারুল আবেদীন | অফিস সহকারী , নিয়মিত, ২০০/- | ||||||
7. জনাব রঙ্গলাল দেব চৌধুরী | লাইব্রেরিয়ান , নিয়মিত, ২০০/- | ||||||
8. জনাব এস. এস. সাজ্জাদ | স্টুডিও এক্সিকিউটিভ ও রিসেপশনিস্ট, চুক্তিভিত্তিক, ২০০/- | ||||||
9. জনাব আবু ইউনুস | ঘোষক, চুক্তিভিত্তিক, ২০০/- | ||||||
<003.165.395>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
ক্রম | নাম | আগের পদবী | শেষ টাকা উত্তোলন | বর্তমান কাজ | প্রস্তাবিত সম্মানী |
১ | আশরাফুদ্দিন | প্রযোজক | শাটলিপিকার | ২৫০ | |
২ | নজরুল ইসলাম | ঐ | প্রযোজক | ||
৩ | রেজাউল করিম চৌধুরী | ঐ | টেকনিকাল অপারেটর | ||
৪ | মান্নান হক | টেকনিকাল অপারেটর | শিল্পী | ৩০০ | |
৫ | আশরাফুল আলম | চট্টগ্রাম বেতার | ঘোষক, সংবাদ পাঠক | ২৭৫ | |
৬ | শরফুজ্জামান | ঐ | |||
৭ | এস এ রহমান | প্রতিবেদক, পাকিস্তান অবজারভার | মাঠ কর্মী (সংবাদ) | ৩০০ | |
৮ | জাহিদ সিদ্দিক | ৩৫০ | |||
৯ | আলী তারেক | বাংলা অধ্যাপক, চবি | ঘোষক, উর্দু পাঠক | ৪২৫ | |
১০ | আলমগীর কবির | প্রধান প্রতিবেদক | ৫০০ | ||
১১ | মাহাবুব তালুকদার | সহকারী সঞ্চালক | ৪০০ | ||
১২ | আলী রেজা চৌধুরী | টেকনিকাল অপারেটর | সংবাদ পাঠক | ৩০০ | |
১৩ | প্রনব রায় | ||||
১৪ | মোঃ হারুন | হিসাব রক্ষক | সার্কুলেশন ম্যানেজার | ৩৫০ | |
১৫ | এস কে দাস গুপ্ত | সহকারি কপিকারক | ৪০০ | ||
১৬ | সন্তোষ গুপ্ত | সংবাদ সম্পাদক | |||
১৭ | নবাব জামান চৌধুরী | সংগীত প্রযোজক | ৫০০ | ||
১৮ | আব্দুল জব্বার | ||||
১৯ | লিনা রানী চক্রবর্তী | ||||
২০ | সমর দাস | সহকারী হিসাব রক্ষক | সহকারী ফাইল ও রেকর্ড রক্ষক | ||
২১ | আসিফ আলী | ঢাকা রেডিও | সংগীত প্রযোজক |
<003.165.396>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
ক্রম | নাম | আগের পদবী | শেষ টাকা উত্তোলন | বর্তমান কাজ | প্রস্তাবিত সম্মানী |
১ | মোঃ ফজলুল হক ভুঁইয়া | সহকারী হিসাব রক্ষক, ঢাকা ন্যাশনাল ব্যাংক | ৭৭৫ | অফিস সহকারী | ৪০০ |
২ | এ কে শামসুদ্দিন | ডিউটি অফিসার ঢাকা বেতার | সহকারী অভ্যর্থনাকর্মী | ২৫০ | |
৩ | আবুল বরকত | কেরানি/কপিকারক | কপিকার | ২০০ | |
৪ | আ শাকুর | বেতার প্রকৌশলী | ৫২৫ | বেতার প্রকৌশলী | ৩৫০ |
৫ | রাশেদুল হাসান | ৩৬১ | সহকারী টেকনিশিয়ান | ৩০০ | |
৬ | আমিনুর রহমান | ঐ | ৩০০ | ||
৭ | মমিনুল হক চৌধুরী | ৩৫০ | ঐ | ৩০০ | |
৮ | কামাল লোহানি | খবর সম্পাদক | ৪২৫ | ||
৯ | আব্দুল্লাহ আল ফারুক | প্রযোজক, চট্টগ্রাম বেতার | ৩৭৫ | সহকারী সম্পাদক | ৩০০ |
১০ | জালাল উদ্দিন আহমেদ | ঐ | ৩০০ | ||
১১ | সুব্রত বড়ুয়া | বাংলা একাডেমী | ঐ | ৩০০ | |
১২ | আবুল কাশেম সন্দ্বীপ | ভাইস প্রিন্সিপ্যাল, ফটিকছরি কলেজ | ঐ | ৩০০ | |
১৩ | কাজি হাবিব উদ্দিন | নাটক লেখক | ঐ | ২৫০ | |
১৪ | এ কে দত্ত | হিসাব রক্ষক | ৭৭৫ | হিসাব রক্ষক | ৩৫০ |
১৫ | আলী জাকের | প্রকৌশলী, প্রযোজক | ২৭৫ | ||
১৬ | শহিদুর রহমান | সংবাদ পাঠক | ৩৫০ | ||
১৭ | মিস পারভিন হোসেন | সংবাদ পাঠক | ৩০০ |
<003.165.397>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
১৮ | জারিন আহমেদ | সংবাদ পাঠক | ২৫০ | ||
১৯ | এজাজ হোসেন | সংবাদ পাঠক | ২০০ | ||
২০ | মোঃ সাদেকিন | বেতার নাট্যকার | নাট্যকার | ৩৫০ | |
২১ | শামসুল হুদা | অনুষ্ঠান নির্দেশক | ৫২৫ | অনুষ্ঠান নির্দেশক | ৩৫০ |
২২ | বেলাল উদ্দিন আহমেদ | বেতার নাট্যকার | ৪৫১ | প্রযোজক | ৩৫০ |
২৩ | মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ | অনুষ্ঠান নির্দেশক | ৩৫০ | ঐ | ৩৫০ |
২৪ | আশফাকুর রহমান | অনুষ্ঠান নির্দেশক | ৩৫০ | ঐ | ৩৫০ |
২৫ | তাহের সুলতান | অনুষ্ঠান নির্দেশক | ৪০০ | ঐ | ৩০০ |
২৬ | মুস্তফা আনোয়ার | ঐ | ৩৭৫ | ঐ | ৩০০ |
২৭ | টি এইচ শিকদার | প্রযোজক | ৪০০ | প্রযোজক | ৩০০ |
২৮ | মনজুর কাদের | ঘোষক | ৩১০ | ঘোষক | ২৭৫ |
২৯ | শহীদুল ইসলাম | ঐ | ঐ | ২৭৫ | |
৩০ | মোতাহার হোসেন | ঘোষক | ১৫০ | ||
৩১ | আপেল মাহমুদ | শিল্পী (গায়ক) | ৩৫০ | ||
৩২ | রথিন রায় | ঐ | ৩০০ | ||
৩৩ | প্রণজিত বড়ুয়া | ঐ (নির্দেশক) | ৩০০ | ||
৩৪ | অরুণ গোস্বামী | তবলা বাদক | ৩০০ | ||
৩৫ | এস কে সাদ্দি | বেহালা বাদক | ২৭৫ | ||
৩৬ | হাসান ইমাম | নাট্য প্রযোজক | ৪২৫ |
<003.165.398>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
৩৭ | আমির হোসেন | ১৫ জুলাই থেকে প্রধান প্রতিবেদক | পরিবহন সহ ৪০০ | ||
৩৮ | অধ্যাপক আব্দুল হাফিজ | স্থানীয় প্রতিনিধি | ৪০০ | ||
৩৯ | ফেরদৌস আলম | সহকারী ক্যামেরাম্যান | ৩০০ | ||
৪০ | আবুল মনসুর | চিত্রগ্রাহক ও প্রতিবেদক | ৩৫০ | ||
৪১ | আল মুজাহিদি | সহকারী সম্পাদক | ৩৫০ | ||
৪২ | মোঃ শফি আলম | চিত্রগ্রাহক | চিত্রগ্রাহক | ৩০০ |
ক্রমিক নং | নাম ও আগের পদবী | বর্তমান পদবী |
১ | আব্দুল জব্বার খান | চিত্র পরিচালক |
২ | কামরুল হাসান
ডিজাইন প্রধান, ঢাকা ইপিএসআইসি |
ডিজাইন ও অঙ্কন পরিচালক |
৩ | এম আর আখতার মুকুল | প্রচার ও সংবাদ পরিচালক |
<003.166.399>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
পরিশিষ্ট – ক
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন ও কমিউনিটি উন্নয়ন প্রকল্প
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন | বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা সেল | ১৬-৯-১৯৭১ |
বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক দল
১) ভূমিকাঃ
বাংলাদেশ থেকে ভারত যাওয়া বিশাল সংখ্যক শরণার্থীদের খাদ্য, চিকিৎসা এবং বাসস্থান পরিস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভারতীয় সরকারী ত্রাণ সংস্থা পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এবং শরণার্থীদের মৌলিক চাহিদাগুলো মেটাবার প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
শরণার্থী শিবিরের খাদ্য এবং আবাসন পরিস্থিতি যতই সংগঠিত হচ্ছে এবং এর সাথে সম্পর্কিত সমস্যাগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে, শরণার্থীদের নৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মান তত দ্রুত নামছে এবং বাসিন্দারা মনে করছে যে তারা একরকমের উদাসীনতার মাঝে পরে রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক দল একটি কার্যক্রম শুরুর জন্য কাজ করে যাচ্ছে শরণার্থী শিবিরের মানুষদের নৈতিকতা পতন থেকে সাহায্য করতে। এমনটা বিশ্বাস করা যাচ্ছে যে, ত্রাণ কার্যক্রম আরও বেশি কার্যকর ও অর্থপূর্ণ হবে যদি এর সাথে নৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাগত কার্যক্রম সমন্বিত করা যায়।
২) উদ্দেশ্যঃ
ক) এর উদ্দেশ্য হচ্ছে শরণার্থীদের নৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাগত কার্যক্রমের মাধ্যমে নিশ্চিত পতনের হাত থেকে রক্ষা করা। এই লক্ষ্যে প্রতিটি শরণার্থী শিবিরে স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল থাকতে হবে, যারা নিযুক্ত হবে কেন্দ্রীয় সংস্থা দ্বারা। প্রতিটি ক্যাম্পের স্বেচ্ছাসেবকেরা দায়ী থাকবেঃ
(অ) ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সুযোগ-সুবিধা দেয়া এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি বজায় রাখা,
(আ) শরণার্থীদেরকে শিক্ষাগত ও কারিগরি সেবাদান,
(ই) শরণার্থীদেরকে নৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করা,
(ঈ) নারী কল্যাণে (নারী স্বেচ্ছাসেবকদের তত্ত্বাবধানে)- তরুণীদের নৈতিক, মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষাদান। মায়েদের গর্ভকালীন এবং জন্মদান পরবর্তী সেবা, বিনোদন; এবং সেলাই, এম্ব্রয়ডারি প্রশিক্ষণ।
<003.166.400>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
উ) শিবিরের শিশুদের জন্য পুষ্টি সরবরাহ কর্মসূচি পালন করা
খ. স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গঠন করা।
গ. রোগ এবং দুর্ভিক্ষ নিরোধের জন্য ঔষধ ও ত্রাণ সংগ্রহণ।
ঘ. বাংলাদেশ থেকে আগত পরিবারদের জন্য সুবিধা প্রদান।
ঙ. শিবিরে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান।
৩) কমিটি ও সভাঃ
ক. স্বেচ্ছাসেবকদের একত্রে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করা এবং সকল কার্যক্রমের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা উচিত। বিস্তারিত কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে পরে তা সভায় গ্রহণ করা যেতে পারে। কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা এবং এই সম্পর্কিত আলোচনা সপ্তাহে একবার অন্তত অনুষ্ঠিত হবে। এধরনের সভা করার কার্যধারা বজায় রাখতে হবে।
খ. সব স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিএমসি কমিটির সদস্য বলে অভিহিত করা হবে। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে শিবিরের বাসিন্দাদের প্রতিনিধিত্ব করবে। কিছু অ-স্বেচ্ছাসেবক বাসিন্দা নির্বাচিত সদস্যদের সাথে কাজ করতে পারবে। শিবিরের স্বেচ্ছাসেবক প্রধান কমিটির সভাপতি হতে পারবেন।
তিনি অন্তত সকল কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত থাকবেন। স্বেচ্ছাসেবকদের ভেতর থেকে যেকোনো একজন সহকারী হিসেবে কাজ করবেন।
৪) আয়োজকঃ
সংগঠক এলাকার কর্মসূচি ইতিমধ্যে শুরু করা যেতে পারে।
৫) স্বেচ্ছাসেবকঃ
ক. শিবিরে বসবাসকারীদের মধ্যে থেকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে অথবা ট্রানজিটের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা যাবে। কিন্তু একবার নিয়োগ হয়ে গেলে তাকে অবশ্যই সেই শিবিরে অন্য সবার সাথে থাকতে হবে। খ. প্রয়োজনীয় নির্দেশ সময় সময় কেন্দ্রীয় সংগঠন থেকে জারি করা হবে। কিছু স্বেচ্ছাসেবক চাহিদা অনুযায়ী স্থানীয় শিবিরের প্রয়োজনীতা অনুসারে তাদের কর্মসূচি প্রণয়ন করবে এবং কাজ করবে।
গ. স্বেচ্ছাসেবকদের শিবিরে থাকার ব্যবস্থা দেওয়া হবে। তারা শিবির হতে বিনামূল্যের রান্না খাদ্য গ্রহণ করবে যেখান থেকে খাদ্য বিতরণ করা হয়। অন্যান্য শিবিরে তারা শুষ্ক খাবার বিনামূল্যে পাবে। তারা স্বল্প হাত খরচ পেতে পারেন।
ঘ. স্বেচ্ছাসেবকেরা সামাজিক কাজ এবং পুনর্বাসনের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজের প্রশিক্ষণ পাবেন।
<003.166.401>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
৬/ সংগঠন:
কেন্দ্রীয়ঃ
পরিচালন পর্ষদঃ ম্যানেজিং কমিটি পরিচালন পর্ষদের নিয়োগ দিবেন। পরিচালন পর্ষদ সম্পূর্ণ আন্দোলন তদারকির দায়িত্বে থাকবেন। সাধারণত তারা বছরে এক অথবা দুইবার দেখা করবেন।
উপদেষ্টাঃ উপদেষ্টা তারাই হবেন যাদের বিশেষ আগ্রহ এবং অবদান থাকবে। উপদেষ্টা কর্তৃক নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।
ম্যানেজিং কমিটিঃ ম্যানেজিং কমিটি সকল পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকবেন এবং পরিকল্পনা ও পদ্ধতি প্রয়োগ করবেন। সকল পরিচালন পর্ষদ, সকল উপদেষ্টা এবং সকল সংগঠনের প্রতিনিধি যারা BVSC এর সাথে সম্পর্কিত অথবা একসাথে কাজ করে, তাদের নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠিত হবে। ম্যানেজিং কমিটি মাসে একবার দেখা করবে। ম্যানেজিং কমিটি একজন চেয়ারম্যানকে নিয়োগ দিবে।
নির্বাহী কমিটিঃ নির্বাহী কমিটি সংগঠনের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের দায়িত্বে থাকবে। এটি গঠিত হবে চেয়ারম্যান, কমিটিকে সেবা দিতে ইচ্ছুক পরিচালকবৃন্দ, সাবকমিটির আহবায়ক ও সাবকমিটির অর্থবিষয়ক সদস্যদের দ্বারা। এটি সর্বোচ্চ তিনজনকে সহযোগিতার্থে নিয়োগ দিবে।
সাবকমিটিঃ ম্যানেজিং কমিটি সাবকমিটিকে নিয়োগ দিবে কিছু স্পেশাল কাজের জন্য। তারা নিম্ন বর্ণিত কাজের জন্য নিয়োজিত থাকবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তাদেরকে অন্যান্য কাজে নিয়োজিত করা হবে।
1) ক্যাম্প উপকমিটি (শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি সহ)
2) ফাইন্যান্স
3) রেডিও প্রোগ্রাম
4) নারী-কল্যাণ
স্থানীয় প্রশাসনঃ ক) স্বেচ্ছাসেবকদের যতগুলো ক্যাম্পে সম্ভব ততগুলো ক্যাম্পে নিয়োগ দেওয়া হবে এবং বিভিন্ন ক্যাম্পে তাদেরকে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত করা হবে। একজন স্বেচ্ছাসেবককে ইনচার্জ পদবী দেওয়া হবে।
খ) একজন ক্যাম্প সংগঠককে সার্বিক তদারকির জন্য একজনের বেশি(কিন্ত কোনো অবস্থাতেই দশজনের বেশি নয়) লোককে নিয়োগ দিতে পারবে।
গ) অঞ্চল সংগঠকঃ যে সকল ক্যাম্প এলাকায় এরিয়া সংগঠকের প্রয়োজন সেখানে তাদেরকে নিয়োগ দেয়া হবে। তারা ক্যাম্পের স্বাভাবিক কার্যক্রমের বাইরে কিছু হলে তা দেখাশুনা করবেন।
৭)হিসাব নিকাশঃ
এ) উপরের কার্যাবলীর জন্য শুধুমাত্র ফান্ড ও সম্পদ থেকে ব্যয় করা হবে, অন্যথায় নয়।
<003.166.402>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড
বি) সকল ব্যয়ের পরিপূর্ণ রেকর্ড রাখা হবে এবং মাস অন্তর তার হিসাব করা হবে।
সহযোগিতার ক্রম ও তার রুপরেখা
- সহযোগিতার মূলনীতি – স্বেচ্ছাসেবিতা। স্বেচ্ছা আগ্রহের আলোকে নির্ধারিত হবে দলীয় কর্মকাণ্ড।
- সমবায় আন্দোলনের ইতিহাস-Rochdale Pioneers – জার্মান নাগরিক এর অভিজ্ঞতা। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা (রাশিয়া. চীন. যুগোস্লাভিয়া), ভারত ও পাকিস্তান এর মধ্যে সহযোগিতা
- বাংলাদেশে সমবায় অভিজ্ঞতা – ১) কুমিল্লা প্রস্তাব ২)চট্টগ্রাম আন্দোলন
- সমবায়ের প্রকারভেদ
- a) সমবায় পরিষেবা। b) ভূমি সমবায় (সমষ্টিগত চাষ বনাম যৌথ চাষ) c) বিপণন সমবায় d) ঋণ সমবায় e) শিল্প সমবায় f) হাউজিং সমবায় g) মৎস্যজীবী সমবায় h) সমবায় তাঁতি i) ভোক্তা সমবায় j) অন্যান্য।
- কৃষি সমবায় -বিশেষ বৈশিষ্ট্য a. গ্রাম থেকে শীর্ষ পর্যন্ত তাদের কাঠামোগত প্যাটার্ন b. বহুমুখী উদ্দেশ্য c. সমবায়ের মাধ্যমে গোষ্ঠীর উন্নয়ন d. সমবায় এবং পঞ্চায়েতের এবং অন্যান্য স্থানীয় সংস্থাগুলোর মধ্যে সম্পর্ক।
- সমবায়ীদের ম্যানেজমেন্ট i. পরিচালন পর্ষদ বা ব্যবস্থাপনা কমিটি ii. সাধারণ সভা iii. কর্মীদের উপর সদস্যদের নিয়ন্ত্রন iv. হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ v. নিয়মিত নিরীক্ষণ.
- প্রশিক্ষণ a) পরিচালকমণ্ডলী b) সাধারণ সদস্য c) স্টাফ.