বাংলাদেশ-চীন সরাসরি সংযােগ স্থাপন হয়েছে: লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর ঘােষণা
লন্ডন: প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখানে বলেন যে, বাংলাদেশ এবং চীন পরস্পর পরস্পরের সাথে প্রত্যেক্ষ যােগাযােগ স্থাপন করেছে। ওয়াশিংটন থেকে বাগদাদ যাওয়ার পথে লন্ডন হিথ্রো বিমান বন্দরে সংক্ষিপ্ত অবস্থানকালে এক সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু আশা প্রকাশ করেন যে, দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে শীঘ্রই উন্নতি হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সকল দেশের সাথেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কামনা করে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। বলে তিনি উল্লেখ করেন। গত সপ্তাহের শেষের দিকে নিউইয়র্কে উচ্চ পর্যায়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে যােগাযােগ স্থাপিত হয়েছে। জাতিসংঘে ভাষণদানের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক গমন করেন। দু’পক্ষের মধ্যে যােগাযােগের ফলাফল জানা না গেলেও এই ব্যাপারে পরস্পরের। সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে দুই দেশই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি তবে বিশ্ব সংস্থায় অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে কোনাে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেনি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হােসেন আয়ােজিত এক সংবর্ধনা সভায় একজন চীনা কূটনীতিক যােগদান করেন। নতুন জাতি বাংলাদেশের জাতিসংঘ অন্তর্ভুক্তির উৎসব পালন উপলক্ষে এক সংবর্ধন সভার আয়ােজন করা হয়। চীনা কূটনীতিক আন্তরিকতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধিদলের ঘনিষ্ঠ সূত্রে প্রকাশ, দুই দেশই শীঘ্রই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে যাচ্ছে।১১
রেফারেন্স: ৪ অক্টোবর ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত