বাংলাদেশ-রুমানিয়া সহযােগিতার নতুন ক্ষেত্র খুঁজে পাবে
ঢাকা: বাংলাদেশে রুমানীয় রাষ্ট্রদূত মি. ইসিফ চিভু আশা প্রকাশ করেছেন যে, বাংলাদেশ ও রুমানিয়া পারস্পরিক সহযােগিতার আরও নতুন ক্ষেত্র খুঁজে পাবে। রুমানিয়ার ৩০তম মুক্তি বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার আহূত এক সাংবাদিক সম্মেলনে মি. চিভু উপরােক্ত আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দুই দেশ ও জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযােগিতা দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও উপকারের ভিত্তিতে এ সম্পর্ক উন্নীত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও রুমানিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে রুমানীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, পারস্পরিক উপকারের ভিত্তিতে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কে উন্নতি হচ্ছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে সম্পাদিত ১ কোটি ডলার (প্রায় ৮ কোটি টাকা) ঋণ চুক্তির অধীনে রুমানিয়া বাংলাদেশে ২ হাজার ২৯২টি রেলওয়ে ওয়াগন সরবরাহ করেছেন। এর মধ্যে ৬৫টি ওয়াগন উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ ও রুমানিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক ও কারিগরি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির অধীনে রুমানিয়া বাংলাদেশের শিল্প উন্নয়নে ৫ কোটি ডলার (প্রায় ৪০ কোটি টাকা) সাহায্য দেবে। বাংলাদেশ ও রুমানিয়ার মধ্যকার বর্তমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরাে সুদৃঢ় করার জন্য মি. চিভু সাংস্কৃতিক চুক্তি সম্পাদনের প্রয়ােজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরােপ করেন।
মি. চিভু আরাে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বর্তমান সমস্যা কাটিয়ে সমৃদ্ধিশালী ভবিষ্যত নিশ্চিত করার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা রুমানিয়া সরকার ও জনগণ গভীর আগ্রহে লক্ষ্য করছে। রুমানিয়া রাষ্ট্রদূত ফ্যাসিবাদী শক্তির কবল থেকে মুক্ত হবার পর রুমানিয়ার অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক অগ্রগতির একটি চিত্র তুলে ধরেন।৭২
রেফারেন্স: ২০ আগস্ট ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত