বঙ্গবন্ধুর আশাবাদ, স্থায়ী শান্তি স্থাপন প্রচেষ্টায় পাকিস্তান এগিয়ে আসবে
নয়াদিল্লি: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ এখানে বলেন যে, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিসেস গান্ধীর সাথে তার আলােচনার ফলাফলে সুখী ও সন্তুষ্ট হয়েছেন। তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের জন্য বিশেষ বিমানে আরােহণের প্রাক্কালে পালাম বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের সাথে আলােচনা করছিলেন। বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গত সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন যে, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দুটি দেশের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে একমত পােষণ করেন। তিনি চুক্তির সম্পাদন সম্পর্কে বলতে গিয়ে মন্তব্য করেন যে, এই চুক্তির মূলে রয়েছে দু’দেশের মধ্যকার মৈত্রী ও সমঝােতা। তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভ সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন যে, সদস্যপদ লাভের জন্য আমাদের আবেদনপত্র বিশ্ব সংস্থার বিবেচনাধীন রয়েছে। সাড়ে সাত কোটি লোেক অধ্যুষিত বাংলাদেশ বিশ্ব সংস্থায় তার ন্যায্য অধিকার লাভ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বঙ্গবন্ধু ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পর্কে বলেন যে, আমরা আগ্রহের সাথে তাকিয়ে আছি উপমহাদেশে স্থায়ী শান্তি স্থাপনের প্রচেষ্টায় পাকিস্তানও এগিয়ে আসবে। বঙ্গবন্ধু এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের জোটনিরপেক্ষ নীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা শান্তি ও সহ-অবস্থানে বিশ্বাসী। আজ ঢাকার পথে দিল্লি ত্যাগকালে বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়স্পর্শী বিদায় সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং এবং অন্য মন্ত্রীরা বঙ্গবন্ধুকে বিদায় সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশেষ বিমানটি আজ বাংলাদেশ সময় ৩টায় নয়াদিল্লি ত্যাগ করে।৫৭
রেফারেন্স: ১৬ মে, ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত