বাংলাদেশ-বার্মা যুক্ত ইশতেহার প্রকাশিত
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বার্মার প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন যে, বাংলা-পাকভারত উপমহাদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি অগ্রগতি এবং স্থিতিশীলতা জোরদার করার জন্য বাংলাদেশ উভয় অঞ্চলের মধ্যে সংযােগ রক্ষাকারী হিসেবে তার সঠিক ভূমিকা পালন করে যাবে। বার্মার প্রেসিডেন্ট জে, নে উইনের বাংলাদেশ সফর শেষে সােমবার সন্ধ্যায় একই সাথে ঢাকা এবং রেঙ্গুন থেকে প্রকাশিত এক যুক্ত ইশতেহারে এই কথা বলা হয়। ইশতেহারে বলা হয়। যে, প্রধানমন্ত্রী তার দেশের জোটনিরপেক্ষ ও স্বাধীন বৈদেশিক নীতির কথা উল্লেখ করেন। যার ভিত্তি হলাে জাতীয় উপলব্ধি এবং যা জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় বেশি উপযােগী।
দক্ষিণ এশীয় উপমহাদেশে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়নে বাংলাদেশ যে গুরুত্ব আরােপ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী সেটাকে ব্যাখ্যা করেন। বলে ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে উপমহাদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকরণে তার সরকার কর্তৃক অনুসৃত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও গঠনমূলক নীতির ব্যাখ্যা প্রদান করেন। বার্মার প্রেসিডেন্ট উপমহাদেশের বিভিন্ন বিষয়ের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিবিদ সুলভ মনােভাবের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি সম্পর্ক স্বাভাবিকরণে উপমহাদেশের ৩টি রাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপকে স্বাগত জানান। নেতৃদ্বয় সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে সহযােগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করার ব্যাপারেও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে সম্মত হয়েছেন। তারা এই মর্মে দৃঢ় আশা পােষণ করেন যে, বার্মা-বাংলাদেশ সীমান্ত সব সময় একটা শান্তি ও শুভেচ্ছার সীমান্ত হয়েই বিরাজ করবে। বার্মার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জনাব মােহাম্মদ উল্লা এবং প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার দেশ সফরে আমন্ত্রণ জানান এবং তার এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।১০৭
রেফারেন্স: ২৯ এপ্রিল, ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত