ভারত সফরান্তে ঢাকা বিমানবন্দরে তাহের উদ্দিন ঠাকুর
ঢাকা: তথ্য ও বেতার প্রতিমন্ত্রী জনাব তাহের উদ্দিন ঠাকুর গত শনিবার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অধিক তথ্য বিনিময়ের প্রয়ােজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরােপ করেন। তিনি মনে করেন এই তথ্যের শূন্যতার পূরণ হবে। প্রতিমন্ত্রী সরকারিভাবে দশদিন কোলকাতা থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। তেজগাঁও বিমান বন্দরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন এই শূন্যতা দ্রুত পূরণের জন্য শীঘ্রই দু’দেশের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। তিনি বলেন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমান সাংস্কৃতিক চুক্তির আলােকে তথ্য প্রণয়ন করা হবে। এতে দু’দেশের চলচ্চিত্রসহ বেতার টেলিভিশন ও অন্যান্য তথ্য মাধ্যমের অধিক কর্মসূচি বিনিময়ের বিষয় বিবেচনা করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী তার সফরকে পর্যালােচনামূলক ও অত্যন্ত সাফল্যমণ্ডিত বর্ণনা করেন। তিনি জানান যে, এখানে একটি মহাফেজখানা স্থাপনে বাংলাদেশ সাহায্য করার জন্য ভারত সরকার আমাদের মুক্তি সংগ্রাম সম্পর্কিত ঐতিহাসিক নথিপত্র প্রদানে সম্মত হয়েছেন। তিনি আরও জানান যে, তিনি মুম্বাই থাকাকালে মি. আই কে গুজরাল একজন বিশেষ দূতের মাধ্যমে তার নিকট এক সেট প্রামাণ্য চিত্র অর্পণ করেছেন। এর আগে দমদম বিমান বন্দরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সাথে যৌথভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রকল্প পুনরুজ্জীবিত করবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি মুম্বাইয়ে ভারত সরকারের ফিল্ম ডিভিশন ইউনিটে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রসেবীদের ট্রেনিং এর সুযােগ সুবিধা দানের প্রস্তাব করবেন। পুনা ফিল্ম ইন্সটিটিউট তাকে মুগ্ধ করেছে। সেখানে ট্রেনিং গ্রহণের জন্য আরও অনেকে এগিয়ে আসবেন বলে তিনি আশা করেন। বর্তমানে ঐ ইন্সটিটিউটে বাংলাদেশের দুই জন ছাত্র ট্রেনিং গ্রহণ করছেন বলে তিনি জানান।১০৩
রেফারেন্স: ২৮ এপ্রিল, ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত