You dont have javascript enabled! Please enable it! 1974.04.03 | সরকারের অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া উচিত, ছিটমহল বেহাত হয়ে যাচ্ছে | দৈনিক আজাদ - সংগ্রামের নোটবুক

সরকারের অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া উচিত, ছিটমহল বেহাত হয়ে যাচ্ছে

ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত বেষ্টনীতে বাংলাদেশের প্রায় ২৪২ মাইল দীর্ঘ এলাকা সম্বলিত ছিটমহল ভারতের দখলে রয়েছে। এইসব এলাকা পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে বা সন্তোষজনক সমাধানে আসার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের নিকট এই যাবৎ কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে নির্ভরযােগ্য সূত্রে জানা গেছে। বরং দিনাজপুর সীমান্ত এলাকার কিছু অংশ সম্প্রতিকালে ভারতের দখলে চলে গেছে বলেও অভিযােগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, দিনাজপুরে দখলকৃত বাংলাদেশের এলাকার ব্যাপারে ভারতের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এসব প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। যে, দখলকৃত এলাকার পরিবর্তে ভারত বাংলাদেশকে সীমান্ত বেষ্টনির অন্য এলাকায় সমপরিমাণ ভারতের জমি ছেড়ে দেবে। ভারত-পাকিস্তান ভাগাভাগি হওয়ার পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সীমান্তে ছিটমহলে দখল স্বত্ব অমীমাংসিত ছিল খুলনা ও চব্বিশ পরগনা সেক্টরে ‘বৈকার খাল’ এলাকা। বৈকার খাল এলাকার দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৯ মাইল। রাজশাহী, বগুড়া, দিনাজপুর, সেক্টর হিলি এলাকা উক্ত এলাকায় লম্বায় প্রায় ৮০ মাইল। উল্লেখ্য যে, ১৯৫৯ সালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে হিলি এলাকার দখলী স্বত্ব নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত চুক্তিতে বলা হয়েছিল যে, হিলি ভারতের দখলে থাকবে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে বেরুবাড়ি এলাকা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে ফেরত দেবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত উক্ত চুক্তি কার্যকরী হয়নি। দিনাজপুর ও দার্জিলিং সেক্টরে বেরুবাড়ি এলাকা। উক্ত এলাকা লম্বায় প্রায় ২৫ মাইল। সিলেট ও কাছার সেক্টরে ‘উমাপতি’ এলাকা লম্বায় প্রায় ১ মাইল। এছাড়া সিলেট ও কাছার সেক্টরে ‘লাঠিটিলা’ নামে অপর একটি এলাকা লম্বায় প্রায় ৩ মাইল। লাঠিটিলা এলাকা ধান চাষের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত এবং সম্পূর্ণ এলাকা জুড়ে ধান চাষই করা হয়ে থাকে বলে প্রকাশ। আখাউড়া রেলওয়ে শিবপুর ও গৌরাঙ্গীতে ২০ মাইল এলাকা ফেনীর নিকটবর্তী মহুরীতে ৬৯ মাইল এলাকায় ‘আলােতে ১১ মাইল এলাকা। ভারতপাকিস্তান দ্বিখণ্ডিত হওয়ার পর ১৯৪৮ সালে দিল্লিতে ‘ইন্টার ডােমিনিয়ন কনফারেন্সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সীমান্ত বেষ্টনিতে ছিটমহল সমস্যা সমাধানের কথা বলা হয়েছিল। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্ত বেষ্টনির সাথে যুক্ত ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলাে ছিটমহল সমস্যা সমাধান করবে। বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু উক্ত সিদ্ধান্ত কার্যকরী করা হয়নি এবং আজও বাংলাদেশের। ‘ছিটমহল সমস্যা সমাধান হয়নি।৮

রেফারেন্স: ৩ এপ্রিল, ১৯৭৪, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত