পল্টনের জনসভায় গৃহীত যুবলীগের প্রস্তাব
ঢাকা: আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আজ এক তীব্র সংকটের সম্মুখীন। এই সংকটগুলাে নিরসনের জন্যে এখন পর্যন্ত কোন বাস্তব পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি এবং একদিকে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির চাপ, তৈল সংকটের প্রতিক্রিয়া, খাদ্য সংকটের প্রভাব অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও বণ্টন ব্যবস্থার নৈরাজ্য জনগণের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। তাছাড়া দেশে অভূতপূর্ব কালাে বাণিজ্যিক পুঁজির প্রসার ভয়ংকর হয়ে উঠছে। এই পুঁজি লগ্নী লাভ উৎপাদন প্রক্রিয়ার সাথে সংযুক্ত না হলে কোনক্রমেই বাজারদর স্থিতিশীলতা অর্জন করবে না। বিকেলে পল্টন ময়দানে মহান ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়ােজিত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভায় উপরােক্ত প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। সভায় গৃহীত অন্য একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নিকট হতে বাংলাদেশের শর্তহীন স্বীকৃতি অর্জন এবং ইসলামী শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী নেতৃত্বের একটি মহান বিজয়। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। চীন অতপর জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে বেবিরােধিতার মনােভাব পরিত্যাগ করে। উপমহাদেশে শান্তির উদ্যোগ সমূহকে স্বাগত জানাবে। গৃহীত অপর একটি প্রস্তাবে বলা হয় যে, কতিপয় অতিবামপন্থী সন্ত্রাসবাদী দলগুলাের গুপ্তহত্যা, ডাকাতি, ভীতি প্রদর্শন, ইত্যাদি কার্যক্রমে সমাজ প্রক্রিয়ায় ক্ষতি সাধন করবে। উপরােক্ত কর্মকাণ্ড দমনে সরকারকে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য করবে।২৭
রেফারেন্স: ৭ মার্চ, ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত