নিবর্তনমূলক আটক ও প্রেস সেন্সরশীপে ‘বিশেষ ক্ষমতা বিল পাস
জাতীয় সংসদ: জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের সমাপ্তি দিবসে গতকাল মঙ্গলবার বিশেষ ক্ষমতা বিলসহ আরও ৪ টি বিল গৃহীত হয়। নিবর্তনমূলক আটক বিল ও সেন্সরশীপের ব্যবস্থা সম্বলিত এই বিশেষ বিল গ্রহণ করার পূর্বে জনমত যাচাইয়ের জন্য প্রচার করার দাবী অগ্রাহ্য হলে বিরােধী ও স্বতন্ত্র সদস্যরা তাকে আরও একটি কালাে আইন পাস হয়েছে বলে অবহিত করেন এবং গতরাত সাড়ে ৯টার সময় তার প্রতিবাদে ওয়াক আউটের প্রাক্কালে জনাব আতাউর রহমান খান (বাংলাদেশ জাতীয় লীগ) ঘােষণা করেন যে, তাঁরা সংসদে উপস্থিত থেকে এই বিল পাস হচ্ছে দেখতে পারেন না। তাঁর সাথে আর যারা ওয়াক আউট করেন তারা হলেন, জনাব আবদুস সাত্তার (জাসদ), জনাব ময়নুদ্দীন আহমদ (জাসদ), সৈয়দ কামরুল ইসলাম মাে. সালাউদ্দিন (ভাসানী-ন্যাপ), মি. মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (স্বতন্ত্র), জনাব আবদুল্লাহ সরকার (স্বতন্ত্র) এবং জনাব আবুল হাসনাৎ মাে. আবদুল হাই (স্বতন্ত্র)। ২০ মিনিট পর জনাব আবদুল্লাহ সরকার সংসদ কক্ষে প্রত্যাবর্তন করেন। বাকী সবাই ফিরে আসেন ১০ থেকে ১২ মিনিটে। তাদের অবর্তমানে বিলটি গৃহীত হয়। পূর্বাহ্নে এই বিলের বিরােধিতা করে বক্তৃতা করেন জনাব ময়নুদ্দীন আহমদ, জনাব সৈয়দ কামরুল ইসলাম, জনাব মাে. সালাউদ্দীন, আবদুল্লাহ সরকার, মি. মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা এবং জনাব আবদুস সাত্তার। বিলটির পক্ষে বক্তৃতা করেন মি. মনােরঞ্জন ধর এবং ব্যারিস্টার সিরাজুল হক। বিলটির সমর্থনে আইনমন্ত্রী মি, মনােরঞ্জন ধর বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে একটি শােষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, জনগণের মৌলিক অধিকারকে রক্ষা করার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে সংবিধানে।১৪
রেফারেন্স: ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪, দৈনিক ইত্তেফাক
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত