আমরা সারা বিশ্বে শান্তি চাই- রাষ্ট্রপতি
শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যেই নয় বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী। কেননা শান্তি ছাড়া মানুষের অগ্রগতি অসম্ভব। কথাগুলাে বলেছেন রাষ্ট্রপতি জনাব আবু সাঈদ চৌধুরী। মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় কারিগরি মিলনায়তনে আরব জাহানে ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আরব জাহান মৈত্রী সমিতি এক প্রতিবাদ সভার আয়ােজন করেন। সভায় রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথির ভাষণ দিচ্ছিলেন। সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ। এছাড়াও বক্তৃতা করেন মিশরের বাংলাদেশস্থ রাষ্ট্রদূত জনাব মাে. ওয়াফা হিজাজী এবং ইরাকের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স জনাব হাসান আল আম্বারী। সােমবার নিরাপত্তা পরিষদের দেয় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে জনাব চৌধুরী অভিনন্দন জানান এবং বলেন বাংলাদেশ সবসময়ই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিরােধিতা করে এবং স্থায়ী শান্তিতে বিশ্বাসী। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ১৯৬৭ সালে আরবইসরাইল যুদ্ধ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবক্রমে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব পরে বাস্তবায়িত হয় নি। ইসরাইল আরবের দখলকৃত এলাকা ছাড়া তাে দূরের কথা, বিবাদ নিষ্পত্তির প্রশ্নে জাতিসংঘের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল এবং তার প্রতিনিধির সাথেও সহযােগিতামূলক আচরণ করেছিল। কিন্তু এবারের জন্যে আরব জনগণের ত্যাগ তাদের বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করেছে। আরব ভাইদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার অর্জন করার লক্ষ্যে নতুন মােড় নিয়েছে। রাষ্ট্রপতি আরবদের ন্যায় সংগ্রামের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের সমর্থনের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরের মানুষ আরবদের পাশে রয়েছে। হাজার হাজার মুক্তিবাহিনী আরব ভাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইসরাইলী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, আমরা এবার এক হয়েছি। বিশ্বের সকল দেশগুলাে বিশেষ করে জোট নিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলাে আরও সমর্থন দিয়েছে। তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে এই সমস্ত সংকট অবসান হবে বলে আমি আশা রাখি।৭৪
রেফারেন্স: ২৩ অক্টোবর ১৯৭৩, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ