বিশ্বব্যাংকের পর্যাপ্ত সাহায্য দানের সম্ভাবনা
বাংলাদেশের প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের পর্যাপ্ত পরিমাণ সাহায্য দানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সােমবার ঢাকার কর্তৃপক্ষীয় সূত্রে আভাস পাওয়া গেছে। বিশ্বব্যাংক বর্তমানে বাংলাদেশের প্রয়ােজন এবং অগ্রাধিকারের বিষয় পরিমাপ করে দেখছে। এদিকে বিশ্বব্যাংক সূত্রে জানা গেছে নির্মাণাধীন প্রকল্পগুলাে শেষ করার জন্য চলতি অর্থ বছরেই তারা ১০ কোটি ডলার দেবেন। এ ছাড়া পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকালে তারা বাংলাদেশে সর্বমােট কি পরিমাণ সাহায্য দিবেন। তা পরে চূড়ান্ত করা হবে। বিশ্বব্যাংকের সাহায্য লাভের ব্যাপারে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যাংক কার্যকর সহযােগিতা দিতে পারে তা নিয়ে একটি ব্যাপক রিপাের্ট তৈরির জন্য সম্প্রতি ব্যাংকের একটি প্রতিনিধিদল ৬ সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। এর আগে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ বাংলাদেশের কয়েকটি প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটন সফর করেন। বিশ্ব ব্যাংক সূত্রে আভাস দেয়া হয়েছে, নির্মাণাধীন প্রকল্পগুলাে ছাড়াও নতুন কয়েকটি ক্ষেত্রে ঋণদানের বিষয় সম্ভবত তারা বিবেচনা করবেন। বিশ্ব ব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নিচের প্রকল্পগুলাের পাশে বর্ণিত পরিমাণ অর্থ ইতােপূর্বেই মঞ্জুর করেন। চাঁদপুর সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে ১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, উপকূল এলাকা পুনর্বাসন ও ঘূর্ণিঝড় নিরােধ প্রকল্পে আড়াই কোটি ডলার, নলকূপ সেচ ব্যবস্থায় ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার, টেলিযােগাযােগে ৭৩ লাখ ডলার, ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসায় ২ কোটি ডলার, ক্ষুদ্র শিল্পে ৩০ লাখ ডলার এবং সেচ প্রকল্পে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার। জানা গেছে, ওইসব প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংক এ পর্যন্ত ১৫ কোটি ডলার প্রদান করেছেন। এবং প্রকল্পগুলাের কাজ চলছে। আরাে জানা গেছে, বর্তমান অর্থবছরে বিশ্ব ব্যাংক যে অর্থ দেবে তা দ্বারা এই প্রকল্পগুলাের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ব্যাংক সূত্রে জানানাে হয়েছে, এর আগে তারা পুনর্গঠন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এবার দেবেন কৃষি, পল্লী ও সাধারণ যােগাযােগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সম্পর্কিত প্রকল্পগুলােয়।১
রেফারেন্স: ১ অক্টোবর ১৯৭৩, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ