ভারতের সাথে এ বছর ৮০ কোটি টাকার পণ্য লেনদেন হতে পারে
বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব আবুল হাসানাত মােহাম্মদ কামারুজামান এক সাক্ষাৎকারে আভাস দেন যে ভারত বাংলাদেশ বাণিজ্যের পরিমাণ চলতি আর্থিক সালে ৮০ কোটি টাকা হতে পারে। ভারত থেকে উচ্চমানের নিত্যপ্রয়ােজনীয় জিনিসপত্রাদি কয়লা, লৌহজাত দ্রব্যাদি, খুচরা যন্ত্রপাতি ঠিকমতাে যথাসময়ে আমদানির ব্যবস্থা করার ওপর বিশেষ জোর দেয়া হবে বলে তিনি জানান। বাংলাদেশ থেকে পাট, চামড়া, নিউজপ্রিন্ট, জামদানী ও মসলিন মিহি শাড়ি ভারতে চালান দেয়া হবে। ভারত বাংলাদেশে ৪০ কোটি টাকার এবং বাংলাদেশ ভারতে ৪০ কোটি টাকার জিনিসপত্র লেনদেন করবে। ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছেছেন। তিনি তিন দিন অবস্থানকালে ভারত বাংলাদেশ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করবেন।
নতুন শিল্পের জন্য যন্ত্রপাতি : সােভিয়েত রাশিয়া ও অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশসমূহ থেকে বিনিময় বাণিজ্যের ভিত্তিতে যে সব যন্ত্রপাতি আনা হচ্ছে বা ভবিষ্যতে আমদানি করা হবে, সেই সব যন্ত্রপাতির কিছু কিছু আইটেম বেসরকারি নতুন শিল্পের জন্য বরাদ্দ করা হলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে যে ধারণা বিরাজ করছে তার উল্লেখ করা হলে বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব হাসানাত মােহাম্মদ কামারুজ্জামান বলেন যে, বিনিময় বাণিজ্যের মাধ্যমে ভবিষ্যতে যে টাকার যন্ত্রপাতি আনা হবে, উৎপাদনের স্বার্থে প্রয়ােজন বিবেচিত হলে সরকার এইসব যন্ত্রপাতির উল্লেখযােগ্য অংশ বেসরকারি খাতে নতুন শিল্প ইউনিট স্থাপনের জন্য বরাদ্দ করার বিষয় বিবেচনা করবেন। উল্লেখযােগ্য যে, বর্তমানে কেবল সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্যই সমাজতান্ত্রিক দেশসমূহ থেকে বিনিময় বাণিজ্যে আমদানি করা হচ্ছে। উল্লেখযােগ্য যে, গত আর্থিক সালে এক দেশ অন্য দেশে ২৫ কোটি টাকা করে ৫০ কোটি টাকার দ্রব্য আমদানি রপ্তানি করার জন্য বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।১২
রেফারেন্স: ৩ জুলাই ১৯৭৩, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ